অনলাইন
সহযোগীদের খবর
বিএনপিকে চাপে রাখতে ‘প্রেশার গ্রুপ’ সৃষ্টির চেষ্টা
অনলাইন ডেস্ক
(১ দিন আগে) ৩০ জুন ২০২৫, সোমবার, ৯:৩০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৬:৫৩ অপরাহ্ন

দেশ রূপান্তর
বিএনপিকে চাপে রাখতে ‘প্রেশার গ্রুপ’ সৃষ্টির চেষ্টা-এটি দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিএনপিকে চাপে রাখতে প্রেশার গ্রুপ তৈরির চেষ্টা চলছে। এ চেষ্টায় জামায়াতকে আড়ালে রাখা হয়েছে। নির্বাচন শেষে ক্ষমতার কাছাকাছি থাকা, নির্দিষ্ট আসনে ছাড় পাওয়াসহ একাধিক এজেন্ডা সামনে রেখে প্রেশার গ্রুপ তৈরির কাজ এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। সবার আগে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোকে একত্র করে প্রেশার গ্রুপ করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের একাধিক নেতা ও সরকারের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র দেশ রূপান্তরকে এ তথ্য জানিয়ে বলে, গত শনিবার ঢাকায় ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশ প্রেশার গ্রুপ তৈরির এ আভাস দেওয়া হয়েছে। সমাবেশ সফল করতে জামায়াতসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলো জনবল সরবরাহ করেছে।
সূত্রগুলো বলছে, জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোর মতবিরোধ ও দূরত্ব রয়েছে। তা সত্ত্বেও কয়েকটি লক্ষ্য স্থির করে প্রেশার গ্রুপ তৈরি করে মতবিরোধ ও দূরত্ব কমাতে চান ধর্মভিত্তিক দলের সামনের সারির নেতারা। সূত্র আরও জানায়, ইসলামী আন্দোলনের ঢাকার মহাসমাবেশে ধর্মভিত্তিক বিভিন্ন দলের অংশগ্রহণ দেখা গেছে। জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেলও উপস্থিত ছিলেন ওই মহাসমাবেশে।
সূত্রমতে, যেহেতু পর্দার অন্তরালে জামায়াত প্রেশার গ্রুপ সংগঠিত করার কাজ এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে, তাই কৌশলগত কারণে ফ্রন্টলাইনে এখনো আসতে চাইছে না জামায়াত। ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল ছাড়াও এনসিপি, গণ অধিকার পরিষদসহ ডান-বামঘেঁষা দলের অনেক নেতা ওই সমাবেশে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দিয়েছেন। মহাসমাবেশে তাদের উপস্থিতি প্রমাণ করে তলেতলে প্রেশার গ্রুপ তৈরির প্রাথমিক ঐক্য হয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘নির্বাচন বিলম্বিত করার কোনো চেষ্টা দেশের জনগণ মেনে নেবে না। নির্বাচন বিলম্বিত করতে যে ঐক্যের চেষ্টা চলছে, জনদাবির কাছে তা বানের জলের মতো ভেসে যাবে।’
এ প্রসঙ্গে জামায়াতের নায়েবে আমির আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘নির্বাচন যেমন জরুরি, তেমনি একটি রাষ্ট্রীয় কাঠামো তৈরি করাও ভীষণ জরুরি। আমরা নির্বাচনও চাই, রাষ্ট্রীয় কাঠামোর বিনির্মাণে সংস্কারও চাই।’ তিনি বলেন, ‘একটি স্থায়ী কাঠামোর বিনির্মাণে নির্বাচন কিছুটা পেছালেও জনগণ আপত্তি তুলবে না। নির্বাচনকে গুরুত্ব দিয়ে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো গুরুত্বহীন করে তুললে সংকট থেকেই যাবে।’
ভোট হলেই ক্ষমতায় আসবে বিএনপি, এ রকমই ধারণা সবার। বিএনপির ভেতরেও একই ধারণা। বিএনপি চায় দ্রুত নির্বাচন। অন্যরা বিএনপির কাছ থেকে সুবিধা আদায় করে নিতে চায়। সরকার চায় বিএনপিকে ম্যানেজ করে ক্ষমতা কিছুটা দীর্ঘস্থায়ী করতে। এ বিবেচনা থেকেই প্রেশার গ্রুপ খুব জরুরি মনে করছে সরকার, জামায়াত ও অন্যান্য রাজনৈতিক দল।
