বাংলারজমিন
নেছারাবাদে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের ১৩ একর জমি দখলের অভিযোগ
নেছারাবাদ (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
১৮ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবারনেছারাবাদে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শহিদুল্লাহ মিয়ার ভোগ-দখলীয় জমিতে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে অবৈধ দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স'ানীয় লাল মিয়াসহ একদল কথিত ভূমিদস্যুর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ। অভিযুক্তরা চেয়ারম্যানের ভোগ-দখলীয় জমিতে গত ৫ই আগস্টের পরে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে জবরদখল করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের নিয়ে একাধিকবার শালিস বৈঠকে বসে স'ানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা কাগজপত্রে চেয়ারম্যানের পক্ষে রায় দিয়েছেন। লাল মিয়া গ্রুপ তা অমান্য করে এখনো জমিটি নিজেদের বলে দাবি করছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার বলদিয়া কাটাখালি গ্রামে নেছারাবাদের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শহিদুল্লাহ মিয়া ১৯৬৬ সালে ১৩ একর উনষাট শতকের একটি জমি ক্রয় করেন। সেই থেকে জমিটি তিনি ভোগ দখল করে আসছিলেন। সমপ্রতি, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর স'ানীয় আলাউদ্দীন আলো, লাল মিয়া, আল-আমীন, হারুন মিয়াসহ ১০-১২ জনের একটি গ্রুপ ওই জমিটি নিজেদের ওয়ারিশ দাবি করে জমিতে কয়েকটি সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেয়। এ নিয়ে চেয়ারম্যানের ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম শাহিন প্রতিবাদ করলে অভিযুক্তরা তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। ঘটনার প্রাথমিক পর্যায়ে স'ানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা লাল মিয়া গ্রুপের অনুকূলে কাগজপত্র দেখতে চাইলে তারা মৌখিক ওয়ারিশ দাবি করে কোনো দলিলাদি দেখাতে পারেননি। পরে সাইফুল ইসলাম নেছারাবাদ সহকারী কমিশনারসহ (ভূমি) নিকটস' থানায় অভিযোগ জমা দেন। তারা কাগজপত্র পর্যালোচনা করে চেয়ারম্যানের পক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এ সময় বিবাদীদের নিকট তাদের দাবির পক্ষে কাগজ দেখতে চাইলে তারা কোনো দলিল পর্চা দেখাতে পারেনি।
ভুক্তভোগী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম শাহিন বলেন, জমিটি তার পিতা ১৯৬৬ সালে ক্রয়সূত্রে মালিক। সেই থেকে তারা ভোগদখল করে আসছিলেন। সমপ্রতি রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এলাকার আলাউদ্দীন, লাল মিয়া, হারুন মিয়াসহ একটি লাঠিয়াল বাহিনী জমিতে সাইনবোর্ড লাগিয়ে নিজেদের বলে দাবি করছে। এ নিয়ে কোর্ট-কাচারিসহ একাধিকবার শালিস বৈঠকে বসলেও তারা কিছুই মানছে না। অভিযুক্তরা বলেন, তারা ওয়ারিশসূত্রে ওই জমির মালিক। এত বছর তারা জোরপূর্বক জমি খেয়েছে। এখন ওই জমি আর ছাড়বো না। ওখানে সাইনবোর্ড লাগিয়েছি। ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন বলেন, দলিল, পর্চা, দখলনুসারে মূলত ওই জমির মালিক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শহিদুল্লাহ মিয়া। আমি কাগজপত্র অনুসারে তাদের পক্ষে রিপোর্ট দিয়েছিলাম। এখন অপরপক্ষ কোনো কিছুই মানে না। চেয়ারম্যানেরা ছেলেরা আদালতে একটি মামলা করেছে।