শরীর ও মন
মেয়েদের চর্মরোগ একজিমা
ডা. দিদারুল আহসান
৩ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবারবিভিন্ন চর্মরোগের মধ্যে হাতের একজিমা অন্যতম। নারীরা, বিশেষ করে যারা পানির কাজ করেন বেশি, সারা দিন সাবান বা সোডাজাতীয় জিনিসের সংস্পর্শে আসেন, কাপড় চোপড় বা বাসনকোসন পরিষ্কার করেন, তারা সাধারণত এ রোগে আক্রান্ত হন বেশি। শুধু নারীরা নন, যেসব পেশায় অনেকক্ষণ পানির কাজ করতে হয় বা সাবান দিয়ে বারবার হাত ধুতে হয়, সেসব পেশার মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হন বেশি।
একজিমা হলে শুরুতে আঙ্গুলগুলো লাল ও শুকনা হয়ে ফেটে যায়। হাতের চামড়ায় ফোসকা পড়ে। অনেক সময় ত্বক ফেটে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়। আঙ্গুলে আংটি থাকলে এর চারপাশে একজিমা প্রকট হয়ে ওঠে। কারণ, আংটি একই স্থানে থাকে। ফলে পানি ও সাবান আংটির তলায় জমা হয়।
অনেক সময় কিছু সবজি বা খাবার, যেমন আদা, পিয়াজ, টমেটো, গাজর, ডুমুর, কুমড়া, বেগুন, পেঁপে ইত্যাদির অ্যালার্জি থেকেও হাতে একজিমা হতে পারে। খাবারের প্রোটিন জাতীয় অংশ প্রায়ই অ্যালার্জি সৃষ্টি করে। এর মধ্যে রয়েছে আলু, গম, খোলযুক্ত চিংড়ি, কাঁকড়া ইত্যাদি। এ ছাড়া গ্লাভসসহ প্লাস্টিকের পণ্য ও নিকেলজাতীয় ধাতবের সংস্পর্শ, ফাইলোডেনড্রেন, পার্থোনিয়াম ইত্যাদি গাছ বা প্যারাফিনাইল ডাই-অ্যামাইন রং (চুলের কলপে ব্যবহৃত হয়) থেকে অ্যালার্জি হতে পারে। পটাশিয়াম ডাইক্রোমেট রাসায়নিক থেকেও অ্যালার্জি দেখা দেয়।
চিকিৎসা: একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে দীর্ঘমেয়াদে চিকিৎসা নিলে ভালো থাকা যায়। অনেক সময় পরীক্ষার মাধ্যমে এ অ্যালার্জির কারণ জানতে হয়। যাদের সব সময় পানি বা সাবান নিয়ে কাজ করতে হয়, তারা কাজের সময় কিচেন গ্লাভস পরে নিতে পারেন। হাত শুষ্ক রাখার চেষ্টা করুন। কাজ শেষে হাত মুছে ফেলুন। আবার ব্যবহৃত গ্লাভস যেন পরিষ্কার ও শুকনা থাকে, সেদিকেও লক্ষ্য রাখুন।
লেখক: চর্ম, যৌন ও এলার্জি রোগ বিশেষজ্ঞ ও কনসালট্যান্ট,
গ্রীন লাইফ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল,
৩২, গ্রীন রোড, ধানমণ্ডি, ঢাকা। রুম নাম্বার ৪৩২, সাক্ষাতের সময় বিকাল ৪-৬টা পিএম।
সেল-০১৭১৫৬১৬২০০, ০১৭৩৩৭১৭৮৯৪।