অনলাইন
বাজেট প্রতিক্রিয়া প্রজ্ঞা ও আত্মা
সিগারেটে অতিরিক্ত ২০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের সুযোগ হাতছাড়া করলো এনবিআর
স্টাফ রিপোর্টার
(১ দিন আগে) ২ জুন ২০২৫, সোমবার, ৫:১১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৬:৪৮ অপরাহ্ন

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সব ধরনের সিগারেটের দাম ও করহার অপরিবর্তিত রাখায় ২০ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হবে সরকার এবং তরুণ জনগোষ্ঠী সিগারেট ব্যবহারে বিশেষভাবে উৎসাহিত হবে। তামাকবিরোধীদের প্রস্তাব অনুযায়ী, সিগারেট বাজারের প্রায় ৮০ শতাংশ দখলে থাকা নিম্ন এবং মধ্যমস্তরের সিগারেটকে একত্রিত করে সর্বনিম্ন খুচরা মূল্য ৯০ টাকা নির্ধারণ করার পাশাপাশি অন্যান্য স্তরের সিগারেটের দাম বাড়ানো হলে রাজস্ব আয়ের এই সুযোগ হাতছাড়া হবে না এবং জনস্বাস্থ্যের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটবে।
প্রস্তাবিত বাজেটে ৬ষ্ঠ বারের মত বিড়ির মূল্য এবং ১০ম বারের মত এর সম্পূরক শুল্ক অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে, যা অত্যন্ত হতাশাজনক। জর্দা ও গুলের দাম এবং করহার অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। তামাক ব্যবহারকারীদের ৫০ শতাংশেরও বেশি মানুষ ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহার করেন, যাদের অধিকাংশই দরিদ্র এবং নারী। মূল্যস্ফীতি এবং মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি বিবেচনায় নিলে এসব পণ্য আরো সস্তা ও সহজলভ্য হয়ে যাবে। দরিদ্র জনগোষ্ঠী বিশেষত নারীরা ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্য ব্যবহারে উৎসাহিত হবে এবং তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকিও বেড়ে যাবে।
প্রস্তাবিত বাজেটে সিগারেট প্রস্তুতকারকের নিট বিক্রয়মূল্যের ওপর অগ্রিম কর ৩ শতাংশের স্থলে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। বাণিজ্যিক আমদানিকারকের সিগারেট পেপার আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ১৫০ শতাংশের পরিবর্তে ৩০০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এগুলো ইতিবাচক পদক্ষেপ তবে তামাকপণ্যের দাম বৃদ্ধির জন্য যথেষ্ট নয়।
প্রস্তাবিত বাজেটের প্রতিক্রিয়ায় প্রজ্ঞা’র (প্রগতির জন্য জ্ঞান) নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের বলেন, তামাকের কারণে দেশে প্রতিদিন ৪৪২জন মানুষ মারা যায়। তামাকবিরোধীদের কর সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা হলে তামাকের ব্যবহার ও তামাকজনিত মৃত্যু কমবে এবং সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ৩৫.৩ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করেন। চূড়ান্ত বাজেটে তামাকবিরোধীদের প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা হলে অতিরিক্ত রাজস্ব আয়ের পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদে প্রায় ৯ লাখ তরুণসহ মোট ১৭ লাখের অধিক মানুষের অকাল মৃত্যু রোধ করা সম্ভব হবে।
পাঠকের মতামত
সিগারেটের রাজস্ব বৃদ্ধি করলে ধূমপায়ীরা ধূমপান ছেড়ে দিবেন এই তত্ত্ব সম্পূর্ণ ভুল । কেননা সিগারেটের মার্কেটিং যখন শুরু হয় সেই ৫০/৬০ বছর আগে ,তখন সিনেমার নায়ক নায়িকারা সিগারেটের মডেল হত এবং ধূমপানে শান্তি আনে ইত্যাদি মিষ্টি কথা শুনিয়ে মানুষকে ধুম্পানে আকৃষ্ট করত ,এমনকি অনেক কোম্পানি দেশের প্রায় প্রতিটি হাট বাজারে ক্যানভাচার দিয়ে প্রচার করা্তো এবং ফ্রি এক শলা সিগারেটও দিত । এভাবে হুক্কা থেকে মানুষ সিগারেটে আকৃষ্ট হয় । এখনকার নুতন প্রজন্ম অনেকটা সিগারেট বিমুখ " সিগারেটের বিরুদ্ধে প্রচারনার কারনে , কিন্তু যাদের অভ্যাস হয়ে গেছে তাদের জন্য সিগারেট ছাড়া খুবই কষ্টকর । আর গরীব শ্রমজীবী মানুষের বিড়ি সিগারেটের উপর ট্যাক্স বাড়ানো সম্পূর্ণ অমানবিক ।।