ঢাকা, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিঃ

রকমারি

পৃথিবীকে শীতল করতে বায়ুমণ্ডলে ছড়ানো হতে পারে হীরার ধূলিকণা!

মানবজমিন ডিজিটাল

(১ মাস আগে) ৩১ অক্টোবর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১২:৫০ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ৯:৪৮ পূর্বাহ্ন

mzamin

জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় এবার বিজ্ঞানীরা নীল গ্রহকে শীতল করার জন্য বায়ুমণ্ডলে হীরার ধূলিকণা ছড়ানোর প্রস্তাব করেছেন। অযৌক্তিক মনে হলেও ‘জিয়োফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স’-এ প্রকাশিত গবেষণাপত্র অনুযায়ী, বছরে ৫০ লাখ টন হীরার গুঁড়া বিশ্বের তাপমাত্রা অনেকাংশেই কমিয়ে দিতে পারে। চকচকে হীরার গুঁড়া সূর্যরশ্মির ওপর পড়লে তা অনেকাংশেই প্রতিফলিত হয়ে বায়ুমণ্ডলের বাইরে চলে যাবে। ফলে তাপও কমবে। এই ধারণার কথাই প্রকাশিত হয়েছে ওই গবেষণাপত্রে।

এই প্রক্রিয়া যদি ৪৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলতে থাকে, তবে গবেষকদের বিশ্বাস পৃথিবীকে প্রায় ২.৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট ঠান্ডা করা যেতে পারে। এর জন্য ২০০ ট্রিলিয়ন ডলার খরচ হতে পারে। তবুও, গবেষকরা যুক্তি দিয়েছেন এই সমাধান নিয়ে  বিবেচনা করা মূল্যবান। কারণ আমরা ক্রমবর্ধমানভাবে ভয়াবহ জলবায়ু সংকটের মুখোমুখি। অধ্যয়নের আসল লক্ষ্য জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সমস্ত সম্ভাব্য পরীক্ষা করে দেখা। এমনকি সেগুলো অবাস্তব বলে মনে হলেও।

এই পদ্ধতিটি সৌর জিওইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্রের অধীনে পড়ে। বিশেষত, স্ট্রাটোস্ফিয়ারিক এরোসল ইনজেকশন নামে একটি কৌশল। ধারণাটি সূর্যের আলোকে প্রতিফলিত করতে এবং তাপ শোষণকে হ্রাস করতে ওপরের বায়ুমণ্ডলে হীরার ক্ষুদ্র কণাকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। হীরার ধূলিকণার পাশাপাশি, গবেষকরা সালফারসহ অন্যান্য বেশ কয়েকটি অ্যারোসলের প্রভাবের মডেল তৈরি করেছেন, কোন উপাদানগুলি বাস্তব-বিশ্বের পরিস্থিতিতে সবচেয়ে ভালো কাজ করবে তা নির্ধারণ করতে।

অ্যারোসোলগুলো সূর্যের আলোকে কতটা ভালোভাবে প্রতিফলিত করে এবং কতক্ষণ বায়ুতে ভেসে থাকতে পারে তা দেখা হচ্ছিল পরীক্ষার মাধ্যমে। পাশাপাশি কোন ধূলিকণা তাড়াতা়ড়ি জমাট বাঁধছে, তা-ও পরীক্ষা করে দেখা হয়।

ওই গবেষণাপত্র অনুযায়ী, প্রাথমিক স্তরের ওই পরীক্ষায় সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া গিয়েছে হীরার ধূলিকণায়। গবেষকেরা জানিয়েছেন, হীরার কণাগুলো জমাট বাঁধা প্রতিহত করে এবং সবচেয়ে বেশিক্ষণ উঁচুতে ভেসে থাকতে সক্ষম হয়েছে। অন্যান্য অ্যারোসোল অ্যাসিড বৃষ্টিতে পরিণত হলেও হীরার ধূলিকণা তা এড়িয়ে গিয়েছে। সালফার ক্লাম্পিংয়ের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় নিকৃষ্ট প্রার্থী হওয়া সত্ত্বেও একটি আরও ব্যবহারিক বিকল্প রয়েছে।

গবেষণার সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্নেল ইউনিভার্সিটির প্রকৌশলী ডগলাস ম্যাকমার্টিন ব্যাখ্যা করেছেন যে সালফারের ক্রয়ক্ষমতা এবং স্থাপনের সহজতা এটিকে আরও সম্ভাব্য করে তোলে। আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতগুলো বায়ুমণ্ডলে সালফার কণাগুলো কীভাবে আচরণ করে সে সম্পর্কে বাস্তব-বিশ্বের অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করেছে। বিজ্ঞানীদের বৃহৎ আকারের জলবায়ু হস্তক্ষেপের জন্য এর উপযুক্ততার বিষয়ে আস্থা দিয়েছে। যেহেতু সালফার একটি গ্যাস, এটি হীরার ধূলিকণার জন্য প্রয়োজনীয় ভারী পেলোডের বিপরীতে বিমান থেকে সহজেই বাতাসে মুক্ত করা যেতে পারে।

যদিও বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এই ধরনের পরীক্ষা করার আগে পৃথিবীতে তার পরিবেশগত ও সামাজিক প্রভাব কতটা পড়বে তা দেখে নেওয়া প্রয়োজন। 

সূত্র: ফার্স্টপোস্ট

পাঠকের মতামত

এই গবেষণাপত্র আমাকে মানুষ সৃষ্টির প্রাথমিক গল্পগুলোর মধ্যে থেকে আনানুকির গল্প মনে করিয়ে দিল, যেখানে এই দেবতারা তাদের গ্রহের বায়ূমল্ডল রক্ষা করতে যে স্বর্ণের প্রয়োজন ছিল সেই স্বর্ণ তারা পৃথিবী নামক গ্রহে পেয়েছিল। এই স্বর্ণ তুলবার জন্যই যে শ্রমিক দরকার ছিল সেইজন্য তারা মানুষ তৈরী করেছিল। এখন পৃথিবী বাঁচাতে হীরা উত্তলন করার জন্য কি বুদ্ধিমান রোবট তৈরী করতে হবে?

সামসুল আলম
২২ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ৪:০৭ অপরাহ্ন

What a BS.

Amun
৩ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার, ৯:৩০ পূর্বাহ্ন

রকমারি থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

রকমারি সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status