রাজনীতি
নির্বাচন কমিশন কখন তফসিল ঘোষণা করবে জাতি জানতে চায় : রিজভী
নরসিংদী প্রতিনিধি
(২ সপ্তাহ আগে) ১৭ মে ২০২৫, শনিবার, ৭:৩৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১১:১৯ পূর্বাহ্ন

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সংস্কার কোনো নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নয়, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। কবে সংস্কার সম্পন্ন করবেন আর কখন নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করবে সেটা জাতি জানতে চায়। সংস্কার তো চারশ বছরের পুরনো বটগাছের মতো এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকে না। সংস্কার পদ্মা নদীর পানির মতো এগিয়ে চলে। শনিবার (১৭ মে) বিকেলে নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলার হাতিরদিয়া ছাদত আলী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। খেলা উদ্বোধন করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও নরসিংদী জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির খোকন।
যুগে যুগে জনগণের প্রয়োজন অনুযায়ী করতে হয়। সংস্কার কোন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নয় এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। কবে সংস্কার সম্পন্ন করবেন আর কখন নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করবে সেটা জাতি জানতে চায়। তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে যে কাজগুলো আটকে আছে সেগুলো নির্বাচিত সরকার থাকলে তা করতে পারতো। শেয়ার বাজারের নাজুক অবস্থা, নিত্য পণ্যের দাম হু-হু করে বাড়ছে। কোরবানির আগেই মসলার দাম বেড়ে গেছে। জবাবদিহিমূলক কাজগুলো নির্বাচিত সরকার করতে পারতো।
বিএনপির এ নেতা বলেন, প্রায় এক বছর আগে তরুণ ছাত্র সমাজ এবং তাদের অভিভাবকদের আন্দোলনে রক্তপিপাসু ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। তিনি যদি পারতেন লক্ষ মানুষকে হত্যা করে সিংহাসন টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করতেন। আন্দোলনের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সরাসরি গুলির নির্দেশ দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, বিগত ১৫ বছর বিএনপির নেতাকর্মীদের ক্রসফায়ার এবং বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করা হয়েছে। কেউ গুম ও নিরুদ্দেশ হয়েছেন যাদেরকে এখনো পাওয়া যায়নি। চৌধুরী আলম, সাইফুল ইসলাম হিরু, ইলিয়াস আলীসহ বিএনপি, যুবদল এবং ছাত্রদলের অসংখ্য নেতাকর্মীকে মায়ের কোল থেকে র্যাব ও পুলিশ বাহিনী উঠিয়ে নিয়ে গেছে। এখনো তাদের হদিস আমরা পাইনি।
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্রের জন্য, মানুষের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার জন্য বিএনপি বারবার কথা বলে গেছে। যে গণতন্ত্রে জনগণের ক্ষমতা নিশ্চিত থাকে, সে জনগণের ক্ষমতা শেখ হাসিনা ভোর রাতে ডাকাতের মতো কেড়ে নিয়ে তার অবৈধ রাজ সিংহাসন টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিলেন। জনগণের ক্ষমতা তাদের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য জেল-জুলুম মাথায় নিয়ে ১৫ বছর বিএনপি ত্যাগ স্বীকার করে ক্ষেত্র তৈরি করেছে। গত জুলাই আগস্টে ছাত্র জনতা সেই ক্ষেত্রের মধ্য থেকে শেখ হাসিনাকে পালাতে বাধ্য করেছে। জনগণ যাকে ইচ্ছে তাকে প্রতিনিধি বানাবে, যেই দলকে ইচ্ছে সেই দলকে ক্ষমতায় বসাবে। সেই ক্ষমতা জনগণের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেটা এখনো ফিরে আসছে না কেন? সেটা নিয়ে এতো গড়িমসি কেন, প্রশ্ন করেন তিনি।
ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েলের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন নরসিংদী জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন মাস্টার, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান মিন্টু, ইকবাল হোসেন শ্যামল, ডা. জাহিদুল কবির, ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল, নরসিংদী জেলা যুবদলের সভাপতি মহসিন হোসেন বিদ্যুৎ, ছাত্রদলের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদ, মনোহরদী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র আব্দুল খালেক মিয়া, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মাহমুদুল হক, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম বাছেদ মোল্লা ভুট্টো প্রমুখ।
পাঠকের মতামত
কোন জাতি জানতে চায় বুঝলাম না ! আমরাতো বাংলাদেশের আমজনতা, এখন নির্বাচন চাই না। ভালোই আছি ইনশাআল্লাহ। আপনাদের দলের চাঁদাবাজ, দখলবাজ, টোকাই, বাটপারদের সামলান। আমরাএ জিয়াউর রহমানের দল করি। ধন্যবাদ।
কৈ আমিতো জানতে চাইনি! যাদের পেশা রাজনীতি, তাদের মূল ধান্দা দুর্নীতি।
জনগনের নামে আর কত অপরাজনীতি করবেন?
