ঢাকা, ১০ মে ২০২৫, শনিবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৬ হিঃ

শেষের পাতা

আইভী গ্রেপ্তার নানা প্রশ্ন

বিল্লাল হোসেন রবিন, নারায়ণগঞ্জ থেকে
১০ মে ২০২৫, শনিবার
mzamin

রাতভর নানা নাটকীয়তার পর নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোরে শহরের দেওভোগ চুনকা কুঠির থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর মধ্য দিয়ে কারাগারে গেলেন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এই নারী নেত্রী। কিন্তু আকস্মিকভাবে তার গ্রেপ্তার নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মহলে। তাদের মতে, ৫ই আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী সরকারের পতনের পর থেকে নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিলেন আইভী। পাঁচটি হত্যা মামলায় তাকে আসামি করা হলেও তিনি পালিয়ে যাননি। সরকার চাইলে শুরুতেই তাকে গ্রেপ্তার করতে পারতো। যেমনটা করা হয়েছে আওয়ামী লীগের অন্যান্য শীর্ষ নেতা ও সাবেক এমপি-মন্ত্রীর বেলায়। কিন্তু দীর্ঘ ৮ মাস পর রাতের অন্ধকারে কেন? আইভী নিজেও গ্রেপ্তারের আগ মুহূর্তে এটাকে ‘গভীর ষড়যন্ত্র’ বলেছেন। এবং কারা এই ষড়যন্ত্র করে তাকে গ্রেপ্তার করিয়েছে তিনি তা জানেন।

অন্যদিকে ৫ই আগস্টে আওয়ামী লীগের চরম রাজনৈতিক বিপর্যয়ের পর গুঞ্জন ওঠে, সাবেক রাষ্ট্রপ্রতি আব্দুল হামিদকে আহ্বায়ক ও নাসিকের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে সদস্য সচিব করে আওয়ামী লীগের অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি গঠিত হবে। তাদের নেতৃত্বে রিফর্ম আওয়ামী লীগের যাত্রা শুরু হবে। এমন গুঞ্জনের মধ্যেই বুধবার রাতে দেশ ছাড়ে দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করা সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। সেই ক্ষেত্রে ডা. আইভীও গোপনে দেশ ছাড়তে পারে। এমন আশঙ্কায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এমনটাই মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

এদিকে আইভীকে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়েছেন সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বি, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক ধীমান সাহা জুয়েল, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক তরিকুল ইসলাম সুজন এবং কবি ও সাহিত্যিক সাহেদ কায়েসসহ অনেকেই।

কারাগারে আইভী
এদিকে গ্রেপ্তারের পর জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধ হয়ে পোশাক শ্রমিক মিনারুল ইসলামের নিহত হওয়ার ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় করা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সকাল ১০টার দিকে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঈনউদ্দিন কাদিরের আদালতে সেলিনা হায়াৎ আইভীকে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। পরে তাকে কাশিমপুর কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ কাইউম খান জানান, মিনারুল হত্যা মামলায় সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ ১২ নম্বর আসামি। এই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হলে শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। ২৬শে মে মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়েছে।

যেভাবে গ্রেপ্তার হন আইভী
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সেলিনা হায়াৎকে গ্রেপ্তারের জন্য শহরের দেওভোগ এলাকায় তার বাড়ি চুনকা কুঠিরের সামনে যায় নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম। পুলিশ দেখে দারোয়ান গেট খুলতে না চাইলে আইভী নিজেই গেট খুলে দিলে পুলিশ বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে। আইভীকে গ্রেপ্তার করতে বাড়িতে পুলিশ, এই খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার সাধারণ মানুষ ও আইভীর কর্মী সমর্থকরা ছুটে বাড়ির দিকে। তারা আইভীর বাড়ির দিকে যাওয়ার চারটি রাস্তায় বাঁশ, ঠেলাগাড়ি, ভ্যানগাড়ি ও বালু ফেলে সড়ক অবরোধ করেন। আশপাশের এলাকার মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে সকলকে আইভীর বাড়ির দিকে রওয়ানা দেয়ার আহ্বান জানান। বিপুলসংখ্যক নারী পুরুষ ও দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা বিক্ষোভ করতে থাকে। তারা পুলিশকে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) তারেক আল মেহেদীর নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ অবরোধ সৃষ্টিকারী লোকজনকে বুঝিয়ে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে। তখন বাড়ির ভেতরে পুলিশ ছাড়াও আইভীর পরিবারের সদস্য ও গণমাধ্যমকর্মীরা অবস্থান নেয়। পুলিশের কর্মকর্তারা আইভীর সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে কথা বলেন। আইভী পুলিশকে বলেন, তিনি দিনের বেলা ছাড়া পুলিশের সঙ্গে যাবেন না। রাতভর বাড়ির ভেতরে পুলিশ এবং বাড়ির বাইরে আইভীর জনতার বিক্ষোভ চলতে থাকে। একপর্যায়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলায় আইভীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা পর শুক্রবার ভোর পৌনে ৬টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

