ঢাকা, ২১ মার্চ ২০২৫, শুক্রবার, ৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০ রমজান ১৪৪৬ হিঃ

শেষের পাতা

৩ বছরের অনার্সের পর এক বছরের কারিগরি পরিকল্পনা চূড়ান্ত

স্টাফ রিপোর্টার
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, সোমবার

শিক্ষিত বেকারের অভিশাপ থেকে মুক্ত হতে নানান পরিকল্পনা নিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের 
কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করতে এক বছর বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে কারিগরি শিক্ষা। শিক্ষার্থীরা পাবে দু’টি সার্টিফিকেট। তিন বছরের অনার্স শেষ করে একটি সার্টিফিকেট এবং এক বছরের কারিগরি শিক্ষার সার্টিফিকেট।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০ থেকে ৫০ লাখ শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছেন। এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীকে কর্মমুখী শিক্ষায় যুক্ত করাই এর প্রধান লক্ষ্য। এই পরিকল্পনা নিয়ে মানবজমিনে গত ২৩শে ডিসেম্বর (অনার্সে ১ বছর কারিগরি শিক্ষার পরিকল্পনা) একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। যাতে বলা হয়েছিল, শিক্ষায় গুণগত পরিবর্তন চায় অন্তর্বর্তী সরকার। উচ্চশিক্ষিতদের মধ্যে বেকারত্ব দূরীকরণের লক্ষ্যে বেশ কিছু কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে হাঁটছে সরকার। এরমধ্যে অন্যতম অনার্সের কারিকুলামে পরিবর্তন। চার বছরের কোর্সে তিন বছর সাধারণ ও বিষয়ভিত্তিক পাঠ এবং এক বছর বিষয়ভিত্তিক কারিগরি শিক্ষা বা হাতে-কলমে শিক্ষা। যেসব শিক্ষার্থী সাধারণ বিষয়ে অধ্যয়নরত থাকবেন তাদের জন্য স্পেশালাইজড কোর্সের ব্যবস্থার পরিকল্পনা চলছে।

চূড়ান্ত পরিকল্পনা অনুযায়ী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চার বছরের অনার্স কোর্সকে তিন বছরের কোর্স করা হবে। বাকি এক বছরে ডিপ্লোমা ও কারিগরির ওপর ব্যাপকভাবে শিক্ষা দেয়া হবে। তারপর তাদের দুটো সার্টিফিকেট দেয়া হবে। এরমাধ্যমে অনার্স পড়ার যে স্বপ্ন সেটা পূরণ হওয়ার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষার কারণে চাকরি বাজারেও পাবে সফলতা।

রোববার আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস উপলক্ষে ঢাকার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই পরিকল্পনার কথা জানান শিক্ষা উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী এম আমিনুল ইসলাম। তিনি এটাকে অভিনব ও অসাধারণ উল্লেখ করে বলেন, ডিপ্লোমা বা কারিগরি ডিগ্রি নিয়ে অনেকেরই যে নাক সিঁটকানো মনোভাব রয়েছে। এটা একটা ট্যাবু, স্টিগমা রয়েছে গোটা দেশের ভেতর ডিপ্লোমা যদি পড়ে, কারিগরি যদি পড়ে, তাহলে এটা খুব খারাপ একটা বিষয় হবে। লোকের কাছে মুখ দেখাতে পারবে না। এটার জন্য খুব অভিনব ব্যবস্থা করতে যাওয়া হচ্ছে অদূর ভবিষ্যতে।

কারিগরি শিক্ষার আমূল পরিবর্তন আনা হবে জানিয়ে অধ্যাপক আমিনুল বলেন, যেটার সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল দেশের জন্য, সেটা সবচেয়ে অনুন্নত অবস্থায় আছে। তাদের যে শিক্ষক দরকার, তার ১৮ পার্সেন্ট রয়েছে। তাদের প্রাকটিক্যাল ও থিওরি আছে। প্রাকটিক্যালের জন্য ল্যাবরেটরি নাই, ট্রেইনার নাই, টিচার নাই। তাই থিওরি পড়িয়ে দেয়া হয়, পরে ভাইভা নেয়া হয়। প্রাকটিক্যাল করানোই হয় না, কিন্তু তার ভিত্তিতেই সার্টিফিকেট দিয়ে দেয়া হয়। এটার আমূল পরিবর্তন করা হবে।

