খেলা
ঈদের পর টেস্ট ক্যাম্প, বিপাকে ক্লাবগুলো
স্পোর্টস রিপোর্টার
২১ মার্চ ২০২৫, শুক্রবার
১৫ই এপ্রিল দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসবে জিম্বাবুয়ে। টেস্ট দু’টি হবে সিলেট ও চট্টগ্রামে। জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা ব্যস্ত ওয়ানডে ফরম্যাটে ঢাকা প্রিমিয়ার লীগ খেলতে। ২৫শে মার্চ শেষ ছুটি হয়ে যাবে ঢাকা লীগে খেলা ক্রিকেটারদের, ফিরবে ঈদের পর। ঢাকা প্রিমিয়ার লীগ শুরু হবে ৬ই এপ্রিল। তবে যারা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট খেলবেন তাদের হয়তো আর ঢাকা লীগে খেলা হচ্ছে না। কারণ লংগার ভার্সনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আয়োজন করবে টেস্ট ক্যাম্পের, সেখানেই যোগ দিবেন জাতীয় দলে খেলা ক্রিকেটাররা। তবে কারা ও কতোজন সেটি এখনো নিশ্চিত করেনি নির্বাচকরা। ঈদের পর কবে থেকে ক্যাম্প শুরু হতে পারে সেটিও এখনো নির্ধারিত হয়নি। তবে খুব দ্রুতই কোচদের সঙ্গে আলোচনা করে জানিয়ে দেয়া হবে বলেই জানিয়েছেন বিসিবি’র ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদিন ফাহিম। দৈনিক মানবজমিনকে তিনি বলেন, ‘টেস্ট সিরিজকে সামনে রেখে ক্যাম্প হবে। ঈদের পর সেটি শুরু হবে, তবে কবে থেকে সেটি এখনই বলতে পারছি না। আমরা সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তা জানিয়ে দেবো। কারা সেই ক্যাম্পে থাকবে, কতোজন ক্রিকেটার নিয়ে হবে- সবই জানানো হবে। তবে এখনো চূড়ান্ত হয়নি কোনো কিছুই। যারা নিয়মিত টেস্ট খেলে তারাতো থাকবেই। ঢাকা লীগে সবাই ওয়ানডে ফরম্যাটে খেলছে এখন। সেখান থেকে টেস্টে নিজেদের মানিয়ে নিতে ক্যাম্পতো করতেই হবে।’ মূলত টেস্ট ক্যাম্প শুরু হলে ঢাকা লীগ ছাড়তে হবে প্রায় ২০ ক্রিকেটারের। যে কারণে সুপার লীগে দারুণ বিপাকে পড়বে ক্লাবগুলো।
ঈদের এক সপ্তাহ আগেই শেষ হচ্ছে ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের অষ্টম রাউন্ড। ছুটি কাটিয়ে ঈদের পর লীগ শুরু হবে ৬ই এপ্রিল। এমনটাই জানিয়েছেন সিসিডিএমের সমন্বয়ক সাব্বির আহমেদ রুবেল। তিনি বলেন, ‘আমরা ঈদের এক সপ্তাহ আগেই ঢাকা লীগে ছুটি দিতে চাইছি। কারণ ক্রিকেটাররা ছাড়াও কোচ, টিম বয় আরও অনেকেই আছেন যাদের বাড়ি ফিরতে হবে। তার সুবিধার কথা চিন্তা করেই আমরা একটু দ্রুত ছুটির চিন্তা করেছি। নয়তো আরও একটি রাউন্ড করা যেতো। আর ৬ই এপ্রিল আবার শুরু করার চিন্তা আছে। সেইভাবেই সূচি তৈরি করা আছে। হ্যাঁ, এটা সত্যি যে ঈদের পর ক্লাবগুলো জাতীয় দলের অনেক ক্রিকেটারকেই পাবে না। কারণ জিম্বাবুয়ে আসবে টেস্ট সিরিজ খেলতে। সেখানে যারা খেলতো, তারাতো ক্যাম্পে চলে যাবে।’ জানা গেছে, ১০ই এপ্রিল থেকে শুরু হতে পারে এই ক্যাম্প। প্রথম ম্যাচ সিরিজে ২০শে এপ্রিল সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। বাংলাদেশ দল শেষ টেস্ট খেলেছে। নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে। সেই সিরিজে মেহেদী হাসান মিরাজের নেতৃত্বে ১-১ ড্র করে টাইগাররা। নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত তার আগে দেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ইনজুরিতে পড়েন। তাই ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে তার আর খেলা হয়নি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয় দল। সবকিছু ঠিক থাকলে জাতীয় দলের নেতৃত্বে ফিরবেন শান্ত। সেটি হলে ঢাকা লীগে আবাহনীর অধিনায়ক করতে করতে হবে অন্য কাউকেই। শুধু তিনিই নয়, দল অন্যতম ব্যাটার মুমিনুল হক সৌরভ ও তরুণ পেসার নাহিদ রানাকেও হারাবে। এ ছাড়াও সবশেষ টেস্ট খেলা সাদমান ইসলাম, মাহমুদুল হাসান জয়, লিটন দাস, তাইজুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদদের ও ঢাকা লীগ ছেড়ে যোগ দিতে হবে জাতীয় দলের ক্যাম্পে। ১৫ সদস্যের স্কোয়াড ছাড়াও ক্যাম্পে ঢাকা হবে আলো বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে। এতে লীগ পর্ব নয় সুপার লীগেও বড় বড় ক্লাবগুলো পড়বে বিপাকে। জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ছাড়াই খেলতে হবে তাদের। অন্যদিকে, ওয়ানডে ফরম্যাট থেকে লংগার ভার্সনে মানিয়ে নেয়া চ্যালেঞ্জ হলেও এটিকে স্বাভাবিক হিসেবেই দেখছেন নাজমুল আবেদিন ফাহিম। তিনি বলেন, ‘দেখেন চ্যালেঞ্জ থাকবেই। কিন্তু আধুনিক ক্রিকেটে যে ব্যস্তসূচি তাতে মানিয়ে নেয়াটা খুব স্বাভাবিক হিসেবেই নিতে হবে। এটি না পারলে তারা টিকে থাকতে পারবে না।’