গাড়ি বহরে হামলা
এদিকে আইভীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার সময় তাকে বহনকারী গাড়ির ওপর হামলা হয়। সকাল সাড়ে ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের বিবি রোডের কালীর বাজার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় র‌্যাব ও পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করেও ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে পুলিশের দুই সদস্যসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। দ্রুত পুলিশ তাকে নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয়ে নিয়ে যায়।
এদিকে হামলার বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল-ক) রকিব উদ্দিন জানান, হামলার সময় ইটপাটকেল নিক্ষেপে পুলিশের একজন সাব-ইন্সপেক্টরসহ দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। 

আইভীর বক্তব্য
গ্রেপ্তারের সময় আইভী গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেন বর্তমান সরকার বৈষম্যের কথা বলে ক্ষমতায় এসে আমার সঙ্গে বৈষম্যমূলক কাজ করছে। কোনো অন্যায় না করেও কোনো রকম ওয়ারেন্ট ছাড়াই আমাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাচ্ছে। নিজেকে জয় বাংলার লোক উল্লেখ করে এ সময় জয়বাংলা স্লোগানও দেন সেলিনা হায়াৎ আইভী। 

তিনি বলেন, জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বলা যদি অপরাধ হয়ে থাকে তাহলে আমি অপরাধী। কিন্তু নারায়ণগঞ্জে ২১ বছরের সেবায় কোনো দল কিংবা ব্যক্তিকে আঘাত করার মতো কিছু কখনো করিনি। যখনি নারায়ণগঞ্জে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তখনি প্রতিবাদ করেছি। কোনো অপরাধ না করেও অপরাধী হিসেবে আমাকে গ্রেপ্তার করা বৈষম্য বলে দাবি করেন তিনি। বিগত সময়ের মতো নারায়ণগঞ্জবাসীকে পাশে থাকার আহ্বান জানান আইভী।

তিনি বলেন, পুলিশ রাতের বেলায় এসেছে আমি রাতের বেলায় বের হতে চাইনি। তারা সারারাত আমার বাড়িতে অবস্থান করেছে। এজন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। আমি ওনাদের কষ্ট দিয়েছি। আমার মহল্লার লোকজন সারারাত এখানে অবস্থান নিয়েছে। আমি আমার এলাকাবাসী ও মহল্লাবাসীকে ধন্যবাদ দিতে চাই। আপনারা কোনো উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করেন নাই। শান্ত ছিলেন। আমি আপনাদের মেয়ে, আপনাদের সন্তান। আমার প্রতি যে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা দেখিয়েছেন আমি আজীবন আপনাদের এই ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও সম্মানের কথা মনে রাখবো। আমার এলাকাবাসী জানেন আমি আলী আহম্মদ চুনকার সন্তান। আমার বাবা দল মতের ঊর্ধ্বে উঠে রাজনীতি করেছে। আমার যদি অপরাধ হয়ে থাকে ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বলার কারণে তাহলে আমি সেই অপরাধে অপরাধী হতে চাই। এই জন্য যদি আমার বিচার হয়, হবে। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ শহরে ২১ বছর নারায়ণগঞ্জবাসীকে সেবা দিয়েছি। কেউ কোনোদিন বলতে পারবে না। আমি কোনো প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে অন্য কোনো দলের প্রতি আঘাত করেছি। অথবা কারও সঙ্গে কোনো বৈষম্যমূলক আচরণ করেছি। দল মতের ঊর্ধ্বে উঠে নিজের দলের মধ্যে থেকের মানুষের কল্যাণে কাজ করার চেষ্টা করেছি। বিরোধ ও মতভেদ সত্ত্বেও নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য এমন কোনো জায়গা নাই যেখানে প্রতিবাদ করি নাই।

