অনলাইন
বিএনপি বুঝতেই পারেনি এটা কোন কিসিমের সরকার
সাঈদ ইফতেখার আহমেদ
(৮ ঘন্টা আগে) ২৫ মে ২০২৫, রবিবার, ১:৩৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৮:৪০ অপরাহ্ন

লেখক
সংলাপের মধ্য দিয়ে সংকট আরো ঘনীভূত হল। ৫ আগস্টের পর থেকে রাজনীতিতে যে মেরুকরণ ঘটেছে তার স্পষ্ট প্রতিফলন ঘটেছে আজকের সংলাপে। এ মেরুকরণের এক পাশে রয়েছে প্রফেসর ইউনূসের নেতৃত্বে এনজিও এলিটদের সমন্বয়ে গঠিত সরকার এবং ইসলামবাদী দলসমূহ, এনসিপি, এবি পার্টি ইত্যাদি। তারা সবাই চাচ্ছে নির্বাচন প্রলম্বিত হোক। নির্বাচন দেরিতে হলে সেটা তাদেরকে রাজনৈতিক সুবিধা দেবে বলে তাঁরা মনে করছেন।
এনসিপি এবং ইসলামবাদীরা প্রফেসর ইউনূসের সরকারকে নিজেদের সরকার বলে মনে করে। তাদের কর্মী, সমর্থকদের আচরণ এবং বক্তব্যে বিষয়টা স্পষ্ট। ইসলামবাদীদের উপলব্ধি হল, বর্তমান সময়ে তাঁরা যতটা মুক্ত পরিবেশে, স্বাধীনভাবে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছেন, সেটা স্বাধীন বাংলাদেশে এর পূর্বে কখনো সেভাবে সম্ভব হয়নি। তাদের আশংকা হল, নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকার গঠিত হলে তাদের আজকের যে অবস্থান, সেটা ব্যাহত হতে পারে।
এর বিপরীতে বিএনপি এবং সিপিবির অবস্থান হচ্ছে খুব বেশি দেরি করতে হলে ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। তারা শুরু থেকেই ইসলামবাদীদের মতো অন্তর্বর্তী সরকারকে নিজেদের সরকার ভাবতে পারেনি।
বিএনপির প্রাথমিক মূল্যায়ন ছিল ইউনূসের সরকারও পূর্ববর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো হবে, যাদের প্রাথমিক কাজ হবে শুধু নির্বাচন করা। তারা প্রথমে যে বিষয়টা বুঝতে পারেনি সেটা হল যে, এটি তত্ত্বাবধায়ক নয় বরং গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলকারীদের প্রতিনিধিত্বকারী সরকার। এ দুটো বিষয়ের মধ্যে গুণগত পার্থক্য রয়েছে।

এদিকে সিপিবিসহ বামপন্থীরা উদ্বিগ্ন এ ভেবে যে, ইসলামবাদের রাজনীতির প্রতি বর্তমান সরকারের একটা সহানুভূতির দৃষ্টি রয়েছে। এ ধরনের একটা চিন্তার জায়গা থেকে তারা মনে করছে নির্বাচন হলে বিএনপি ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা রয়েছে। আর সেটা হলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে। ফলে সাম্প্রতিক সময়গুলোতে বিএনপির সাথে সিপিবির যোগাযোগ বাড়ছে।
বিএনপির পাশাপাশি সেনাবাহিনীও এখন ডিসেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলছে। সেনাপ্রধানকে অপসারণ প্রচেষ্টা, মানবিক/ত্রাণ করিডোর, চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর দুবাইভিত্তিক কোম্পানিকে লিজ দেয়া ইত্যাদি আরো কিছু বিষয় নিয়ে সেনাবাহিনীর সাথে সরকারের একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে।
যেকোনো সরকারকে টিকে থাকবার জন্য দুটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। এর প্রথমটি হল একটি বড় রাজনৈতিক দলের সমর্থন; আর দ্বিতীয়টি হল রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসমূহ, বিশেষতঃ সেনাবাহিনীর সমর্থন।
এখন অধ্যাপক ইউনূস যদি ডিসেম্বরে নির্বাচন দিতে রাজি না হন—যেটা সরকারের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ থেকে মনে হচ্ছে—তাহলে বিএনপি এবং সেনাবাহিনী, দুই তরফ থেকেই সরকার সহযোগিতা হারাতে পারে। আর দুই পক্ষ সমর্থন এবং সহযোগিতা তুলে নিলে সংকট শুধু গভীরতম হবে না; ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বিভিন্ন পক্ষের দ্বন্দ্ব বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রের কাতারের দিকে নিয়ে যেতে পারে। তাই সংকট উত্তরণে দ্রুততম সময়ে যেটি প্রয়োজন সেটি হল, একটি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন।
