ঢাকা, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিঃ

অনলাইন

ইসি ও দুদক পুনর্গঠনের দাবি ডা. জাহিদের

স্টাফ রিপোর্টার

(১ সপ্তাহ আগে) ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বুধবার, ৪:৩৪ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৫ পূর্বাহ্ন

mzamin

শেখ হাসিনা সরকারের মদদপুষ্ট নির্বাচন কমিশন ও দুর্নীতি দমন কমিশন পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন। বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের ত্রাণ সংগ্রহ কমিটির আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।

জাহিদ হোসেন বলেন, এখন অতীব জরুরি নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করা। কারণ এই দুটি প্রতিষ্ঠানে বিগত সরকারের সুবিধাভোগীদের বসিয়ে রাখা হয়েছে। এই সমস্ত সুবিধাভোগীদের ঝেঁটিয়ে বিদায় করা সরকারের দায়িত্ব। আমরা আশা করি, এই সরকার ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফসল, তারা তাদের সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

শেখ হাসিনার শাসনামলে গঠিত নির্বাচন কমিশন তাদের তল্পিবাহক ছিল অভিযোগ করে তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন-এই দেশের বিগত রেজিম যেটি ছিলো সেটিকে পাকাপোক্ত করার জন্য যারা সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে, সেটি হলো এই ভুয়া নির্বাচন কমিশন। তারা দলদাস তল্পিবাহক একটি কমিশন। ওই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলে আজকেও তাদের গঠন করা নির্বাচন কমিশন বহাল তবিয়তে বসে আছে।

ডা. জাহিদ বলেন, যারা গত ৭ই জানুয়ারি ‘আমি আর ডামি’র নির্বাচন করেছে, যারা এক সময়ে দিনের ভোট রাতে করেছে, যারা এক সময়ে বিনা ভোটে এমপি উপহার দিয়েছে, এই তিনটা নির্বাচন কমিশন আমরা এরকমই দেখেছি। বর্তমান এই কমিশন আজ অবধি নির্লজ্জের মতো বসে আছে। আমি মনে করি, এই নির্বাচন কমিশনের বোধোদয় হওয়া উচিত, জনগণের রোষ থেকে বাঁচার জন্য পদত্যাগ করে এই সরকারকে সুযোগ দেয়া উচিত নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের। অন্যথায় সত্যিকার অর্থে জনরোষ থেকে কেউ রক্ষা পাবে না।

একই সঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, দুদকের যে সমস্ত কমিশনার ও কর্মকর্তারা এখনো বসে আছেন বিগত সরকারের সুবিধাভোগী হিসেবে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলব, অতীব জরুরি দুদক পুনর্গঠন করা। কারণ দুদকে পতিতদের আত্মীয়-স্বজন, উনাদের সুবিধাভোগী লোকজনকে বসিয়ে রেখে তৎকালীন বিরোধী দলসহ দেশের মানুষের ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে।

জাহিদ হোসেন বলেন, আজকে ১৮ লক্ষ কোটি টাকা বলেন আর ১৫ লক্ষ কোটি টাকা বলেন-পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনতে হলে, ব্যাংক লুটের অর্থ ফিরিয়ে আনতে হলে, সেই সংবাদকর্মী হোক, চিকিৎসক হোক, স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতি বের করতে হলে, আইসিটির দুর্নীতি বের করতে হলেও অথবা গেটওয়ের দুর্নীতি বের করতে হলেও শক্তিশালী দুর্নীতি দমন কমিশন দরকার। নির্মোহভাবে যারা দায়িত্ব পালন করবেন, এসব সুবিধাভোগীচদেরকে ঝেটিয়ে বিদায় করা সরকারের দায়িত্ব।

তিনি বলেন, বিএনপি ও তার অঙ্গ-সংগঠনসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ দুর্গত মানুষের জন্য নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী ত্রাণ সামগ্রী দিচ্ছে। আমি দুইদিন আগে বলেছিলাম, প্রায় ১০ কোটি টাকার ত্রাণ সামগ্রী বন্যা কবলিত এলাকায় সমন্বিতভাবে বিতরণ করা হয়েছিলো আজ থেকে তিনদিন আগে। আমাদের এই ত্রাণের কার্যক্রম, ব্যাপকতা, গ্রহণযোগ্যতা, অংশগ্রহণ এমন আকার ধারণ করেছে আমরা গতকালকে রাত পর্যন্ত প্রায় ১৩ কোটি টাকার অধিক ত্রাণ সামগ্রী এবং নগদ অর্থ দুর্গত মানুষের মাঝে বিতরণ করতে পেরেছি।