বিভিন্ন রাজনৈতিক সূত্র মনে করে, চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দেশে বিএনপির মতো শক্তিশালী সংগঠন দ্বিতীয়টি নেই। দলটিকে সমীহ করে অপরাপর রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের সুবিধা আদায় করে নেওয়ার রাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছে। তবে নির্বাচন প্রশ্নে বিএনপির সঙ্গে সরকার ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলে কিছুটা দূরত্ব দেখা দিয়েছে। এ দূরত্ব কমাতে বিএনপিও সচেষ্ট। অন্তর্বর্তী সরকার, জামায়াত, এনসিপিসহ অন্য দলও তা চায়। বিএনপিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রেশার গ্রুপের প্রয়োজনীয়তা দেখছে তারা। নির্বাচন আদায় করে নেওয়ার প্রশ্নে এসব বুঝেও না বোঝার চেষ্টা করছে বিএনপি, বিভিন্ন দলের চাওয়া-পাওয়ার দাবিগুলোয় সায় দিয়ে যাচ্ছে তারা।
প্রায় ১৮ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি দ্রুত নির্বাচন আদায় করে নিতে চায়, অবশ্য সব দল ও সরকারের সঙ্গে সৌহার্দ্যরে সম্পর্ক রেখে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে বিএনপি জোরালো অবস্থান নিয়েছে। নির্বাচন প্রশ্নে দেশের জনগণ তাদের সঙ্গে রয়েছে ধরে নিয়ে অন্যদের প্রেশার গ্রুপ তৈরির তথ্য পেয়েও আমলে নিচ্ছে না বিএনপি।
জানা গেছে, জামায়াত, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও অন্য রাজনৈতিক দলের নির্বাচনে তেমন আগ্রহ নেই। তাদের বেশি আগ্রহ সংস্কার নিয়ে। অন্তর্বর্তী সরকারও সংস্কারকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে, প্রেশার গ্রুপ তৈরি হলে তাদের লাভ ছাড়া ক্ষতি নেই; তাতে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করা সম্ভব হবে। নির্বাচনকে সেকেন্ড প্রায়োরিটি রেখেছে জামায়াত-এনসিপিও। বিএনপির নির্বাচনের চাপ মোকাবিলায় প্রেশার গ্রুপ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
এনসিপিসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে এক কাতারে নেওয়ার পরিকল্পনা সফল ও সার্থক হলে অন্য সবাইকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বিএনপিকে টেক্কা দেওয়ার রাজনীতি শুরু করবে জামায়াত। বিএনপির সঙ্গে ক্ষমতাকেন্দ্রিক নানা ইস্যুতেও দর-কষাকষিতে জড়াবে এ প্রেশার গ্রুপ। তখন সরকার কিছুটা স্বস্তিতে দেশ পরিচালনা করতে পারবে।
এনসিপির চিন্তায় দ্বিতীয় বিবেচনা নির্বাচন, এটি স্পষ্ট দলটির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বক্তব্যে। তিনি গতকাল রবিবার বলেছেন, ‘আপনারা যেভাবে টাইমলাইন করে ভোটের দাবি জানাচ্ছেন, ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন চাচ্ছেন, ঠিক সেভাবে টাইমলাইন করে ভোটের দাবির সঙ্গে বিচার ও সংস্কারের দাবিও করুন।’
প্রথম আলো
দৈনিক প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম ‘সংস্কার প্রশ্নে দলগুলোর ঐকমত্য নিয়ে সংশয়’। খবরে বলা হয়, সাংবিধানিক পদগুলোতে নিয়োগের পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তিন দফা আলোচনা করেও কোনো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এ ছাড়া বেশির ভাগ মৌলিক সংস্কার প্রস্তাব নিয়েও এখন পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চলমান এই আলোচনার অগ্রগতি আশাব্যঞ্জক নয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ। গতকাল রোববার বৈঠকের শুরুতে তিনি বলেন, ‘আমরা স্বপ্ন দেখেছিলাম আবু সাঈদের শাহাদাতবার্ষিকীতে (১৬ জুলাই) সবাই মিলে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করব। কিন্তু বাস্তবে সেটা কতটা সম্ভব হবে, তা নির্ভর করছে রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর। এ বিষয়ে আমাদের এখন খানিকটা শঙ্কাও রয়েছে।’
সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য তৈরির লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় পর্বে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করছে ঐকমত্য কমিশন। এই পর্বে মৌলিক সংস্কারের ২০টির মতো প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। এখন পর্যন্ত সাত দিনে আলোচনা হয়েছে ৯টি বিষয়ে। ঐকমত্য হয়েছে মাত্র দুটি বিষয়ে। আর কিছু ক্ষেত্রে আংশিক ঐকমত্য হয়েছে। তবে কোনো বিষয় এখনো আলোচনার টেবিল থেকে বাদ দেওয়া হয়নি।
