খেলা
নিজের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যা জানালেন অ্যাথলেট জহির
স্পোর্টস ডেস্ক
১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার
ফেডারেশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন ও জাতীয় দলের প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে শৃঙ্ক্ষলাভঙ্গের অভিযোগে জহির রায়হানকে ছয় মাসের জন্য অ্যাথলেটিকসের সব ধরনের কার্যক্রমে নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন। কিন্তু দেশের অন্যতম সেরা অ্যাথলেট জহির এ নিষেধাজ্ঞা মানতে
নারাজ। জহিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিশ্ব ইনডোর চ্যাম্পিয়নশিপের পর সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘বিদায়ই আমাদের ভাগ্য, কারণ আমাদের জন্য অনুশীলনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল না। নিজের গাঁটের পয়সা খরচ করে অনুশীলন করেছি। এভাবে কি পদক জয়ের স্বপ্ন দেখা যায়?’ জহির এ বিষয়ে বলেন, ‘আমাকে অনেক কিছুর সঙ্গে লড়াই করে কষ্ট করে প্রস্তুতি নিতে হয়েছে। সেই কষ্ট সংগ্রামের কথা মিডিয়ায় বলেছি। যা বলেছি সত্যি বলেছি। সত্যি বলাই কি আমার অপরাধ।’ তার এমন বক্তব্যে ফেডারেশনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে বলে মনে করে অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন। এ ছাড়া ঈদের ছুটি শেষে ফেডারেশনের
অনুমতি না নিয়ে বিকেএসপিতে অনুশীলন। ফেডারেশন জানতে চাইলেও সেখানে কার অধীনে অনুশীলন করছেন, তা না জানানো এসবকেও শৃঙ্খলাভঙ্গ হিসেবে দেখছে অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন। তবে জহির মনে করেন না তিনি কোনো অপরাধ করেছেন। জহির সেরা প্রস্তুতি নিতেই বিকেএসপিতে একা অনুশীলন করেছেন বলে জানান। জহির বলেন, ‘আমি একজন স্প্রিন্টার। নিখুঁত ট্র্যাক হলে আমার প্রস্তুতিটা পরিপূর্ণ হবে। সাফ অ্যাথলেটিকস আমার লক্ষ্য ছিল না। লক্ষ্য ছিল সামনের এসএ গেমসে দেশকে ভালো কিছু উপহার দেয়া। সে জন্য ভালো প্রস্তুতির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে বিকেএসপিতে অনুশীলন করেছি। সেখানে সুযোগ সুবিধাও ভালো।’ এ সময় জহির ইংল্যান্ডপ্রবাসী ইমরানুর রহমানের কথা টেনে বলেন, ‘ইমরান ইংল্যান্ডে একা অনুশীলন করে না? এরপর সেখান থেকে এসে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করে। তার সঙ্গে আমার কোনো শত্রুতা নেই। এটা উদাহরণ দেয়ার জন্য বলা। তাহলে আমার ক্ষেত্রে সেটা শৃঙ্খলা ভঙ্গ হবে কেন!’ এর আগেও ২০২১ সালের ডিসেম্বরে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন জহির রায়হানকে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল। তবে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে তাঁর নিষেধাজ্ঞা শর্ত সাপেক্ষে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। ২০২৪ সালে এশিয়ান ইনডোরে ৪০০ মিটারে রুপা জেতা ছাড়াও মার্চে চীনে বিশ্ব ইনডোর অ্যাথলেটিকসে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন জহির। অংশ নেন ২০২১ টোকিও অলিম্পিকেও।