অনলাইন
দেশের জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় জনগণ ঐক্যবদ্ধ: ফখরুল
স্টাফ রিপোর্টার
(৬ ঘন্টা আগে) ৬ জুলাই ২০২৫, রবিবার, ১০:২৭ অপরাহ্ন
.jpeg)
দেশের জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় জনগণ ঐক্যবদ্ধ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার রাতে রাজধানীর গুলশানে হোটেল রেনেসাঁ‘য় ‘ফাউন্ডেশন ফর স্ট্র্যাটেজিক এন্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (এফএসডিএস) উদ্যোগে ‘জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে জাতীয় ঐক্য অপরিহার্য্য’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপ আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকের যে বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করেছি আমার মনে হয় যে, একটা ব্যাপারে আমরা একমত যে- আমরা আমাদের দেশের যে জাতীয় নিরাপত্তা সেই নিরাপত্তা রক্ষার ব্যাপারে জনগণ ঐক্যবদ্ধ আছে। এখানে কেউ কেউ বলতে চেষ্টা করেছেন যে, কিছুটা বিভেদ আছে, বিভাজন আছে- সেটা জনগণের মধ্যে নেই।রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মত ও পথে কিছুটা মতপার্থক্য থাকতেই পারে, যেটা স্বাভাবিক।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কিন্তু সব সময় ঐক্যবদ্ধ থেকেছে প্রয়োজনের সময়ে। প্রতিটি ক্রান্তিকালে প্রতিটি সংকটে বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে তারা দেশের নিরাপত্তা রক্ষা করেছে, দেশকে রক্ষা করেছে। আপনারা সেই তিতুমীরের পরে থেকে শুরু করেন একেবারে ২৪ পর্যন্ত আসে, দেখবেন প্রতিটি সময়ে বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দাঁড়িয়েছে তাদের প্রত্যেকটি জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করার জন্য।
মির্জা ফখরুল বলেন, ৫২‘র ভাষা আন্দোলন বলেন, ‘৬৯‘র গণঅভ্যুত্থান বলেন, ’৭০-এর নির্বাচন বলেন, ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ বলেন সর্বক্ষেত্রে মানুষ এক হয়ে লড়াই করেছে তাদের নিজের জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করবার জন্য। বাংলাদেশের মানুষ ঐতিহাসিকভাবে তারা ঐক্যবদ্ধ থাকে তাদের প্রয়োজনের সময়ে।
তিনি বলেন, মূল ব্যাপারটা হচ্ছে যে, জনগণকে ক্ষমতায়িত করতে হবে, জনগণের সার্বভৌমত্বকে নিশ্চিত করতে হবে। আমরা যদি সেটা করতে পারি তাহলে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে, আমাদের অন্যান্য বিষয়গুলো অত্যন্ত সহজ হয়ে আসবে।
ফখরুল বলেন, আমরা গণতন্ত্রের চর্চা করতে পারিনি ঠিকমতো। আমরা গণতন্ত্রকে চর্চা করতে গিয়ে প্রতি পদে পদে বাধা পেয়েছি। সেই জায়গায় আজকে আমাদেরকে একমত হতে হবে। আমার ধারণা আমরা সবাই এই ব্যাপারে একমত হয়েছি। অনেকে নীতিবাচক কথা বলছেন, আমি কিন্তু খুব ইতিবাচকভাবে দেখতে পারছি সামনে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ তর্ক করছে, বির্তক করছে, আলোচনা করছে এবং তার মধ্য দিয়ে তারা একটা জায়গায় এসে পৌঁছাচ্ছে।আমি বিশ্বাস করি, এই আলোচনার মধ্য দিয়ে তর্ক-বিতর্কের মধ্য দিয়ে আমরা সেই জায়গাটায় পৌছাবো, যেখান থেকে আমরা সত্যিকার অর্থেই গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্মাণ করবার জন্য সঠিক পথ খুঁজে বের করতে পারব।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ কথা বলে আমরা মনে করি, ইন্সটিউশনগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে। এটাকে শক্তিশালী করতে পারলে জাতীয় নিরাপত্তা আমি নিশ্চিত করতে পারব এবং অন্যান্য বিষয়গুলোকেও আমরা সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব। সেই কারণে আমি বলব, আসুন আজকে কোনো নীতিবাচক চিন্তা না করে এই যে, সামনের সময়টুকু যে সময়ের মধ্যে আমরা দেশকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মধ্যে নিয়ে যেতে চাই সেখান আমরা যেন দ্রুত যেতে পারি তার জন্য আমরা সবাই যেন কাজ করি।
এফএসডিএসের সভাপতি মেজর (অব.) জেনারেল ফজলে এলাহী আকবরের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নির্বাচন সংস্কার কমিশনের আহ্বায়ক বদিউল আলম মজুমদার, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, সাবেক সেনা প্রধান অব. লেফট্যান্ট জেনারেল নূর উদ্দিন খান, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিহউল্লাহ, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, কবি ফরহাদ মজহার, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারি মনির হায়দার, সাবেক আইজিপি আশরাফুল হুদাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, অবসরপ্রাপ্ত সামরিক ও বেসামরিক ঊধর্বতন কর্মকর্তারা এই আলোচনায় অংশ নেন।