সিটিকে হারিয়ে ১২০ বছরের ইতিহাসে প্রথম শিরোপা ক্রিস্টাল প্যালেসের

ইংলিশ ফুটবলের ইতিহাসে নিজেদের নামটা স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখলো ক্রিস্টাল প্যালেস। শনিবার ম্যানচেস্টার সিটিকে ১-০ গোলে হারিয়ে এফএ কাপের শিরোপা জিতেছে ঈগলরা। ক্লাবের ১২০ বছরের ইতিহাসে এটিই প্রথম বড় কোনো ট্রফি।

চলতি মৌসুমটা একেবারেই ভুলে যাওয়ার মতো কেটেছে ম্যান সিটির। শক্তি-সামর্থ্যে অনেকটা পিছিয়ে থাকা প্যালেসের বিপক্ষে মাঠের পরিসংখ্যানে এগিয়ে থাকলেও, কাজের কাজটা করতে পারেনি পেপ গার্দিওলার ছেলেরা। ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে গোলের দিকে নেয়া ৭টির স্রেফ ২টি শট লক্ষ্যে রাখতে পারে প্যালেস। অন্যদিকে ২৩টি শট নেয়া সিটির লক্ষ্যে থাকে ৬টি। ম্যাচ জুড়ে ৭৯ শতাংশ বল আধিপত্য ধরে রাখলেও জালের দেখা পায়নি সিটিজেনরা। এর আগে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় সেরা এই প্রতিযোগিতায় দু’বার ফাইনালে ওঠে প্যালেস। দু’বারই তাদের স্বপ্ন ভাঙে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে। ম্যাচে ষষ্ঠ মিনিটে দারুণ একটি সুযোগ তৈরি করে সিটি। প্রথম পঞ্চদশ মিনিটে ৮৫ শতাংশের বেশি বল দখলে ছিলো তাদের দখলেই। টানা আক্রমণে প্যালেসের রক্ষণভাগকে বেগই পেতে হচ্ছিলো। তবে ষোড়শ মিনিটে ম্যাচে প্রথমবার প্রতি আক্রমণে উঠে একমাত্র জয়সূচক গোলটি করেন এবেরেচি এজা। মাঠের ডান প্রান্ত থেকে দানিয়েল মুনোসের ক্রস খুঁজে নেয় ডি বক্সের ভেতরে ঢুকতে থাকা এজাকে। পাশেই সিটির এক ডিফেন্ডার দৌড়ে আসলেও ধরতে পারেননি তাকে, ভলিতে লক্ষ্যভেদ করেন এই ইংলিশ মিডফিল্ডার। মিনিট পাঁচেক পর সেই মুনোসের আরেকটি ক্রস সিটি গোলকিপার স্টিফেন ওর্তেগার হাতে মেরে নষ্ট করেন ইসমাইলা সার। ৩৩তম মিনিটে বার্নার্ডো সিলভা বক্সের মধ্যে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় সিটি। প্রথমে আর্লিং ব্রুট হালান্দকে সেটি নিতে দেখা গেলেও পরে তিনি বল তুলে দেন ওমর মারমুশের হাতে। মিশরীয় তারকার স্পটকিক ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে আটকে দেন প্যালেস গোলকিপার ডিন হেন্ডারসন। ফিরতি বলে হালান্দের প্রচেষ্টাও রুখে দেন এই ইংলিশ গোলকিপার। বিরতি শেষ করে মাঠে ফিরে ৫৭তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার আনন্দে উল্লাসে মাতে প্যালেস। তবে মুনোসের সেই গোল বাতিল হয় অফসাইডের কারণে। ম্যাচের যোগ করা সময়ের মধ্যেও দু’টি দুর্দান্ত সুযোগ তৈরি করে আকাশি-নীলরা। তবে এদিন ফুটবল বিধাতা হয়তো গল্পটি প্যালেসের জন্যই লিখে রেখেছিল। শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে প্রথমবারের মতো বড় কোনো শিরোপা জয়ের উৎসবে ভাসে ক্রিস্টাল প্যালেস।