জাহিদ বলেন, আমরা সুস্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, এই ত্রাণ আমরা শুধু একটি জিনিস খেয়াল রাখছি নৈতিকভাবে দুর্বল অবস্থানে যারা আছেন তাদের ত্রাণ আমরা গ্রহণ করছি না। মনে রাখতে হবে আমরা চাই, বিগত রেজিমে ‍সুবিধাভোগী মানুষ যাতে এখানে ঢুকে না পড়ে, ত্রাণ দিয়ে নিজেকে আড়াল করতে না পারে সেই বিষয়টি বিএনপি অত্যন্ত সচেতনতার সাথে খেয়াল রাখছে। দুই একটি জায়গায় একটু ভুল হয়েছিলো আমরা তাদের সেই ত্রাণ সহায়তা ফিরিয়ে দিয়েছি। কাজেই আমরা এই ব্যাপারে অত্যন্ত সজাগ, এই ত্রাণে অংশগ্রহণ করছে এদেশের বেশিরভাগ সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ, জাতীয়তাবাদী পরিবার এবং সেই সাথে সাধারণ শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করছে।

তিনি জানান, বন্যার্তদের জন্য খাদ্যদ্রব্য সংগ্রহ আরও দুইদিন চলবে। এরপর বিএনপি পূর্ণবাসন কাজে নামবে। এর মধ্যে থাকে বন্যা কবলিত এলাকায় ,মানুষের বাড়িঘর নির্মাণে সহযোগিতা করা, গবাদি-পশু দিয়ে সহায়তা করা, বীজ সরবরাহ করা, শিক্ষার্থীদের পাঠ্য বই-খাতা প্রভৃতি কাজ সাধ্যমতো বিএনপির স্থানীয় নেতাদের সহযোগিতায় করবে।

সংবাদ সম্মেলন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব ও ত্রাণ সংগ্রহ কমিটির সদস্য সচিব আবদুস সালাম আজাদ, সদস্য মীর সরাফত আলী সপু, তাইফুল ইসলাম টিপু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পাঠকের মতামত

ডাঃ জাহিদ সাহেব, আপনার পূর্বের রেকর্ড খুবই খারাপ । ২০০১-০৬ বি এন পি র আমলে আপনি ড্যাব ( Doctors Association of Bangladesh) ও বিএমএ ( Bangladesh Medical Association) এর নেতা ছিলেন । মেডিকেল এডুকেশন ধ্বংস করার জন্য হ্যান ও কাজ নাই করেননি। পোস্ট গ্রাজুয়েসন এ দূর্নীতির মাধ্যমে চান্স পাইয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে জ্যাক দিয়ে পাস করানো, বদলী পদোন্নতি কি বাদ ছিল ? সুতরাং দূর্নীতি নিয়ে কথা বলার আগে জনগনের সামনে তওবা করুন । মানুষই ভুল করে । আর জনগনও ক্ষমা করে দিবে ।