এখন পর্যন্ত যে ৯টি সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে, সেগুলো হলো সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে পরিবর্তন, বিরোধী দল থেকে সংসদীয় কমিটির সভাপতি করা, ১০০ নারী আসনে সরাসরি ভোট, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ, প্রধান বিচারপতি নিয়োগ, জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠন, রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদকাল (এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ কত সময় প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন) এবং সংবিধানে রাষ্ট্রের মূলনীতি। এর মধ্যে এনসিসির পরিবর্তে ‘সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ কমিটি’ গঠনের নতুন প্রস্তাব আনা হয়।
যুগান্তর
‘দ্বিকক্ষ সংসদে নীতিগত মত অধিকাংশ দলের’-এটি দৈনিক যুগান্তরের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ বলেছেন, দ্বিকক্ষ সংসদ নিয়ে অধিকাংশ দল নীতিগতভাবে একমত হয়েছে। কিছু কিছু দল সামান্য কারণে আপত্তি জানিয়েছে। রোববার বিকালে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
আলী রীয়াজ বলেন, নির্বাচনের প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রাপ্ত ভোটের মাধ্যমে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে ভোট করার জন্য অধিকাংশ দল মতামত দিয়েছে। কিছু কিছু দল এই বিষয়ে সুস্পষ্ট আপত্তি জানিয়েছে। অধিকাংশ রাজনৈতিক দল যেহেতু দ্বিকক্ষ পার্লামেন্ট গঠনে আগ্রহী, সেক্ষেত্রে ভোট গ্রহণের প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে একমত হতে পারব। এ বিষয়ে যেসব দলের আপত্তি আছে তারা জানিয়েছে ফের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবে।
তিনি বলেন, ঐকমত্য কমিশন থেকে জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছিল। এরপর অনেক রাজনৈতিক দল প্রস্তাবটি সমর্থন করছে না। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ কমিটি নামে নতুন কমিটি করার প্রস্তাব করেছিলাম। সেখানে এনসিসির যেসব দায়দায়িত্ব ছিল, তা সীমিত করে কাঠামোগত দিক পরিবর্তন করা হয়। যেসব রাজনৈতিক দল কমিটিকে স্বাগত জানিয়েছিল তারা এর বিস্তারিত জানতে চেয়েছিল। আমরা তার পরিপ্রেক্ষিতে আজকে নতুন কাঠামোগত দিকের প্রস্তাব তুলে ধরেছি।
কালের কণ্ঠ
দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম ‘দেশব্যাপী অপরাধ বাড়ছেই’। খবরে বলা হয়, রাজধানীসহ দেশজুড়ে হত্যা, ডাকাতি, অপহরণ ও ছিনতাই, ধর্ষণ, মব সৃষ্টি করে নির্যাতনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। যৌথ বাহিনী, পুলিশ ও র্যাবের সাঁড়াশি অভিযানেও থামানো যাচ্ছে না এসব অপরাধ কর্মকাণ্ড। ধর্ষণের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না শিশুকন্যা থেকে বৃদ্ধা পর্যন্ত। আবার লাশবাহী অ্যাম্বুল্যান্স থামিয়ে ডাকাতির মতো চাঞ্চল্যকর ঘটনাও ঘটছে।
অপরাধ বিশ্লেষকরা বলছেন, সব ধরনের অপরাধ বাড়ার পেছনে অন্যতম কারণ হচ্ছে, দেশে পটপরিবর্তনের পর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যে অবনতি হয়েছিল, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা তা এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি। ফলে অপরাধ কর্মকাণ্ড থামছে না। প্রায়ই চাঞ্চল্যকর অপরাধের ঘটনায় দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হচ্ছে। এসব চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে দেশের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ায় দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণ করলেই দেখা যায়, দিন দিন হত্যা, নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, ডাকাতি, দস্যুতা ও চুরি, ছিনতাইয়ের ঘটনা বাড়ছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্যে দেখা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত পাঁচ মাসে দেশে এক হাজার ১৩৯টি ডাকাতি ও দস্যুতার মামলা হয়েছে, যা গড়ে প্রতি মাসে ২২৮টি। গত বছর প্রতি মাসে এই সংখ্যা ছিল গড়ে ১৫৮। এই পাঁচ মাসে হত্যা মামলা হয়েছে এক হাজার ৫৮৭টি, যা গড়ে প্রতি মাসে ৩১৭টি।
