ঢাকা, ১০ মে ২০২৫, শনিবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৬ হিঃ

বাংলারজমিন

জোড়াতালি দিয়ে চলছে সেনবাগ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

সেনবাগ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি প্রায় পৌনে চার লাখ মানুষের একমাত্র চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান। অথচ এই গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালটি চলছে চরম অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও অবহেলার মধ্যদিয়ে। নষ্ট যন্ত্রপাতি, জনবল সংকট, অব্যবস্থাপনা এবং দায়িত্বে গাফিলতির কারণে সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। 
জানা যায়, হাসপাতালের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিনটি পাঁচ মাস ধরে অচল। সর্বশেষ ১৩ই নভেম্বর ২০২৪ তারিখে একজন রোগীর পরীক্ষা হওয়ার পর থেকে মেশিনটি নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। ফলে গর্ভবতী নারীসহ অন্যান্য রোগীদের আল্ট্রাসনোগ্রাম করাতে বাধ্য হয়ে যেতে হচ্ছে প্রাইভেট ক্লিনিকে। যেখানে খরচ বেশি এবং অনেক ক্ষেত্রেই সঠিক তথ্য না পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। একজন রোগী বলেন, সরকারি হাসপাতালে মেশিন নষ্ট থাকায় প্রাইভেটে গিয়ে পরীক্ষা করতে হচ্ছে। এতে আমাদের ওপর আর্থিক চাপ বাড়ছে। হাসপাতাল থাকলেও কাজের কিছু নেই। মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে যে পরিমাণ জনবল দরকার, তা এখানে নেই বললেই চলে। ১০ জন চিকিৎসকের স্থলে রয়েছেন মাত্র তিনজন। ৯ জন মেডিকেল অফিসারের বিপরীতে আছেন মাত্র ছয়জন। ৩০ জন সিনিয়র নার্সের স্থলে কর্মরত আছেন ২৩ জন। 
স্থানীয়দের অভিযোগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রায়শই নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে অফিসে আসেন। অন্যদিকে, একমাত্র এম্বুলেন্সটি ড্রাইভার না থাকায় ব্যবহারের অযোগ্য অবস্থায় পড়ে আছে। হাসপাতালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাব প্রকট। এক্স-রে, ইসিজি এবং ডেন্টাল চিকিৎসার যন্ত্রপাতি দীর্ঘদিন ধরে অকার্যকর। বাবুর্চি না থাকায় রোগীরা সময়মতো খাবার পাচ্ছেন না। জরুরি সেবাও ব্যাহত হচ্ছে। হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিদিনই রোগীদের লম্বা লাইন। ডাক্তার সংকটের কারণে রোগীরা ঠিকমতো চিকিৎসা পাচ্ছেন না। সন্ধ্যার পর ডাক্তার পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়ে। 
স্থানীয় আব্দুল কুদ্দুছ বলেন, আমার মেয়ের জ্বর হলে রাতে চিকিৎসা না পেয়ে ২০ কিলোমিটার দূরে নিয়ে যেতে হয়েছিল। এখানে রাতে কোনো ডাক্তারই থাকে না। একজন নার্স জানান, আমরা আন্তরিকভাবে কাজ করতে চাই। কিন্তু প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ছাড়া সবসময় সম্ভব হয় না। অনেক সময় নিজ পকেট থেকে ওষুধ কিনে দিতে হয়। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাদিয়া আফরোজ বলেন, আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন সচল এবং জনবল নিয়োগে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দ্রুত সমস্যাগুলোর সমাধান হবে বলে আশা করছি।

বাংলারজমিন থেকে আরও পড়ুন

বাংলারজমিন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status