খেলা
‘ক্রিটিক্যাল পিরিয়ড’ পেরিয়ে সুস্থ তামিম, পর্যবেক্ষণে থাকবেন ৩ মাস
স্পোর্টস ডেস্ক
(৪ সপ্তাহ আগে) ২৫ মার্চ ২০২৫, মঙ্গলবার, ২:০৭ অপরাহ্ন

হার্ট অ্যাটাক করে শারীরিক অবস্থার চরম অবনতির পর তামিম ইকবাল এখন অনেকটাই সুস্থ। তাকে রিংও পড়ানো হয়েছে কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতালে। আগের দিনের চেয়ে আজ ভালো অবস্থায় আছেন দেশসেরা এই ওপেনার। আজ দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে চিকিৎসকদের পক্ষ হতে জানানো হয়, ‘ক্রিটিক্যাল পিরিয়ড’ পেরিয়ে তামিম এখন অনেকটাই সুস্থ। তবে আগামী ৩ মাস পর্যবেক্ষণে রাখা হবে তাকে। অর্থাৎ এ সময়টায় মাঠের বাইরেই থাকবেন এই টাইগার ক্রিকেটার।
সাভারের কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতালের মিডিয়া পরিচালক ড. রাজীব হাসান আজ দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘একটি ক্রিটিক্যাল পিরিয়ডে ছিলেন তিনি। পুরোপুরি না হলেও এই ক্রিটিক্যাল পিরিয়ড আমরা পেরিয়ে এসেছি। উনি (তামিম) সুস্থ আছেন, খাওয়াদাওয়া করছেন। সবার সঙ্গে কথা বলছেন। আমরা খুব সুন্দরভাবে উনাকে ছেড়ে দিতে পারব। কখন ছেড়ে দেব এটা তাদের পারিবারিক সিদ্ধান্ত।’ হাসপাতালের পক্ষ হতে আরও জানানো হয়, প্রাথমিকভাবে তামিমের হার্টে যে পিসিআই (হার্টের ব্লক খোলার চিকিৎসা পদ্ধতি) হয়েছে, তাতে কখনও কখনও একটু রিয়্যাকশন হতে পারে। যে রিংটা লাগানো হয়েছে তা সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ডাক্তারি ভাষায় একে বলে থ্রম্বোসিস। পরিসংখ্যান অনুযায়ী এটি হবার সম্ভাবনা কম থাকলেও ঝুঁকি রয়েছে। এ ব্যাপারে তামিম ইকবালের পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছে হাসপাতাল কতৃপক্ষের। এ যাত্রায় ঠিকভাবে ফিরলেও এখনই মাঠে ফেরা হচ্ছে না এই বাঁহাতি ব্যাটারের। ঘরে ফিরলেও আগামী ৩ মাস থাকবেন চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণের মধ্যেই। এরপর তাদের অনুমতি সাপেক্ষেই ফিরতে পারবেন ২২ গজে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘আগামী ৩ মাস ওনাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। উনি নিজেই চেকআপে থাকবেন। ওনার হার্ট কি আরো ভালো দিকে যাচ্ছে ,না কি খারাপের দিকে যাচ্ছে এসব পরীক্ষা নিরীক্ষায় উনি থাকবেন। এরপর ডাক্তাররা তাকে খেলার অনুমতি দিলে তিনি খেলতে পারবেন। তবে এর আগে ওনাকে নিয়মের মধ্যেই থাকতে হবে।’
এর আগে সোমবার ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের ম্যাচ খেলতে এসে বুকে ব্যথা অনুভব করেন তামিম। পরে তাকে পাশেই কেপিজে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরই মধ্যে ঢাকায় যোগাযোগ করে তামিমের জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স উড়িয়ে নেওয়া হয় বিকেএসপির মাঠে। তবে কেপিজে হাসপাতাল থেকে বিকেএসপিতে ফিরে হেলিকপ্টারে ওঠার আগেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তামিম। এরপর পুনরায় কেপিজেতে নিয়ে যাবার পর তার বুকে ব্লক ধরা পড়ে। এরপর জরুরি ভিত্তিতে রিংও পড়ানো হয়।
পাঠকের মতামত
ঢাকার বাইরের একটি হাসপাতালে এমন critical অবস্থা থেকে তামিমকে বাঁচিয়ে তুলতে সঠিক এবং তরিৎ সিদ্ধান্ত নিয়ে তাকে সুস্থ করে তুলতে পারায় এই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ। এই হাসপাতাল থেকে শিক্ষা ও অনুপ্রেরনা নিয়ে আমরা যেন সারা বাংলাদেশে চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নে ব্রত হই।