আগের বছর প্রতি মাসে ছিল ২৮৬টি। নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনায় গত পাঁচ মাসে ৯ হাজার ১০০ মামলা হয়েছে, যা গড়ে প্রতি মাসে এক হাজার ৮২০টি। আগের বছর গড়ে প্রতি মাসে নারী ও শিশু নির্যাতনের আইনে মামলা ছিল এক হাজার ৪৬৪টি। অপহরণের মামলা এই পাঁচ মাসে গড়ে প্রতি মাসে ৮৭টি; গত বছর প্রতি মাসে ছিল ৫৪টি। চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনায় এই পাঁচ মাসের মধ্যে গড়ে প্রতি মাসে ৯৮৫টি মামলা হয়েছে।
সমকাল
‘নানামুখী চাপে আটকে আছে জেলা প্রশাসক পদায়ন’-এটি দৈনিক সমকালের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, সাড়ে পাঁচ মাস আগে শুরু হলেও জেলা প্রশাসক বা ডিসি নিয়োগের বাছাই প্রক্রিয়া এখনও শেষ হয়নি। পছন্দের কর্মকর্তা খুঁজতে ও ত্রিমুখী রাজনৈতিক চাপ সমন্বয় করতে গিয়ে ডিসি পদায়নে দেরি হচ্ছে বলে জনপ্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর ডিসি নিয়োগের তালিকা তৈরি করা হয়। এ তালিকায় বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ২৪, ২৫ ও ২৭তম ব্যাচের কর্মকর্তা ছিলেন ১০৬ জন। এর মধ্যে ৬৪ জনকে ডিসি করার পর বাকি ৪২ কর্মকর্তা অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকলেও তাদের নানা কারণে এখন গ্রহণযোগ্য মনে করছে না মন্ত্রণালয়। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এসব কর্মকর্তাকে ডিসি পদে পদায়ন না করার সিদ্ধান্ত হয়। ফলে চার মাস পর গত ১১ জানুয়ারি নতুন তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়। এখনও সেই সাক্ষাৎকার চলছে।
এ অবস্থায় ২১ জন ডিসি তিন মাস আগে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি পেলেও তাদের জেলা থেকে প্রত্যাহার করা হয়নি। আবার সম্প্রতি শরীয়তপুরের ডিসিকে নারীবিষয়ক ঘটনায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ওএসডি করা হলেও সেখানে নতুন ডিসি পদায়ন করা হয়নি।
ইত্তেফাক
দৈনিক ইত্তেফাকের প্রথম পাতার খবর ‘শাটডাউনে চট্টগ্রাম বন্দরে দুই দিনে ৫০০ কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি’। প্রতিবেদনে বলা হয়, এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তাদের আন্দোলনের কারণে গতকাল রবিবার দ্বিতীয় দিনের মতো দেশের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এনবিআরসহ দেশের সব বন্দর, কাস্টমস হাউস ও শুল্ক-কর কার্যালয়ে পালিত হয় ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি। চট্টগ্রাম বন্দর, বেনাপোল বন্দর, ভোমরা বন্দর, ঢাকা কাস্টম হাউসসহ দেশের সব কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশনে কাজ হয়নি। এতে এসব জায়গায় শুল্ক-কর আদায় কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। চট্টগ্রাম কাস্টমস ও বন্দর দু্ই দিনের কর্মবিরতির কারণে ৫০০ কোটি টাকার রাজস্ব বঞ্চিত হয়েছে
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সংস্কার ও চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খানের অপসারণের দাবিতে গত শনিবার থেকে সারাদেশে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ‘শাটডাউন’ এবং রাজধানীতে ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচির ডাক দেয় এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।
