বিশ্বজমিন
যুক্তরাষ্ট্রের অপরাধী ও বন্দিদের নেয়ার প্রস্তাব এল সালভাদরের
মানবজমিন ডেস্ক
(১ দিন আগে) ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, মঙ্গলবার, ৮:১৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৩:৫১ অপরাহ্ন
যুক্তরাষ্ট্রের কারাগারে থাকা বন্দিদের নিজ দেশে আশ্রয় দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে এল সালভাদর। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব আছে এমন ভয়াবহ অপরাধীদেরও নিতে প্রস্তুত তারা। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও’কে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এল সালভাদরের প্রেসিডেন্ট নাইব বুকেলের সঙ্গে সাক্ষাতের পর রুবিও বলেন, এর পূর্বে কেউ বন্ধুত্বের এমন প্রস্তাব দেয়নি। এমন সিদ্ধান্তে যুক্তরাষ্ট্র্র্র গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। তিনি আরো বলেন, যেকোনো দেশের অভিবাসী- যারা আসামি এবং যুক্তরাষ্ট্রে বেআইনিভাবে আটক আছে- তাদেরকে এল সালভাদর ফেরত নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট নাইব বুকেলে গ্যাং সহিংসতার বিরুদ্ধে কঠোরহস্ত। তার এ নীতির কারণে দেশটিতে অপরাধের মাত্রা হ্রাস পেয়েছে। তার এ ভূমিকার প্রশংসা করেন রুবিও।
উল্লেখ্য, এক সময় খুনের রাজধানী নামে পরিচিত ছিলো এল সালভাদর। সহিংসতার বিরুদ্ধে মার্কো রুবিও প্রেসিডেন্ট বুকেলের প্রশংসা করলেও মানবাধিকার বিষয়ক গ্রুপগুলো এর কড়া নিন্দা জানায়। এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে প্রথম বিদেশ সফরে রুবিও ওই অঞ্চলে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের অগ্রাধিকার জাহিরের চেষ্টায় আছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে পানামা ক্যানেলে চীনের প্রভাবের বিষয়ে তাৎক্ষণিক পরিবর্তন আনার দাবি করেন তিনি। এর পূর্বে পানামা ক্যানেলে চীনের মাত্রাতিরিক্ত প্রভাবের অভিযোগ আনেন ট্রাম্প। তিনি আরো বলেন, ক্যানেলটি পার হতে যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের থেকে বেশি অর্থ পরিশোধ করে। যদিও তার এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে পানামা। উল্লেখ্য, নিজের নির্বাচনী প্রচারণায় গণহারে অভিবাসীদেরকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেয়ার অঙ্গীকার করেন ট্রাম্প। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ অভিবাসী বের করে দেয়ার গতি বাড়িয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এদিকে প্রেসিডেন্ট বুকেলে এক্স পোস্টে বলেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে নিজেদের কারাগারের অংশকে আউট সোর্স করার প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, আমরা নির্দিষ্ট ফি’র বিনিময়ে শুধু দোষী সাব্যস্ত আসামিদের নিতে ইচ্ছুক। উল্লেখ্য, বুকেলে এল সালভাদরের রাজধানী স্যান সালভাদরের সাবেক মেয়র। এল সালভাদরে নতুন যুগ সূচনার অঙ্গীকারে তিনি ২০১৯ সালে প্রথম ক্ষমতায় আসেন। গ্যাং সহিংসা, দুর্নীতি ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নতির প্রত্যয় ক্ষমতায় বসেন তিনি। উল্লেখ্য, অপরাধ ও গ্যাং-এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার পর তার জনপ্রিয়তা আরো বৃদ্ধি পায়। এমন পদক্ষেপের মাধ্যমে তিনি এল সালভাদর’কে খুনের রাজধানী থেকে ওই এলাকার সবচেয়ে নিরাপদ দেশে পরিণত করেন। প্রথম মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের পর গ্যাং কার্র্র্যক্রমের সঙ্গে জড়িত এমন সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের আটক করে তার সরকার। প্রায় ৭৫ হাজার মানুষকে আটক করা হয় জরুরি অবস্থা জারি করে। এই জরুরি অবস্থার মেয়াদ পরবর্তীতে কয়েকবার বাড়ানো হয়। ফলশ্রুতিতে এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মানবাধিকার গ্রুপ গুলো।