অনলাইন
শেখ হাসিনা-জয়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ থেকে ৩০০ মিলিয়ন ডলার যুক্তরাষ্ট্রে পাচারের প্রমাণ পেয়েছে এফবিআই
মানবজমিন ডিজিটাল
(৪ মাস আগে) ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ৫:০৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৬ পূর্বাহ্ন

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও অর্থ পাচারের প্রমাণ পেয়েছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। সংস্থাটির লন্ডন প্রতিনিধির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। উল্লেখ করা হয়েছে যে, ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ জাস্টিসের বর্ষীয়ান আইনজীবী লিন্ডা স্যামুয়েলস বিশেষ এজেন্ট লা প্রিভোটের সাথে যোগাযোগ করেন এবং দেখেন যে, ৩০০ মিলিয়ন ডলার বাংলাদেশ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে। ৯ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করেন এবং বিপুল পরিমাণ নথি হস্তান্তর করেন।
এর পাশাপাশি ১ অক্টোবর বাংলাদেশে ইইউ প্রতিনিধিদলের সহযোগিতা বিভাগের প্রধান মিশাল ক্রেজারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি ইউরোপীয় প্রতিনিধিদল তৎকালীন দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মঈনুদ্দিন আবদুল্লাহর সাথে দেখা করেন। কমিশনের অপারেশনাল সক্ষমতা জোরদার করার জন্য পাচার করা অর্থ পুনরুদ্ধার করতে প্রযুক্তিগত সহায়তার পুনর্বিন্যাস নিয়ে আলোচনা করেন।
বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন ( দুদক) ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পোরেশনকে জানান, হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগটি অধিকতর তদন্তের জন্য দুদক মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে।
১৭ ডিসেম্বর দুদক মহাপরিচালক মোঃ আখতার হোসেন জানান- হাসিনা, জয়, হাসিনার বোন শেখ রেহানা, রেহানার মেয়ে তথা বৃটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক এবং অন্যরা নয়টি উন্নয়ন প্রকল্প থেকে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ৭ বিলিয়ন ডলার আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ। যার পৃথক একটি তদন্তও শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
সূত্র জানিয়েছে যে, নয়টি প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, আশ্রয়ণ এবং বেপজা ও বেজার অধীনে থাকা অন্যান্য প্রকল্প। ৭ বিলিয়নের মধ্যে শুধু রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প থেকেই ৫ বিলিয়ন ডলার আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশে দুর্নীতিবিরোধী তদন্তে বৃটেনের এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের নাম তার পরিবারের তালিকায় রাখা হয়েছে। টিউলিপের খালা, বাংলাদেশে ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে এখন দুর্নীতি দমন কমিশনের অধীনে ব্যাপক তদন্তের মুখোমুখি ।