চট্টগ্রাম অফিস থেকে সালাহউদ্দিন মো. রেজা জানান, কাস্টমসের শাটডাউন কর্মসূচির কারণে চট্টগ্রাম কাস্টমস ও বন্দর প্রতিদিন প্রায় আড়াইশত কোটি টাকা আদায় থেকে বঞ্চিত হয়। সে হিসেবে দুইদিনে পাঁচশ কোটি টাকার ক্ষতি হয়। আমদানি পণ্য নিয়ে আসা জাহাজসমূহ চট্টগ্রাম বন্দরের জেটি ও বহির্নোঙরে অতিরিক্ত সময় অবস্থান তথা পণ্য খালাস করতে না পারায় আমদানিকারককে প্রতিদিন হাজার হাজার ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে হয়।
বিশেষ করে বাল্ক কার্গো বা খোলা অবস্থায় আসা পণ্যবাহী জাহাজ জেটিতে পৌঁছার পর প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ পণ্য খালাস করতে না পারলে জাহাজ মালিককে ক্ষতিপূরণ দিতে হয়। জেটি ও বহির্নোঙরে থাকা লাইটারেজ ও মাদারভেসেল অতিরিক্ত সময় অবস্থানের কারণেও অতিরিক্ত ডেমারেজ চার্জ দিতে হয়। এ ধরণের সকল চার্জ আমদানিকারকের পক্ষ থেকে দেয়া হলেও সর্বশেষ পর্যায়ে তা আমদানিকৃত পণ্যের সাথে যোগ হয় এবং সবশেষে তা ভোক্তাদের বহন করতে হয়।
বণিক বার্তা
‘রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আয়ের প্রায় ৬৪ শতাংশই ক্যাপাসিটি চার্জ’-এটি দৈনিক বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিপরীতে কেন্দ্রটি আয় করে ৫ হাজার ১৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে এনার্জি চার্জ (জ্বালানি ও আনুষঙ্গিক) হিসেবে পায় ২ হাজার ১৪২ কোটি টাকা, আর ক্যাপাসিটি চার্জ থেকে আসে ৩ হাজার ২৭৬ কোটি টাকা। সে হিসাবে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদনক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ওই অর্থবছরে যে আয় করেছে তার প্রায় ৬৪ শতাংশই এসেছে ক্যাপাসিটি চার্জ থেকে।
বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল) পরিচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি স্বাভাবিক উৎপাদনে থাকলে ক্যাপাসিটি চার্জ কোনোভাবেই এত বেশি হওয়ার কথা নয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তাই কেন্দ্রটির প্রকৃত বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা যাচাইসহ আর্থিক নানা অসংগতি খতিয়ে দেখার আহ্বান তাদের। কেননা ক্যাপাসিটি চার্জ এখন বিদ্যুৎ খাতের জন্য গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাগেরহাটের রামপালে নির্মিত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নিয়ে শুরু থেকেই রয়েছে বিতর্ক। বিশেষ করে সুন্দরবনের কোলঘেঁষে এ ধরনের প্রকল্প নির্মাণ পরিবেশকে ব্যাপকভাবে ক্ষতির মুখে ফেলবে বলে পরিবেশবাদীদের বড় রকমের আশঙ্কা। সেই সঙ্গে এর অতিরিক্ত নির্মাণ ব্যয়, ব্যবহৃত কয়লার দামসহ নানা বিষয় নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিশেষজ্ঞরা।
আজকের পত্রিকা
দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম ‘তিন ইস্যু নিয়ে ভোটে সংশয়’। প্রতিবদনে বলা হয়, লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের পর ২০২৬ সালের রমজান শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহেও নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে, এমন ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল যৌথ বিবৃতিতে। সে ক্ষেত্রে ওই সময়ের মধ্যেই সংস্কার এবং জুলাই হত্যাযজ্ঞের বিচারের বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি অর্জন করা প্রয়োজন হবে। এ লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলসহ অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। তবে এখন পর্যন্ত মৌলিক কিছু বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় হিমশিম খাচ্ছে কমিশন। মোটাদাগে তিন বিষয়ে ঝুলে আছে আলোচনা। বিষয়গুলো সমাধান না হলে আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে সংশয় কাটছে না।
