অনলাইন
‘ছাত্রদের মধ্যে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের অনেকেই রাজনীতির মাঠে অনূর্ধ্ব-১৯’
স্টাফ রিপোর্টার
(৫ ঘন্টা আগে) ২৫ মে ২০২৫, রবিবার, ৮:৩০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৮:৪০ অপরাহ্ন

বিএনপি’র আইন বিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তাদের নিয়ে আশায় বুক বেঁধেছিল বাংলাদেশের মানুষ। ৫ই আগস্টের পর তাদের দিয়ে নতুন ধরনের রাজনীতির প্রত্যাশাও ছিল অনেকের। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, ছাত্রদের মধ্যে যারা এখন নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের অনেকেই রাজনীতির মাঠে অনূর্ধ্ব-১৯। রোববার দুপুরে বিচার বিভাগ ও গণতন্ত্র ধ্বংসের মূল কারিগর সাবেক বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে গ্রেপ্তার এবং বিচার অঙ্গন থেকে দলবাজ বিচারকদের সরানোর দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ কর্মসূচিতে এ মন্তব্য করেন কায়সার কামাল।
ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, কেন আজকে আমরা রাস্তায় দাঁড়িয়েছি। গত ৫ই আগস্টের পর বাংলাদেশের মানুষ দেশে নতুন ধরনের রাজনীতির আশা করেছিল। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য ছাত্রদের মধ্যে যারা আজ রাজনীতি করছেন তাদের অনেকেই রাজনীতির মাঠে অনূর্ধ্ব-১৯। তাদের যে দল কাজ করছে সেটিকে জনগণ অনূর্ধ্ব-১৯ দল বলে মনে করে। কারণ দলের নেতাদের মধ্যে যে ভাবগাম্ভীর্য থাকার কথা, তাদের কথা ও আচরণে সেটার প্রকাশ নেই। তিনি বলেন, এই দলের নেতাদের মধ্যে আবার একজন আদালতের রায় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের একটি আদেশের বিষয়ে তিনি কথা বলেছেন। আমি ফেসবুকে তার ব্যাকগ্রাউন্ড দেখলাম। তিনি একসময় ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তখন আমার মনে পড়লো যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মণি এবং পরবর্তীতে পতিত স্বৈরাচারের দোসর তার ছেলে শেখ ফজলে নূর তাপসও আদালত অবমাননার ঘটনায় অভিযুক্ত। এ অবস্থায় বর্তমানে মন্তব্যকারীর পরিচয় হলো ওই মণিও তাপসের অনুসারী।
এ অবস্থায় বিএনপি’র আইন সম্পাদক হুঁশিয়ার করে বলেন, এখনো সময় আছে, থামান। দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে নিয়ে কথা বলার আগে ২য় বার ভাবুন। বালখিল্য কথা সব জায়গায় মানায় না। রাজনীতির মাঠে আন্ডার নাইনটিন হিসেবে অনেক ফাউল করেছেন। সুপ্রিম কোর্টের বিষয়ে সতর্ক হন। এ সময় উপদেষ্টা পরিষদের বিষয়ে কায়সার কামাল বলেন, আমাদের দল থেকে একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন দাবি করা হচ্ছে। তবে যে উপদেষ্টা পরিষদ এই দায়িত্ব পালন করবে, সেখানে এমন উপদেষ্টা আছেন যিনি ১৯৯১ সালে সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে ২৪৯টি ভোট পেয়েছিলেন। এমন অবস্থায় আমরা উপদেষ্টা পরিষদ নিয়ে শঙ্কিত হই।
পাঠকের মতামত
আপনি এটা সমস্যা হিসাবে দেখছেন কেন? আমি মনে করি এটা কোনো সমস্যা নয়। তারা কতটুকু সৎ, ন্যায়পরায়ন এগুলো দেখেন। যদি ঘাটতি থাকে তো শুধরিয়ে দেন। এটা হলো আপনাদের মত বয়স্কদের কাজ। সম্রাট শেখ ফরিদ অত্যন্ত দক্ষতার সাথে হুমায়ুনকে পরাজিত করে মাত্র 17 বছর বয়সে সমগ্র ভারত উপমহাদেশের সম্রাট হয়েছিলেন।
অবমাননাকর, অপমাননাকর কথাবার্তা। মনে রাখতে হবে এই ছাত্র ছাত্রীরাই জাতিকে আওয়ামী লীগের দুঃশাসন থেকে মুক্ত করতে পেরেছে। তোমারা আজকে বুক ফুলিয়ে কথা বলতে পারছিস।
সত্যি কথাই বলেছেন। ছাত্রদের কাছে আমরা নতুনত্ব আশা করেছিলাম।