হাসিনা পদত্যাগ করেন এবং ৫ আগস্ট ছাত্রদের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানের মুখে পড়ে রেহানাকে নিয়ে ভারতে পালিয়ে যান। ১৫ বছরের শাসনের পর হাসিনার নেতৃত্বাধীন কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তাদের মতে শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের নাম প্রথম নজরে আসে ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র বনাম রিজভী আহমেদের মামলায়। এফবিআই-এর তদন্তে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে গুরুতর আর্থিক অসদাচরণ প্রকাশ পেয়েছে।
সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে হংকং এবং কেম্যান দ্বীপপুঞ্জের বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে নিউ ইয়র্ক, ওয়াশিংটন ডিসি এবং লন্ডন ব্যাংকে অর্থ স্থানান্তরিত করার তথ্য বিশেষভাবে সামনে এসেছে। এফবিআই তাদের লন্ডন প্রতিনিধির মাধ্যমে এটি নিশ্চিত করেছে এবং গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও অর্থ পাচারের প্রমাণ পেয়েছে।
বিচার বিভাগের একজন সিনিয়র ট্রায়াল অ্যাটর্নি এবং একজন বিশেষ এজেন্ট নিশ্চিত করেছেন যে কেম্যান দ্বীপ এবং হংকংয়ের শেল কোম্পানির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ব্যাংকে জমা করা হয়েছে। এ বিষয়ে দুদকের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, 'ঘটনাটি অনেকাংশে সত্য, আমরা ভবিষ্যতে আরও সুনির্দিষ্ট তথ্য পেতে পারি, এ বিষয়ে আমরা পরে সরাসরি কথা বলব।'
বাংলাদেশের অর্থনীতি সম্পর্কে সম্প্রতি প্রকাশিত শ্বেতপত্র অনুসারে, কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী লীগ শাসনের অধীনে অবৈধ তহবিল প্রবাহের কারণে ২০০৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বার্ষিক ১৬ বিলিয়ন ডলার লোকসান করেছে।
সূত্র : গ্লোবাল ডিফেন্স কর্প
পাঠকের মতামত
এরপরেও “শেখ হাসিনাতেই আস্থ” ??? এ ধরনের দল গুলোকে জাতীয় ভাবে বর্জন করা উচিত। কোন দলের যদি চুরি - দুর্নীতির ইতিহাস থাকলে, তাদেরকে বর্জন করা উচিৎ।
কঠিন শাস্তির পাশাপাশি দেশের টাকা ফিরিয়ে আনা হোক
আওয়ামীলীগকে দেশদ্রোহী হিসেবে নিষিদ্ধ করতে হবে।
হাসিনার বিচার হোক না হোক? আমাদের টাকা গুলো যেনো আমাদের কাছে ফেরত আসে..? ৭ বিলিয়ন ডলার যদি কেবল হাসিনা পরিবারের হয় তবে বাকী আওয়মী পরিবারের হিসাব করলে কত হবে..? দেশের মানুষ ক্ষেতে পাই না ঠিকমত আর উনারা....! হায়রে জননেত্রী, মানসকন্যা, বঙ্গবন্ধু কন্যা, জাতীর পিতার কন্যা, প্রিয় নেত্রী, প্রিয় আপা আরো কত কি..?
Easy is to judge the mistakes of others. It is difficult to recognise our own mistakes.
পারিবারিক ঐতিহ্য।
এখন পর্যন্ত এক টাকাও ফেরত আসে নাই
desh dhongsho kore gelo to ?
এটা তো মাত্র ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকার সমান।
আমার চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই, এদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর যেন কেউ ছিনিমিনি খেলতে না পারে এদেশের মানুষ যেন পেট ভরে তিন বেলা খেতে পায় সেই কাজটি করছি
মারো গুড গুড!!! জমবে খেলা!!!
চোরের মায়ের গলাটা একটু বড়ই হয়। দেখ দেখ, ঐ যে সজীব ওয়াজেদ জয়ের চোরের মা চোর। কিছু ব্যবসায়ী চুরি ডাকাতি করতে বলে ছিলো বারবার দরকার এদের সব ধন সম্পত্তি ক্রোধ করা উচিত।
এই গুরুত্বপূর্ণ খবরটির উপর আমি দুবার মন্তব্য করলাম। ছাপেনি কেন? দয়া করে মন্তব্য অপশন বাদ দিন।