পাঠকের মতামত

শিশু / নার্সারি থেকে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত সকলের জন্য বাধ্যতামূলক ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি বাংলা, ইংরেজি ও গণিত শেখা জরুরি। একইসাথে নৈতিকতা ও শৃঙ্খলার চর্চার জন্য মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা আরও উন্নত, যুগোপযোগী ও কার্যকর করা উচিত, যা হবে প্রাক-প্রাথমিক ভিত্তিতে। চতুর্থ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা হবে প্রাথমিক বা প্রাক-মাধ্যমিক, যেখানে বাংলা, ইংরেজি ও গণিত ছাড়া প্রতিটি বিষয়ের সঙ্গে অন্তত ৩০-৪০% প্রাকটিকাল কার্যক্রম থাকতে হবে। যেমন—নিজের কাজ নিজে করা, স্কুল ও আশপাশ পরিষ্কার রাখা, গাছ লাগানো, ফসল উৎপাদন ও পরিচর্যা, স্বাস্থ্য সচেতনতা ও পরিবেশ রক্ষা ইত্যাদি। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাকে সেমিস্টার সিস্টেমে আনতে হবে, যেখানে ৮টি সেমিস্টারের মধ্যে ১-২টি সেমিস্টার কারিগরি শিক্ষা, স্কাউটিং বা প্রতিরক্ষা প্রশিক্ষণ অন্তর্ভুক্ত থাকবে। রেজাল্ট প্রকাশ হবে সিজিপিএ পদ্ধতিতে। শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের এই সিস্টেমের সঙ্গে অভ্যস্ত না করলে অনার্স বা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের নিয়ম কার্যকর করা কঠিন হবে।

Aman Ullha Aman
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৬:৪০ অপরাহ্ন

অষ্টম শ্রেণী পর থেকেই কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা উচিত, বাংলাদেশ এর মতো ঘনবসতিপূর্ণ জনসংখ্যা দেশে কারিগরি শিক্ষা বিকল্প নেই, দেশের জনগণ কে মানবসম্পদ রুপান্তরিত করতে হলে বেশি বেশি কারিগরি স্কুল ও কলেজ চালু করা উচিত, তাছাড়া দেশে আরো বেশি সংখ্যক মেডিকেল কলেজ ও মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হোক

আলমগীর হোসেন
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১০:১২ পূর্বাহ্ন

আলহামদুলিল্লাহ

ওহিদুজ্জামান
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, মঙ্গলবার, ৮:২১ অপরাহ্ন

ALHAMDULILLAH. ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত.

ABDUR RAHIM
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, সোমবার, ৭:১৮ অপরাহ্ন

অসাধারণ সিদ্ধান্ত, আমার মনে হয় হাই স্কুল থেকেই কারিগরী শিক্ষা শুরু করা দরকার যা আরও আগে থেকে শুরু করলে দেশে এতো শিক্ষিত বেকার থাকতো না।

মুক্তি যোদ্ধা
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, সোমবার, ৫:৩৯ অপরাহ্ন

Great decision indeed! Bravo..

Parnel
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, সোমবার, ২:৩৩ অপরাহ্ন

আলহামদুলিল্লাহ। এতদিনে একটা সুখবর পড়লাম। উদ্যোগটা যেন ঝিমিয়ে না পড়ে। বাস্তবতার নিরিখে সর্বাধিক ফলপ্রসুতায় যুগোপযোগি উদ্যোগটা কার্যকর ভাবে চলমান থাকবে, এটুকুই কামনা করছি।

মূসা
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, সোমবার, ৯:৫৭ পূর্বাহ্ন

Ata hobe jogantokari porikolpona. Welcom for this

khabir uddin
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, সোমবার, ৯:০৪ পূর্বাহ্ন

ধারণা করি এটি যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত।

Harun Rashid
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, সোমবার, ২:৩১ পূর্বাহ্ন

শেষের পাতা থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

শেষের পাতা সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status