লেখক: ফ্যাকাল্টি মেম্বার, আমেরিকান পাবলিক ইউনিভার্সিটি সিস্টেম; সাবেক ইন্সট্রাকটর, নর্দার্ন অ্যারিজোনা ইউনিভার্সিটি; সাবেক লেকচারার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
[লেখকের নিজস্ব মতামত, লেখাটি ফেসবুক থেকে নেয়া]
পাঠকের মতামত
দুই নাম্বার ঘি খেয়ে খেয়ে আামাদের পেট নষ্ট হয়ে গেছে, এখন আর ভালো ঘি হজম হচ্ছেনা।
B N P TTO 17 BOSOR DHORE BUJE OTTE PARE NAA KI KORBE AKHON KIBA BUJBE
নির্বাচন ২০২৬ সালের ৩০ জুন হোক তাতে সমস্যা নাই। কিন্তু বলতে এত লজ্জা কেন ❓
সিপিবি এবং বিএনপি এবং ওয়াকার গং (সেনাবাহিনী নয়) ভারতের হয়ে ,ভারতের স্বার্থ রক্ষার জন্য খেলছে। (বুঝে হউক, না বুঝে হউক)
তাহলে তো গদি মিড়িয়ার কথা সত্য বলে প্রমাণিত হবে | যা আমাদের কাম্য নয়
একটা কথা আছে যে দুপা বিলে মুক্ত ছাড়লে কোন লাভ নেই। বাংলাদেশের অবস্থা ও আজ একই রকম হয়েছে। গুণীজনের কোন মূল্যায়ন এখানে নেই। শুধু নির্বাচন নির্বাচন। মনে হয় যেন নির্বাচন ই সব কিছু। বিগত ৫৪ বছর তো জনগণ নির্বাচন দেখে এসেছে। কি পেয়েছে জনগণ? সর্বশেষ গত ১৫/১৬ বছর ও তো আমরা জনগণ নির্বাচিত সরকার দেখেছি। জনগনের ভাগ্যের কি পরিবর্তন হয়েছে? এখন আমরা দুটো বছর সময় দিতে রাজি না। হয়তো ডক্টর ইউনুস মনে মনে ভাবছেন যে দায়িত্ব নিয়ে কি ভুলটাই যে করলাম? আসলে আমরা জনগণ ই খারাপ। আমাদের কারণেই আল্লাহ হাসিনার মত সরকার হয়তো আমাদের দিয়েছেন। একটা কথা না বললেই নয়? গত ১৫/১৬ বছর BNP কি করেছিল, কি করতে পেরেছিলো? ১৫/১৬ বছর তারা রাস্তায় দাঁড়াতে পারেনি, রাতে পরিবারের সাথে ঘুমাতে পারেনি। আর এখন তারা ১৫/১৬ মাস সময় দিতে রাজি না। এতো বড় গাদ্দারের দল BNP।
মাহাথীর হতে চাইলে নির্বাচিত হতে হবে । ধাপ্পাবাজি করে পারবেন না ।
Indian narrative
নির্বাচনই গণতন্ত্রকে ধরে রাখার একমাত্র উপায়। যথাসম্ভব দ্রুত নির্বাচন হওয়া দরকার। তবে সেই নির্বাচন অবশ্যই যেনতেন নির্বাচন নয়। কাঙ্ক্ষিত সংস্কার সাধনের মাধ্যমে নির্বাচন হতে হবে। সংষ্কারের জন্য যত কম সময় নেয়া যায় ততই ভালো এবং সরকার যে টাইম ফ্রেম বলেছে সেই টাইম ফ্রেমের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের ব্যবস্থা করা দরকার।
Dr. Younus is the top most respectful leader in the the world that is the problem for India. So, by any means India wants to see failure. Dr, Younus can make the country very powerful and rich life for all the people, BNP is a less wise man party. BAL is terrorist.
লেখক সস্কার নিয়ে কোন কথাই লিখলেন না, বিচার তো দূরের কথা!! প্রাতিষ্ঠানিক ও সাংবিধানিক সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে এই জাতি তেমন কোন পরিবর্তন দেখতে পাবেনা, নাগরিকদের তেমন কোন সুবিধা বৃদ্ধি পাবেনা।দেশও দূর্নীতির মধ্যেই নিমজ্জিত থাকবে। ফলে দেশের অগ্রগতিও আশানুরূপ হবেনা। অতএব সংস্কার করা ফরজ মনে করি।
আগামী ৫ বছর দেশে নির্বাচন হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। এতে বিএনপি সহ অনেক রাজনৈতিক দলের সাথে সরকারের দুরত্ব বাড়তে বাধ্য। দেশে অরাজকতা তৈরি হবে যা Dog ate dog পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
ডিসেম্বর ও জুন মোটাদাগে ৬ মাসের ব্যবধান। এই ব্যবধানে কি এমন কিছু ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা আছে যা দেশ ও জাতির জন্য ক্ষতিকর।সেটি পরিষ্কার করা পক্ষ গুলির দরকার। যদি না থাকে তাহলে অধৈর্য্য হওয়ার দরকার নাই।
For every and everything, this Government 100% responsible.
বাংলাদেশর বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা যথাযথ ভাবে মূল্যায়ীত হয়েছে। বর্তমান সরকার কে একটু সময় দিয়ে নির্বাচিত সরকার ব্যবস্হায় ফিরে যাওয়া যায় তা হলে দেশের জন্য ভালো হবে।
লাভ নাই, নির্বাচন জুনের মধ্যেই হবে।