কখনো নেপথ্যে, কখনো আনুষ্ঠানিক সংলাপের যেটুকু প্রকাশ্যে আনা হয়েছে, তাতে এটা পরিষ্কার যে কী কী জোগাড়যন্ত্র করে, কীভাবে এবং ঠিক কখন জাতীয় নির্বাচন করা যাবে, সে বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বেশ দূরত্ব রয়ে গেছে। এ দূরত্ব থাকার বিষয়টি স্বীকারও করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের সপ্তম দিন গতকাল রোববার তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন বিষয়ে অগ্রগতি হলেও সত্যি কথা হচ্ছে, আশাব্যঞ্জক অগ্রগতির ক্ষেত্রে আমরা খানিকটা পিছিয়ে আছি।’
বিএনপি ও সমমনা দলগুলো, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) মাঠে সক্রিয় দলগুলোর সাম্প্রতিক বক্তব্যে এটা পরিষ্কার যে আইনসভার গঠনপ্রক্রিয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে দলগুলো কমপক্ষে দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। বিএনপি ও সমমনা দলগুলো আগে জাতীয় নির্বাচন চায়; অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন ও এনসিপি চায় আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন। তারা মনে করছে, ইউনিয়ন ও উপজেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা নির্বাচনে দল তিনটির ভালো করার সুযোগ আছে। এতে বিএনপি এককভাবে জাতীয় নির্বাচনে নিরঙ্কুশ ফল পেতে পারে, এমন ধারণা ভুল প্রমাণ করা যেতে পারে। এর বাইরে নির্বাচন কমিশন ও মাঠ প্রশাসনের অবস্থাও যাচাই হয়ে যেতে পারে।
বাংলাদেশ প্রতিদিন
‘পুনর্গঠন হচ্ছে নির্বাচন কমিশন’-এটি দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, পুনর্গঠন হচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইতোমধ্যে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)সহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ইসি পুনর্গঠনের দাবি জানিয়ে আসছে। গত ২২ জুন নির্বাচন কমিশনে দলের নিবন্ধন আবেদন জমা দিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, ‘দেশে অনেক সংস্কার শুরু হয়েছে। জনগণের দাবি, অবশ্যই নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন হবে। আমরা এখনো দাবি করছি বর্তমান ইসির পুনর্গঠন করতে হবে। এ ইসি পুনর্গঠন হতে হবে এবং পুনর্গঠন হবেই। আমরা ‘বি’ অপশনে যাচ্ছি না। আর কোনো বিকল্প নেই।’ পরে ওইদিন বিকালে তারা সিইসির সঙ্গে বৈঠকও করেন।
এদিকে দলগুলোর দাবির মুখে ইসি পুনর্গঠন হচ্ছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার শেষ কর্মদিবসে ইসি পুনর্গঠনের সেই বার্তা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনকে জানিয়ে দিয়েছেন বলে জানা গেছে। সেই বার্তা পেয়ে সিইসি গতকাল অফিস করেননি। তবে ইসি সচিব বলেছেন, তিনি চিকিৎসাধীন।
গত বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সিইসির বৈঠক হওয়ার পরে অনেকের ধারণা ছিল গতকাল নির্বাচন কমিশনে বৈঠক হবে এবং ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো আলোচনা হবে। কিন্তু তা হয়নি। এমনকি সিইসি নির্বাচন ভবনেও আসেননি। যদিও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার অফিসেই ছিলেন। ইসির কর্মকর্তা ও মিডিয়া কর্মীদের মধ্যে দিনভর কৌতূহল ছিল কেন সিইসি অফিসে এলেন না। অনেকেই মনে করছেন এটা হলো ‘পলিটিকো অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সিকনেস’। সিইসির বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ গতকাল বিকালে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সিইসি বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন। সিইসির দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন তিনি। বলেন, আমাদের সবার প্রত্যাশা সিইসি দ্রুত সুস্থ হয়ে অফিসে আসবেন।
পাঠকের মতামত
রাষ্ট্রীয় কার সঙ্গে পুনরবিন্যাসে বা সংস্কারের কোনো বিকল্প নেই। বিএনপি চাইলে এ বিষয়গুলোতে আরো আন্তরিকতার সাথে সহযোগিতা করতে পারে সরকারকে তাহলে আর নির্বাচনের অস্থিরতা নিশ্চিত কিছুই থাকবে না। মূল বিষয় না এগিয়ে জনগণ কোন নির্বাচন চায় না।