অনলাইন
এনবিআরের বিদ্যমান সংকট নিরসন নিয়ে অন্তবর্তী সরকারের বিবৃতি
স্টাফ রিপোর্টার
(১ দিন আগে) ২৯ জুন ২০২৫, রবিবার, ৪:১৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৭ পূর্বাহ্ন

এনবিআরের বিদ্যমান সংকট নিরসন নিয়ে অন্তবর্তী সরকারের বিবৃতি দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। রোববার এ বিবৃতি দেয়া হয়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশের বাজেট ব্যবস্থাপনায় উন্নয়নমুখী কার্যক্রম পরিচালনার সবচেয়ে বড় সীমাবদ্ধতা হলো দুর্বল রাজস্ব সংগ্রহ ব্যবস্থা। রাষ্ট্রের প্রয়োজনের তুলনায় আমাদের রাজস্ব সংগ্রহ অনেক কম। এর মূল কারণ হলো আমাদের রাজস্ব আহরণ ব্যবস্থাপনার নানা দুর্বলতা, অনিয়ম ও দুর্নীতি। এ প্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তী সরকার সকল অংশীজনের পরামর্শ অনুযায়ী জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, সরকার গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছে যে, রাজস্ব সংস্কারের কাজকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ নজিরবিহীনভাবে গত ২ মাস ধরে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, আমদানি-রপ্তানি এবং রাজস্ব আদায় কার্যক্রম অন্যায় ও অনৈতিকভাবে ব্যাহত করে আন্দোলনের নামে চরম দুর্ভোগ তৈরি করেছে যা সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য। সংস্কারের বিরোধিতা ছাড়াও অর্থ বছরের শেষ ২ মাসে তারা রাজস্ব আদায় কার্যক্রম মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত করেছে। এই তথাকথিত আন্দোলন পরিকল্পিত ও দুরভিসন্ধিমূলক যা জাতীয় স্বার্থ এবং নাগরিক অধিকারের চরম পরিপন্থি। সরকারের পক্ষ থেকে রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের দাবি বিবেচনায় নেয়ার সুস্পষ্ট ঘোষণা দেয়া হয় এবং আলোচনায় আসার আহ্বান জানালেও তারা তা অগ্রাহ্য করে।
আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার গ্রহণযোগ্য সমাধান না করে তারা আন্দোলনের নামে অনমনীয় অবস্থান নিয়ে ক্রমাগত দেশের অর্থনীতির ক্ষতি করে চলেছে উল্লেখ করে এই বিবৃতিতে আরো বলা হয়, এ পরিস্থিতিতে, অতি জরুরি আমদানি-রপ্তানি ও বৈদেশিক বাণিজ্যের কার্যক্রম চলমান রাখার জাতীয় স্বার্থে সরকার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আওতাধীন সকল কাস্টমস হাউস, আইসিডি, বন্ড কমিশনারেট এবং শুল্ক স্টেশনসমূহের সকল শ্রেণির চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় সার্ভিস (Essential Services) ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা আশা করি, অনতিবিলম্বে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মস্থলে ফিরে যাবেন এবং আইনবিরোধী ও জাতীয় স্বার্থ বিধ্বংসী কর্মকাণ্ড থেকে সরে আসবেন। অন্যথায় দেশের জনগণ ও অর্থনীতির সুরক্ষায় সরকার কঠোর হতে বাধ্য হবে।
পাঠকের মতামত
চোরদের স্বার্থে আঘাত লাগছে তাই আন্দোলন, আন্দোলন খেলছে আর দেশের বারোটা বাজাচ্ছে। কিছু গার্মেন্টস মালিক ওদের কে উৎসাহ দিচ্ছে। এরা হচ্ছে ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর।
প্রতিটি জনসং সৃষ্ট জনস্বার্থ ও সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো এভাবেই দেখতে হবে শুধু রাজস্ব বিভাগের আয়কর বিভাগের বিষয় নয় জনগণের প্রতিনিয়ত সমস্ত প্রয়োজনীয় জীবন যাপন এবং স্মৃতিশীল শান্তিপূর্ণ সকল ডঃ সমূহ সরকারি বেসরকারি বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে একই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া অত্যাবশ্যক। জনগণের মঙ্গলে শেষ কথা নির্বাচন নির্বাচন নির্বাচন নির্বাচন পাগল পাগলের কথা।
ইনকাম ট্যাক্স আর ভ্যাটে আছে চোরদের সম্রাজ্য। বর্তমান চেয়ারম্যান এই চোরদের সম্রাজ্যটাকে কেটেছেঁটে ছোট বানিয়ে ফেলেছেন। তাই চোরেরা চায় এই চেয়ারম্যান চলে যাক। এরা বিনা কারণে মানুষকে অডিটের হয়রানি করে। বর্তমান চেয়ারম্যান সাধারণ জনগণের এই হয়রানির বিরুদ্ধে। তাই সব চোরেরা চাচ্ছে বর্তমান এনবিআর এ র বর্তমান চেয়ারম্যান যেন না থাকে।
Right works
কঠোর হউন, নইলে এরা কিন্তু আপনাদের সকল অর্জন বিনষ্ট করবে
অসাধারন সিদ্ধান্ত ।