রকমারি
আত্মহত্যার যন্ত্র সুইজারল্যান্ডে: এক মিনিটেরও কম সময়ে বেদনাহীন মৃত্যু
মানবজমিন ডিজিটাল
(৪ মাস আগে) ২৪ জুলাই ২০২৪, বুধবার, ৩:৩০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০২ পূর্বাহ্ন
সুইজারল্যান্ডে আত্মহত্যার অধিকার রয়েছে নাগরিকদের। পরিসংখ্যান বলছে, সুইজারল্যান্ডে আত্মহত্যার ঘটনা প্রায়শই ঘটে। সেখানে আত্মহত্যায় সহায়তা করাও আইনত বৈধ। শুধুমাত্র ২০২০ সালেই ১৩০০ ব্যক্তিকে আত্মহত্যায় সহায়তা করা হয়েছিল। এবার আরো একধাপ এগিয়ে এমন এক যন্ত্রের প্রথম ব্যবহার হতে চলেছে সুইজারল্যান্ডে যা এক মিনিটেরও কম সময়ে ব্যথা-বেদনাহীন শান্তির মৃত্যু বেছে নেবার সুযোগ করে দেবে মানুষকে! এক আশ্চর্য যন্ত্র বছর পাঁচেক আগেই আবিষ্কার করে ফেলেছিলেন সুইজারল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা। সেই যন্ত্রের আইনি ছাড়পত্র জোটে আরও বছর দুয়েক বাদে। সেই যন্ত্রটির প্রয়োগকে এবার অনুমোদন দিয়েছে সুইস সরকার। ছোট্ট ক্যাপসুলের মতো দেখতে যন্ত্রটির নাম ‘সারকো পড ক্যাপসুল’। যন্ত্রটিতে কৃত্রিম উপায়ে অক্সিজেন এবং কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা রয়েছে। কফিনে ঢুকে আত্মহত্যায় ইচ্ছুক ব্যক্তি একটি বোতাম টিপলেই নাইট্রোজেনে ভরে যাবে ক্যাপসুলটির অন্দর।
এতে প্রথমে অক্সিজেন কমে আসায় অস্বস্তি বোধ করলেও ধীরে ধীরে জ্ঞান হারাবেন ওই ব্যক্তি। তবে কোনও আতঙ্ক বা দমবন্ধকর পরিস্থিতি গ্রাস করবে না তাঁকে। এর পর কিছুক্ষণের মধ্যেই হাইপোক্সিয়া এবং হাইপোক্যাপনিয়ায় মারা যাবেন ওই ব্যক্তি। মূল মেশিন থেকে বিচ্ছিন্ন করলে একে দেখতে হবে খানিকটা কফিনের মতো। সেই কফিনে এক বার শুয়ে পড়লেই নিমেষে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বেন ব্যবহারকারী। এই যন্ত্র ব্যবহার করে আত্মহননে খরচ হবে মাত্র ১৮ সুইস ফ্রাঁ। এই যন্ত্রের প্রথম ব্যবহারকারী কে হতে চলেছেন, সে বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি সংস্থা। ঘটনাটি না ঘটা পর্যন্ত এ বিষয়ে বিশদে মুখ খুলতেও নারাজ তারা। প্রাথমিক ভাবে সারকো পড ব্যবহারের জন্য ন্যূনতম বয়ঃসীমা ৫০ নির্ধারণ করা হয়েছে। সব ঠিকঠাক চললে চলতি বছর শেষের আগেই এই যন্ত্রটি প্রথমবার ব্যবহার করা হতে পারে বলে জানিয়েছে নির্মাণকারী সংস্থা এগ্জিট ইন্টারন্যাশনাল।
সূত্র : wionews
যন্ত্রনা বীহিন যন্ত্র সারকো পড ক্যাপসুল মানুষের মৃত্যু যন্ত্রনাকে রোদ করতে পারবেনা। বোকা বৈজ্ঞানিক। মানুষ মরার পর যদি জীবিত হয়ে সাক্ষী গ্রহন করা যেত তাহলে হয়তো বিস্বাস করতাম। বৈজ্ঞানিক নিজে নিজে এটা পরিক্ষা করুক দেখি।
জীবন একটাই এবং একবারই, যত দুঃখ-কস্টই হোক না কেন ইসলাম কাউকে সেচ্ছায় মারা যাওয়া সমর্থন করে না, এটা মহাপাপ,আল্লাহ আমাদেরকে হেফাজত করুন, আমিন
শান্তিপূর্ণ মৃত্যু হলে তো মরার হিড়িক পড়ে যাবে দেখছি। হয়তো শান্তির জন্য ‘সারকো পড ক্যাপসুল’ বাংলাদেশেও কেনার হিড়িক পড়ে যাবে। দেখা যাক, সাহসী লোকজন কি করে?
Just wondering how they know that it will be a painless death. Did anyone ask the dead person about the pain.
মৃত্যূকে উৎসাহিত খবর ছাপানো এবং পরিবেশন না করাই ভালো! এটা মানব জাতীর জন্য শুভকর নয়!
আল্লাহ'র দেওয়া শাস্তি কেউ দেকতে পারবেনা,