শেষের পাতা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এক গ্রামে ৩ দিন ধরে সংঘর্ষ, নিহত ১
স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে
১৫ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবারব্রাহ্মণবাড়িয়ার এক গ্রামে ৩ দিন ধরে সংঘর্ষ চলছে। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে চলা এ সংঘর্ষে নিয়াজুল হোসেন (৪৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আরো ১০ জন আহত হন। বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। গতকাল বিকেলে সদর উপজেলার নাটাই ইউনিয়নের চান্দের বাড়ি ও ছলিমের বাড়ির গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। তিন ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলাকালে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে। নিহত মিয়াজুল চান্দের গোষ্ঠীর তোতা মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, ছলিমের বাড়ির শহিদ মিয়ার ছেলে চান্দের বাড়িতে বসে সোমবার রাতে কয়েকজনকে নিয়ে মাদক সেবন করছিল। এসময় চান্দের বাড়ির লোকজন তাতে বাধা দিলে এ নিয়ে বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে সোমবার রাতেই দুই গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকালে চান্দের বাড়ি ও ছলিম বাড়ির লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আবারও সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে উভপক্ষের ১০-১২টি বাড়িতে ভাঙচুর চালায় দাঙ্গাবাজরা। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হয়। এরই জের ধরে গতকাল বিকেলে ফের সংঘর্ষে জড়ায় দুই গোষ্ঠীর লোকজন। এ সময় টেঁটা, বল্লমসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যাপক ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে। সংঘর্ষ চলাকালে ১০-১২টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে পুরো গ্রাম জুড়ে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে সংঘর্ষটি গ্রামের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে টেঁটার আঘাতে চান্দের গোষ্ঠীর নিয়াজুল হোসেন গুরুতর আহত হন। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎস মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে নিহতের ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় আবার উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। থেমে থেমে সংঘর্ষ চলতে থাকে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোজাফফর হোসেন জানান, দীর্ঘদিনের গোষ্ঠিগত দ্বন্ধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।