ভেসেল
৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বুধবার, ৭:৪৫ অপরাহ্ন

নতুন অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রতি আগামীতে উন্নত ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে ২০ দফা দাবি ঘোষণা করলাম: ১) সকল হত্যার বিচার করতে হবে, ১০০০ উপর মানুষ হত্যার সাথে যারা জড়িত তারা যে কোন দেশে পালায়ন করুক জাতিসংঘের মাধ্যমে সবাইকে ধরে এনে বিচার করতে হবে। কারণ তারা গণহত্যা করেছে ও কিশোর ছাত্রদের উপর গুলি করার নির্দেশ দিয়েছে। ২) সকল শহীদ পরিবার ও আহতদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, যাতে তারা সারা জীবন চলতে পারে। তাদেরকে “বীর মুক্তিযোদ্ধা ২৪” এ ভূষিত করে তাদের মুক্তিযোদ্ধার সকল সুযোগ সুবিধা দিতে হবে। ৩) সকল দুর্নীতিবাজ ব্যাক্তিদের সনাক্ত করে তাদের অর্থ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে হবে ও তাদের ধরে এনে বিচার করতে হবে। ৪) বিদেশে টাকা পাচারকারী ও ঋণ খেরাপিদের বিচার করতে হবে, বিদেশে পালালে তাদের বিদেশ থেকে ধরে আনতে হবে। বিদেশের ব্যাংক পাচার করা টাকা ফেরত আনার ব্যবস্থা করতে হবে। ৫) সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র ও শিক্ষকদের রাজনীতি নিষেধ করতে হবে ও পাঠ্যপুস্তক নতুন করে করতে হবে। ছাত্র সংগঠন থাকবে শুধু ছাত্রদের নিজেদের জন্য কোন রাজনীতি দলের থাকবে না। ৬। সকল সরকারী অফিস, বিচার বিভাগে রাজনীতি নিষেধ থাকবে। ৭) গণমাধ্যম রাজনীতি মুক্ত নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে হবে। ৮) দুর্নীতি দমন কমিশন ও দুদক নতুন করে গঠন করতে হবে ও মাঠে মেজিস্টেড দিয়ে ঘুষখোর, দ্রব্যমূল্য ও ভেজাল নিরোধ করতে হবে। ৯) সকল প্রতিষ্ঠান দুর্নীতি মুক্ত করতে হবে ও সম্পদের হিসাব দিতে হবে। অযোগ্যদের অবসর দিয়ে নতুন প্রজন্মের মেধাবীদের সুযোগ দিবে হবে। ১০) সমস্ত দুর্নীতিবাজদের অবৈধ্য সম্পদ ও ব্যাংকের টাকা বাজেয়াপ্ত করে ঐ টাকা দিয়ে নতুন কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নিতে হবে। ১১) সকল দুর্নীতিবাজদের কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। পুলিশ বা আদালত থেকে তারা যেন টাকা দিয়ে ছাড়া পেয়ে না যায় তার ব্যবস্থা করতে হবে। ১২) সরকারী চাকুরীর সুযোগ সুবিধা কমিয়ে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনের মান উন্নয়ন করতে হবে। যেমন - রেশন বন্ধ, অকারণে বিদেশ ভ্রমণ ও বেতন বৃদ্ধি কমিয়ে দিতে হবে ১৩) মুক্তিযোদের প্রকৃত হিসাব বের করতে হবে, কারণ যত মুক্তিযোদ্ধা সুবিধা নিচ্ছে তার মধ্যে অর্ধেকেই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা। রাজনীতিবিদরা মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট ব্যবসা করেছিল। ১৪) রাষ্টপতি কোন দলীয় ব্যক্তি হতে পারবে না ও তার ক্ষমতা বাড়াতে হবে, নির্বচনের আগে প্রার্থিদের সবার সম্পদের হিসাব জনসম্মুখে প্রকাশ করা ও এমপিদের ক্ষমতা কমিয়ে দিতে হবে। ১৫) নতুন প্রজন্মের মেধাবীদের কর্মসংস্থানের জন্য নতুন নতুন ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে। ১৬) সকল অফিস আদালত প্রতিষ্ঠানে স্বৈরাচারের দোসররা এতখনো বহাল তবিয়তে আছে, তাদেরকে সরিয়ে নতুন প্রজন্মের মেধাবীতের নিয়োগ দিতে হবে। ১৭) জাতীয় বেঈমান জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করে জিম এম কাদের ও রৌশন এরশাদ সহ সকল দুর্নীতিবাজ মন্ত্রি এমপিদের গ্রেফতার করে সম্পদের হিসাব নিতে হবে। ১৮) জাতীয় বেঈমান বিচারপতি খায়রুল হকের বিচার চাই তাকে কঠিন শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। কারণ তার কারণে এদেশে গণতন্ত্র নস্যাৎ হয়েছে। তার ব্যক্তিগত স্বর্থের কারণে দেশের আঠারো কোটি মানুষের অনেক ক্ষতি হয়েছে। ১৯) গত তিন তিনটি নির্বাচনের নির্বাচন কমিশনের বিচার করতে হবে। অটো পাশ নির্বাচন, রাতের নির্বাচন এবং বিনা ভোটারের নির্বাচন বা ডামি নির্বাচন, যারা এই সমন্ত নির্বচলকে ভালো নির্বাচন বলেছে তাদেরকে অবশ্যই শান্তি পেতে হবে। ২০) ) অন্তর্বতীকালিন সরকার উপরোক্ত বিষয়গুলি প্রতিষ্ঠা করতে হবে প্রয়োজনে দুই বা তিন বছর সুস্থ রাজনীতি চর্চা করার পর নির্বাচন দিতে হবে, যাতে ভাবিষ্যতে যে দল ক্ষমতায় আসবে, তারা যেন আবার দুর্নীতিবাজ ও স্বৈরাচার না হয়ে উঠে।

ইকবাল হোসেন
৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বুধবার, ৬:৪৩ অপরাহ্ন

সমর্থন জানালাম।

মেঘকুন্ড দাস
৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বুধবার, ৫:২১ অপরাহ্ন

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status