এ সময় আবেগ আপ্লুত হয়ে আইভী বলেন, আপনারা জানেন, এক মাস হয় নাই। আমার অত্যন্ত আদরের ছোট ভাই আলী আহম্মদ রেজা রিপনকে আমরা হারিয়েছি। সেই ভাইয়ের শোক এখনো ভুলতে পারি নাই। তিনটা ছোট ছোট নাবালক বাচ্চা। চার বছর আগে তাদের মাও মারা গেছে। যেখানে আমার বড় ভাই নাই বোন নাই। তার মাঝখান দিয়ে আমাকে এইভাবে কি কারণে অ্যারেস্ট করা হলো, আমি কি জুলুমবাজ, হত্যাকারী, চাঁদাবাজি করেছি, আমার কি কোনো রেকর্ড আছে যে আমি কোনোদিন কোনো বিরোধী দলকে আঘাত করেছি। তাহলে কিসের জন্য কি কারণে কোন ষড়যন্ত্রের কারণে, কার স্বার্থে আমাকে অ্যারেস্ট করা হলো?
আমিও প্রশাসনের কাছে জানতে চাই, বর্তমানে যারা সরকারে আছেন, তারা সাম্যের কথা বলেছেন, বৈষম্যের বিরুদ্ধে আপনারা আন্দোলন করেছেন। সরকার হটিয়ে নতুন সরকার এসেছেন। তাহলে কি এই বৈষম্য? তাহলে ওনেস্ট রাজনীতির কি মূল্যায়ন?
আমি তো বাড়িতেই ছিলাম। আমি তো পালাইনি। তাহলে এভাবে আমাকে অ্যারেস্ট করতে হলো কেন? সেই জবাব জনগণের কাছে চাই। জনগণই দিবে।

আইভীর গ্রেপ্তারে রফিউর রাব্বির প্রতিক্রিয়া
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেত্রী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়েছেন সহযোদ্ধা রফিউর রাব্বি। শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শেয়ার করা এক স্ট্যাটাসে তিনি এই নিন্দা জানান।
রফিউর রাব্বি তার স্ট্যাটাসে বলেন, ‘ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। আমরা এই গ্রেপ্তারের নিন্দা জানাই। নারায়ণগঞ্জকে নরক বানিয়ে রাখা শামীম ওসমানকে সরকারের বাহিনী সসম্মানে দেশ থেকে পালাতে সহায়তা করলো, তার পরিবারকে বিএনপি’র নেতারা পালাতে সহায়তা করলো আর আইভীকে করা হলো গ্রেপ্তার।’
আইভীর বিরুদ্ধে দায়ের করা হত্যা মামলা প্রসঙ্গে রফিউর রাব্বি বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে। তিনি শামীম ওসমানকে সঙ্গে নিয়ে হত্যা করেছেন। যে শামীম ওসমানের সঙ্গে তার সাপে-নেউলের সম্পর্ক, তাকে সঙ্গে নিয়ে আইভী হত্যা করেছেন? একদিকে সরকার বলছে, মামলা হলেই কাউকে গ্রেপ্তার করা যাবে না। তদন্ত করে প্রমাণ পেলে গ্রেপ্তার। আবার এমনি রাতভর বাড়ি ঘিরে রেখে সকালে গ্রেপ্তার।’ 

নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট
নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক ধীমান সাহা জুয়েল আইভীকে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে বলেন, আইভী আওয়ামী লীগ করেন এটা সত্যি। আবার এটাও সত্যি, নারায়ণগঞ্জে যারা আওয়ামী লীগ করেছে সেই দুর্বৃত্তশক্তির বিরুদ্ধে তার সাহসী প্রতিবাদও ছিল। ফলে জনগণের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধায় জায়গায় তিনি ছিলেন। আওয়ামী লীগের সত্যিকারের যারা খুনি, সত্যিকারের দোষী তাদের পালিয়ে যেতে সরকার সহায়তা করেছে। আর জনগণ যাকে নির্দোষ মনে করে তাকে এমনভাবে গ্রেপ্তার করাটা যুক্ত সঙ্গত মনে করি না।
তবে তিনি যদি অপরাধ করে থাকেন সেই অপরাধের শাস্তি চাই। কিন্তু অযথা যেন হয়রানি করা না হয়। আমরা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাই।

গণসংহতি আন্দোলন
গণসংহতি আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক তরিকুল ইসলাম সুজন বলেন, সেলিনা হায়াৎ আইভী নারায়ণগঞ্জে গুম-খুন-সন্ত্রাসের প্রতীক ছিল না। এমনকি গত ১৭ বছরে বিএনপি কিংবা বিরোধী মত হিসেবে আমরা যারা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে জানবাজি রাখা লড়াই চালিয়েছি, তাদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ১টি মামলাও করে নাই। প্রতিপক্ষকে নির্মূল কিংবা দমন-পীড়ন আইভীর রাজনীতি ছিল না।

শেষের পাতা থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

শেষের পাতা সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status