ঢাকা, ২৮ জুন ২০২৫, শনিবার, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১ মহরম ১৪৪৭ হিঃ

শরীর ও মন

আর্থোস্কোপিক সার্জারি অস্থিসন্ধির সর্বাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি

অধ্যাপক ডা. জি এম জাহাঙ্গীর হোসাইন
১৬ জুন ২০২৫, সোমবার

আর্থোস্কোপিক সার্জারি হলো অস্থিসন্ধির একটি আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা। কোনো কারণে অস্থিসন্ধি যদি মারাত্মক সমস্যা হয়ে মিনিস্কাস বা লিগামেন্ট আঘাতপ্রাপ্ত হয়, তখন বড় করে না কেটে শুধু ছিদ্রের মাধ্যমে কী-হোল করে চিকিৎসা করা যায়। এটা অস্থিসন্ধির সর্বাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি।
কেন আর্থোস্কোপিক সার্জারি করা হয়: আর্থোস্কোপিক সার্জারি বিশেষ করে জয়েন্টের রোগ নির্ণয় করার জন্য করা হয়। অনেক সময় দেখা যায় আমরা বাইরে থেকে বুঝতে পারছি না যে, কী কারণে তার সমস্যা হচ্ছে, কী কারণে তার ব্যথা হচ্ছে। তখন অ্যান্ডোস্কোপির মাধ্যমে কেউ হোল করে ভেতরে, টেলিস্কোপ বা ক্যামেরার ভেতর দিয়ে ঢুকিয়ে মনিটরের মাধ্যমে দেখতে পাই, পুরো জয়েন্ট আমরা সার্ভে করে দেখি এর ভেতরে কী আছে। এটি হচ্ছে ডায়াগনস্টিক বা রোগ নির্ণয়ের জন্য পরীক্ষা। আর থেরাপিউটিক বা চিকিৎসার জন্য আমরা ব্যবহার করে থাকি, হাঁটুর বিভিন্ন লিগামেন্ট বা রগ তৈরি করার জন্য আমরা করে থাকি।
এ ছাড়া অর্ধচন্দ্রাকৃতির যে তরুণাস্থি, সেগুলো ঠিক করার ক্ষেত্রে কিছু অংশ কেটে ফেলে দিয়ে এটা আমরা ব্যবহার করতে পারি। এর বাইরে হাঁটুতে অনেক সময় গোটা তৈরি হয়। এটি তৈরি হলে ছিদ্র করে অ্যান্ডোস্কোপির মাধ্যমে বের করে নিয়ে আসতে পারি। এর বাইরে হাঁটুর পাটি ঘন ঘন সরে যাওয়ার একটি রোগ আছে। এই রোগেরও চিকিৎসা করা যেতে পারে। এ ছাড়া বাতজনিত কারণে যদি ভেতরে কোনো ক্ষয় হয়ে থাকে, একটি নির্দিষ্ট পর্যায় পর্যন্ত প্রাথমিক থেকে মধ্যম পর্যায় পর্যন্ত মাইক্রোপাংচার বা মাইক্রোফ্রাকচার পদ্ধতির মাধ্যমে এর চিকিৎসা করে থাকি।
কেন লিগামেন্টের ইনজুরি হয়: ইনজুরি হয় মূলত স্পোর্টস ইনজুরি। খেলাধুলাজনিত কারণে সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে। এ ছাড়া আঘাতজনিত অথবা দুর্ঘটনাজনিত কারণে হতে পারে। এর বাইরে কিছু কিছু ক্ষেত্রে উপর থেকে পড়ে গেলে, যারা অ্যাথলেটস, যারা খেলোয়াড়, যারা অভিনয় করে, অথবা নাচের সময়, মোচড় খেয়ে এই লিগামেন্ট ইনজুরি হতে পারে। সবচেয়ে বেশি হয় স্পোর্টস ইনজুরি।
সুবিধা: এই চিকিৎসায় রোগীর সুবিধা হচ্ছে রোগী অনেক বেশি না কাটার কারণে তার অস্ত্রোপচার পরবর্তী যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, সংক্রমণ বা হাসপাতালে বেশি দিন থাকা-এগুলো করতে হচ্ছে না। এর কারণে হাসপাতালের বিল কম আসছে। হাঁটু স্টিফ হয়ে যাওয়া, জ্যাম হয়ে যাওয়া- এগুলো কম হচ্ছে। অনেক রকম সুবিধা আছে, এর বাইরে জ্যাম হয়ে যাওয়া এই জিনিসগুলো কম হচ্ছে। অনেক রকম সুবিধা আছে। এর বাইরে হাঁটুর বাইরে জয়েন্টের সব প্রক্রিয়াকে সার্ভে করা সম্ভব। এমনকি খুলে কেটেও এটা করা সম্ভব হয় না।
 

লেখক: অধ্যাপক, অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগ: হাড় ও জোড়া বিশেষজ্ঞ এবং আর্থ্রোস্কোপিক সার্জন, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর), ঢাকা।
চেম্বার: বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতাল লি., শ্যামলী, মিরপুর রোড, ঢাকা-১২০৭।
হটলাইন: ১০৬৩৩, ০১৭৪৬৬০০৫৮২।

শরীর ও মন থেকে আরও পড়ুন

শরীর ও মন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status