স্থিতিশীলতা ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য নির্বাচন জরুরী।
মনে করি আওয়ামিলীগ ক্ষমতায়। অতএব ২০২৯ সালে নির্বাচন।
বর্তমান সময়ে দেশের মানুষ বিএনপিকে আওয়ামী লীগের চেয়ে খুব বেশী ভালো মনে করছেনা। কেননা বিএনপিও আওয়ামী লীগের মত ক্ষমতায় থাকাকালীন দেশের নিরাপত্তার জন্য কিছুই করেনি, বিএনপিও পার্শ্ববর্তী একটি দেশের পছন্দ মত দেশ চালিয়েছে। বর্তমানে লক্ষরঝক্ষর মার্কা মিগ২৯ যেগুলো আছে, সেগুলো আওয়ামী লীগ সরকারে থাকা অবস্থায় কিনেছে, বিএনপি দেশের নিরাপত্তার জন্য কিছুই করেনি। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন দুর্ণীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেও দুর্ণীতি চলেছে। মানুষ এখন বিএনপিকে বিশ্বাস করেনা। আগামীতে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে বিএনপিকে মানুষ ভোট দিবেনা। ড. ইউনুচ যাকে ভোট দিতে বলে জনগণ তাকেই ভোট দিবে। ড. ইউনুচ অল্প দিনে যা দিয়েছে বিএনপি বার ক্ষমতায় এসেও তা দুলতে পারেনি। দেশে মানুষ আর ভিন্ন দেশের তাবেদার চায়না।
জাতি চায় ড. ইউনূস কমপক্ষে ১০ বছর থাকুক
আপনার মত কিছু নেতার মাথার পাশে আজরাঈল আসার পর।
আমিও দেশের জনগণ। আমি এখন নির্বাচন চাই না, আগে দেশের উন্নতি সাধিত হোক। বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।
জে দল এখনও প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদের ক্ষেত্রে 'পরপরের' হিসাব ঠিকমতন জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারেনি তারা কোন মুখে ভোট চায়। বাংলাদেশের ৯৫% মানুষ দুইবারের বেশী প্রধানমন্ত্রী কাওকে আর দেখতে চায় না সেখানে এরা 'পরপর' জুড়ে হযবরল অবস্থা সৃষ্টি করে রেখেছে!
খুব কষ্ট হচ্ছে যে দলটাকে অনেক বছর থেকে অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হতে দেখেছি, সব সময় সমর্থন দিয়ে গেছি। আজকে সুযোগ পেয়ে তারা অনেক বড় গণতান্ত্রিক ন্ত্র হয়ে গেছে, ভোটের জন্য পাগল হয়ে গেছে। এত বড় একটা জালিমের হাত থেকে এ দেশটা রক্ষা পেয়েছে, সেখানে তাদের উচিত ডঃ মুহাম্মদ ইউনুসকে সর্বক্ষণ সহযোগিতা করা, সেটা না করে তারা সকাল বিকাল সন্ধ্যা ছোট নেতা বড় নেতা পাতি নেতা সব নেতারা এখন শুধু নির্বাচন নির্বাচন নির্বাচন করে হাহাকার করতেছে। এত বছর তাদের নির্বাচন কোথায় ছিল? গর্তের মধ্যে লুকিয়ে ছিল তারা।
ধরুন, গ্রামে দুই ভাই জমি নিয়ে বিরোধে জড়িয়েছে, দুইভাই সমাধানের জন্য ফখরুল সাহেব কিংবা রিজভী সাহেবের পরামর্শ চাইতে গেল! তখন দুই সাহেব হয়তো বলবেন নির্বাচিত সরকার থাকলে এই সমস্যা হতো না!