‘পারমাণবিক পানি যুদ্ধের’ সূচনা করতে চলেছে ভারত

নয়াদিল্লির সঙ্গে সাম্প্রতিক উত্তেজনার পর ইসলামাবাদের অবস্থান তুলে ধরতে ওয়াশিংটন ডিসি সফরে গেছেন পাকিস্তানের প্রতিনিধি দল। সেই প্রতিনিধিদলের প্রধান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি বলেছেন, ‘‘ভারত যদি পাকিস্তানে পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেয়, তাহলে তা হবে প্রথম ‘পারমাণবিক পানি যুদ্ধের’ ভিত্তি স্থাপনের সমান।’’

কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে তীব্র সামরিক সংঘর্ষের পর ১০মে যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশী পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে।

উভয় দেশ একে অপরের মাটিতে জঙ্গিবাদকে সমর্থন করার অভিযোগ করেছে। তবে অভিযোগ উভয় দেশই অস্বীকার করেছে। ভারত শাসিত কাশ্মীরে গত ২২ এপ্রিল পর্যটকদের ওপর আকস্মিক সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হন। সন্ত্রাসীদের সমর্থনের জন্য পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলার পর, দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন এবং কামানের গোলা বিনিময়ের মাধ্যমে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। যদিও ইসলামাবাদ শুরু থেকে যেকোনো সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করে আসছে এবং আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানিয়ে আসছে।

এই হামলার পর দিল্লি একতরফাভাবে ১৯৬০ সালের সিন্ধু পানি চুক্তি ‘স্থগিত’ করে। সিন্ধু নদী ব্যবস্থার অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করে ভারত। ১০ মে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়া সত্ত্বেও চুক্তিটি পুনরুজ্জীবিত করা হয়নি। পাকিস্তানি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বদানকারী সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি ওয়াশিংটনের মিডল ইস্ট ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘আসন্ন জলবায়ু চ্যালেঞ্জের যুগে পানির ঘাটতি যুদ্ধের বীজ বপন করে।’ 

সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানে পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া ভারতের প্রথম পারমাণবিক পানি যুদ্ধের ভিত্তি স্থাপন করবে।’ সূত্র: আরব নিউজ