ক্যারিয়ার সেরা র‌্যাঙ্কিংয়ে তানজিদ ও পারভেজ

পাকিস্তান সফরে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভরাডুবি হয়েছে বাংলাদেশের। তবে দলের হয়ে সিরিজের সর্বোচ্চ রান করে আইসিসি র‌্যাঙ্কিংয়ে বড় লাফ দিয়েছেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। শেষ ম্যাচে ফিফটি করে তানজিদের মতোই ক্যারিয়ারের সেরা অবস্থানে উঠে এসেছেন আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। অন্যদিকে ধারাবাহিক পারফর্মেন্সে এই র‌্যাঙ্কিংয়ে বিশাল লাফ দিয়েছেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ হারিস। 

পুরুষ ক্রিকেটারদের র‌্যাঙ্কিংয়ের সাপ্তাহিক হালনাগাদ বুধবার প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (আইসিসি)। টি-টোয়েন্টি ব্যাটারদের মধ্যে ২৮ ধাপ করে এগিয়েছেন তানজিদ আর পারভেজ। পাকিস্তানের মাটিতে তিন ম্যাচের একটিতেও ফিফটির দেখা না পেলেও রান পেয়েছেন তানজিদ। তিন ম্যাচে যথাক্রমে তার ব্যাট থেকে আসে ১৭ বলে ৩১, ১৯ বলে ৩৩ ও ৩২ বলে ৪২ রানের ইনিংস। সিরিজে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ১০৬ রান সংগ্রহ করে র‌্যাঙ্কিংয়ে ৫৩তম এই বাঁহাতি ব্যাটার। ওপেনিংয়ে আরেক প্রান্তে তানজিদের সঙ্গে প্রথম দুই ম্যাচে শুরুটা ঠিকঠাক করতে পারেননি পারভেজ। প্রথম ও দ্বিতীয় ম্যাচে এই বাঁহাতি ব্যাটারের রান যথাক্রমে ৪ ও ৮। ব্যর্থতা ঝেড়ে ফেলে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ৩৪ বলে ৬৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এই পারফর্মেন্সে টি-টোয়েন্টি ব্যাটারদের তালিকায় সেরা একশ’তে প্রবেশ করেছেন পারভেজ, তার বর্তমান অবস্থান ৯৫তম। সিরিজে মোট ৫১ রান করা জাকের আলি ৩ ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছেন ৬৮ নম্বরে। টাইগার ব্যাটারদের মধ্যে সবার উপরে থাকা তাওহীদ হৃদয় ৭ পিছিয়ে ৪১তম। এই সিরিজের দলে থাকলেও কোনো ম্যাচে খেলা হয়নি নাজমুল হোসেন শান্তর। তিনিও ৭ ধাপ পিছিয়ে এখন ৬৬তম। সফরকারীদের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে বিশাল লাফ দিয়েছেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ হারিস। ২১০ ধাপ এগিয়ে তিনি উঠে এসেছেন ৩০ নম্বরে। সেই ম্যাচে এই ডানহাতি ব্যাটার ৪৬ বলে খেলেন ১০৭ রানের অপরাজিত ইনিংস। প্রথম দুই ম্যাচে তার ব্যাট থেকে আসে ৪১ ও ৩১ রানের ইনিংস। বড় লাফ দিয়েছেন আরেক পাকিস্তানি ব্যাটার হাসান নওয়াজও। সিরিজে ১২১ রান করে ৫৭ ধাপ এগিয়ে এই মিডল অর্ডার ব্যাটার রয়েছেন ৪৫ নম্বরে। স্বাগতিকদের অধিনায়ক সালমান আলি আঘা ৪২ ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছেন ৭৫ নম্বরে। বোলারদের র‌্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হয়নি বাংলাদেশের কারও। টি-টোয়েন্টি অলরাউন্ডারদের তালিকায় আগের মতোই শীর্ষে ভারতের হার্দিক পান্ডিয়া।