আওয়ামীলীগকে দেশদ্রোহী হিসেবে নিষিদ্ধ করতে হবে।
এটা খুবই উদ্বেগজনক খবর!!! একটা দেশের সর্ব্বোচ্চ পদে আসীন কারো বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ দেশের জন্য অত্যান্ত মানহানিকর। অথচ শেষ হাসিনা দূর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি আওড়াতেন।
ভাগিনা টাকা আরো লাগলে জানাইও।
আমি তো এটা ভাবতে পারিনা, সে কি করে এটা করতে পারে সে তো বলতো তার ছেলে মেয়ের জন্য সে কিছুই করেনি, তাহলে এ ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কে নিলো রে, তার পুরো শেখ পরিবার কে যদি দুদক ধরে তাহলে এরকম আরো কয়েক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বেরিয়ে আসবে।
পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর খুনি,গনহত্যাকারী, পাচার কারী ,ফ্যাসিষ্ট শাসক। রাস্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে। এত হাজার কোটি টাকা লোপাট,বিদেশে পাচার। এত এত মানুষকে ভিন্নমতের কারনে হত্যা,খুন, গুম। কিন্তু গত ৫ মাসে হাসিনা কিংবা তার পরিবার কারও মুখে কোন অপরাধ বোধ বা জাতির কাছে নিজেদের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা ভিক্ষা চাওয়ার কোন লক্ষণ ফুটে উঠেনি এবং চেষ্টাও দেখা যায়নি। নরপিশাচ হাসিনা , জয়, রেহানা ও গত ১৫ বছরের সকল অবৈধ এমপি, মন্ত্রী , নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার, বিচারপতি, আমলা, দালাল ব্যবসায়ী , মিডিয়ার পাচাটা গোলাম সহ সকলের সর্বোচ্চ শাশ্তি নিশ্চিত করতে হবে ।
অবৈধ আয় দিয়ে বিরানী খাওয়ার চাইতে বৈধ আয় দিয়ে ডাল ভাত খাওয়া অনেক উত্তম---হাসিনা। ২৭,১২,২৪,
এটা এমন একটা দুর্নীতি গ্রস্থ মাফিয়া পরিবার যে খানে একটা ভালো মানুষের দেখা মিলছে না।
এফবিআই সন্ধান পেয়েছে শেখ হাসিনার এবং জয়ের লুঠপাটের। কিন্তু এই পযন্ত জনগণ জানতে পারে নাই কোন লুঠপাটের টাকা ফেরত নিয়ে এসেছে বাহির থেকে। দেখা যাক ভবিষ্যতে কি হয়।
শেখ পরিবারের সকলেই এবং এর আত্মীয়- স্বজনও মানুষ নামের কলঙ্ক।
সরকার কি টাকাগুলো ফেরৎ আনতে পারবে ? এরপর বিচার।
মানুষ নামের জানোয়ার?
খবর যেহেতু সত্য তাহলে দেশের টাকা তাড়াতাড়ি দেশে ফিরিয়ে আনুন। ৩০০x১০x১০০০০০x১২৩=৩৬৯০০০০০০০০,যে কোনও একটি মেঘা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন সম্ভব।
কোন বাঙ্কে টাকা পাওয়া গেছে সুনির্দিষ্ট ভাবে বললে বিশ্বাস যোগ্য হত।
সচিবালয়ে আগুন দিয়ে কাজ হবে না। সব বের হয়ে যাবে। লুটেরাদের বিচার হবেই।
হায়রে দেশ, আওয়ামী চোরা লীগ, আওয়ামী চোরা পরিবার লীগ দেশটাকে ধ্বংস করে দিয়ে গেল অথচ সব চোরের লীগ ধরা ছোঁয়ার বাহিরে?
তারপরও চোরের মায়েদের বড় গলা
পরে বলব
“নিঃস্ব আমি রিক্ত আমি দেবার কিছু নাই, আছে শুধু ভালোবাসা, দিলাম আমি তাই।" এইরকম রিক্ত হয়ে ৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচার করতে মন চাচ্ছে।
এত হাজার কোটি টাকা লোপাট। বিদেশে পাচার। এত এত মানুষকে ভিন্নমতের কারনে হত্যা। গুম। কিন্তু গত ৫ মাসে হাসিনা কিংবা তার পরিবার কারও মুখে কোন অপরাধ বোধে ভোগার বা জাতির কাছে নিজেদের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা ভিক্ষা চাওয়ার কোন লক্ষণ ফুটে উঠেনি এবং চেষ্টাও দেখা যায়নি। নরপিশাচ!