খেলা
আর্জেন্টিনার ২০০০তম গোল, সন্তুষ্ট না হয়ে পারছেন না স্কালোনি
স্পোর্টস ডেস্ক
২৩ মার্চ ২০২৫, রবিবার
১৯০২ সালের জুলাইয়ে আর্জেন্টিনা জাতীয় দল প্রথম গোলটি করে মন্টভিডিওতে, এই উরুগুয়েরই বিপক্ষে। কালের পরিক্রমায় আর্জেন্টাইনরা তাদের ২০০০তম গোলটি পেলো সেই একই শহরে, একই দলের বিপক্ষে। গতকাল বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে থিয়াগো আলমাদার চোখ ধাঁধানো এক গোলে জয় তুলে নেয় আলবিসেলেস্তেরা। উরুগুয়ের বিপক্ষে ১-০ গোলের জয়ে বিশ্বকাপের মূল পর্বের দিকে আরও এগিয়ে গেল বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচ শেষে আনন্দের সঙ্গেই আর্জেন্টিনা বস বললেন, ‘আমি কি সন্তুষ্ট না হয়ে পারি!’
২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপ নিশ্চিত করতে দরকার আর মাত্র ১ পয়েন্ট প্রয়োজন আর্জেন্টিনার। আগামী বুধবার নিজেদের মাঠে ব্রাজিলের সঙ্গে ড্র করলেই মূল পর্বের টিকিট কাটবে লিওনেল স্কালোনির দল । এদিনের জয়ের পর ১৩ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বের তালিকায় সবার উপরেই আছে আর্জেন্টিনা। সমানসংখ্যক ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ইকুয়েডর। ২০২৩-এর নভেম্বরে বুয়েনস আয়ার্সে আর্জেন্টিনাকে ২-০ গোলে হারায় উরুগুয়ে। এদিনের জয়ে সেই প্রতিশোধও নিয়ে নিলো আর্জেন্টাইনরা। ম্যাচের পর স্কালোনি বলেন, ‘আমি কি সন্তুষ্ট না হয়ে পারি! শুধুমাত্র জয়ের জন্য নয়, ছেলেরা যেভাবে খেলেছে, তার জন্য। আমরা পরিপূর্ণ একটি ম্যাচ খেলতে পেরেছি। চাপ সয়ে নিতে পেরেছি।’ ৪৬ বছর বয়সী এই কোচ যোগ করেন, ‘আমাদের জাতীয় দল এমন একটি দল, কেউ একজন না থাকলে আরেকজন সেখানে ভূমিকা রাখে। এমনকি আজ যখন গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন খেলোয়াড় ছিল না, তারপরও আমরা আত্মবিশ্বাস নিয়েই মাঠে নামি। হতে পারে পারফর্মেন্স ভিন্ন। তবে দলটি মাঠে নামে অন্য সব নামকে (দল) এক পাশে সরিয়ে রেখেই।’ মন্টভিডিওর সেন্টেনারিও স্টেডিয়ামে গতকাল চোটের কারণে মাঠের বাইরে ছিলেন দলের মহাতারকা লিওনেল মেসি, পাওলো দিবালা, লাওতারো মার্টিনেজরা। ঘরের মাঠে স্বাগতিক উরুগুয়ে কাজের কাজ কিছুই করতে পারেনি। পুরো ম্যাচে ৬টি শটের মধ্যে মাত্র ২টি লক্ষ্যে রাখতে পারে উরুগুইয়ানরা। অন্যদিকে ১২টির মধ্যে ৪টি শট লক্ষ্যে থাকে আর্জেন্টিনার। আক্রমণভাগে শক্তি হারিয়ে শুরু থেকেই ভুগেছে সফরকারী দল। বিরতির বাঁশি বাজার আগে এঞ্জো ফার্নান্দেজের এক ফাউলকে কেন্দ্র করে দু’দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে এক চোট কথা কাটাকাটি এবং ধাক্কাধাক্কিও হয়ে যায়। মাঠে ফিরে গোল পেতে মরিয়া হয়ে ওঠে দু’দলই। ৬২তম মিনিটে জুলিয়ানো সিমিওনের শট পা দিয়ে ঠেকিয়ে দিয়ে আর্জেন্টাইনদের অপেক্ষা বাড়ান গোলকিপার সার্জিও রোচেত। তবে ৬ মিনিট পর তা আর পারেননি। ডি বক্সের বাঁ প্রান্তে দৌড়ের সঙ্গে উরুগুইয়ান এক ডিফেন্ডারকে কাটান হুলিয়ান আলভারেজ। এক পাক ঘুরে বল ঠেলে দেন অরক্ষিত আলমাদার কাছে। বক্সের অনেকটা বাইরে থেকেই কোনাকুনি শটে দুর্দান্তভাবে জালে বল জড়ান এই তরুণ অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। হাওয়ায় নিজেকে মেলে দিয়েও বল আটকাতে পারেননি রোচেত। ম্যাচের যোগ করা সময়ে নাহিতান ন্যান্দেজকে বাজেভাবে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন সিমিওনের বদলি হিসেবে নামা নিকোলাস গঞ্জালেজ। পেছন থেকে বল নিতে গিয়ে উরুগুয়ের মিডফিল্ডারের মুখে বুট দিয়ে আঘাত করেন আর্জেন্টাইন তারকা।