ঢাকা, ২৬ মে ২০২৫, সোমবার, ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৭ জিলক্বদ ১৪৪৬ হিঃ

অনলাইন

কর্মচারীদের আন্দোলনের মধ্যেই সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ জারি

স্টাফ রিপোর্টার

(৪ ঘন্টা আগে) ২৫ মে ২০২৫, রবিবার, ৯:১০ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১২:০০ পূর্বাহ্ন

mzamin

সচিবালয়ে কর্মচারীদের আন্দোলনের মধ্যেই  ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’  জারি করেছে সরকার। 
রোবার সন্ধ্যায় এই অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
এই অধ্যাদেশ অনুমোদনের প্রতিবাদে সচিবালয়ের ভেতরে আজ রোববার দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ-মিছিল করেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা। তারা এই অধ্যাদেশকে ‘নিবর্তনমূলক ও কালাকানুন’ আখ্যায়িত করে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। তা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন।

বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের ব্যানারে এই আন্দোলন হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ সংশোধন করে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ -এর খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়। আজ তা অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়েছে।
কর্মচারী অভিযোগ করেছেন, সাড়ে চার দশক আগের বিশেষ বিধানের কিছু ‘নিবর্তনমূলক ধারা’ সংযোজন করে এই অধ্যাদেশটি করা হয়েছে।

অধ্যাদেশে অনুযায়ী, সরকারি কর্মচারীদের (আইনানুযায়ী সবাই কর্মচারী) চারটি বিষয়কে অপরাধের আওতাভুক্ত করা হয়। সেগুলো হলো, সরকারি কর্মচারী যদি এমন কোনো কাজে লিপ্ত হন, যা অনানুগত্যের শামিল বা যা অন্য যেকোনো সরকারি কর্মচারীর মধ্যে অনানুগত্য সৃষ্টি করে বা শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করে বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধার সৃষ্টি করে; অন্যান্য কর্মচারীর সঙ্গে সমবেতভাবে বা এককভাবে ছুটি ছাড়া বা কোনো যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া নিজ কর্ম থেকে অনুপস্থিত থাকেন বা বিরত থাকেন বা কর্তব্য সম্পাদনে ব্যর্থ হন; অন্য যেকোনো কর্মচারীকে তার কর্ম থেকে অনুপস্থিত থাকতে বা বিরত থাকতে বা তার কর্তব্য পালন না করার জন্য উসকানি দেন বা প্ররোচিত করেন; এবং যেকোনো সরকারি কর্মচারীকে তাঁর কর্মে উপস্থিত হতে বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধাগ্রস্ত করেন, তাহলে তিনি অসদাচরণের দায়ে দণ্ডিত হবেন।

এসব অপরাধের শাস্তি হিসেবে বলা হয়েছিল, দোষী কর্মচারীকে নিম্নপদ বা নিম্ন বেতন গ্রেডে নামিয়ে দেয়া, চাকরি হতে অপসারণ বা চাকরি থেকে বরখাস্ত করার দণ্ড দেয়া যাবে।

তবে অধ্যাদেশ অনুযায়ী, সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে সহজেই শাস্তি দেয়ার বিধান যুক্ত করা হয়েছে। কারণ বিভাগীয় মামলা রুজু ছাড়াই শাস্তি দেয়ার সুযোগ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, অভিযোগ গঠনের সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হবে। আর অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করা হলে তাঁকে কেন দণ্ড আরোপ করা হবে না সে বিষয়ে আরও সাত কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হবে। তার ভিত্তিতে দণ্ড আরোপ করা যাবে। এভাবে দণ্ড আরোপ করা হলে দোষী কর্মচারী ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে সেই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন। তবে, রাষ্ট্রপতি দেয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে না। যদিও আদেশ পুনর্বিবেচনার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করবে পারবেন।

পাঠকের মতামত

সত্যি সময়োপযোগী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশ। দ্রুত কার্যকর করে সবাইকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে হবে। সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক ধন্যবাদ।

মোঃ নুরুল কবির
২৫ মে ২০২৫, রবিবার, ১০:১৬ অপরাহ্ন

Good initiative

Tarek marzan
২৫ মে ২০২৫, রবিবার, ৯:৪১ অপরাহ্ন

সাবাস। আলহামদুলিল্লাহ । সবাইকে শৃংখলার মধ্যে আনতে হবে ।

Ahmed
২৫ মে ২০২৫, রবিবার, ৯:৪০ অপরাহ্ন

আইনটি জিরো টলারেন্সে কার্যকর করা হউক। চোর দূর্নীতিবাজদের কঠোর ভাবে দমন করা হউক।

এদেশের নাগরিক
২৫ মে ২০২৫, রবিবার, ৯:৪০ অপরাহ্ন

Nice decision

Mohammad Zillur Rahm
২৫ মে ২০২৫, রবিবার, ৯:৩৯ অপরাহ্ন

Good job

Manjorul
২৫ মে ২০২৫, রবিবার, ৯:৩৪ অপরাহ্ন

সঠিক সিদ্ধান্ত। সংশ্লিষ্টদেরকে ধন্যবাদ।

SM. Rafiqul Islam
২৫ মে ২০২৫, রবিবার, ৯:১৯ অপরাহ্ন

আইনটি আগামী কাল থেকেই কার্যকর করা হোক। জিরো টলারেন্স।

Andalib
২৫ মে ২০২৫, রবিবার, ৯:১৬ অপরাহ্ন

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status