শেষের পাতা
জামিনে মুক্ত নুসরাত ফারিয়া
মুমূর্ষু সময় পার করেছি দুইটা দিন
স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর থেকে
২১ মে ২০২৫, বুধবার
আলোচিত চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। মঙ্গলবার সাড়ে ৩টার দিকে তিনি মহিলা কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করেন বলে জানিয়েছেন কারা কর্তৃপক্ষ। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের মহিলা কারাগারের জেল সুপার কাওয়ালিন নাহার বলেন, দুপুরে চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়ার জামিনের কাগজপত্র কারাগারে এসে পৌঁছায়। পরে সেগুলো যাচাই-বাছাই ও নতুন মামলায় আটকাদেশ না থাকায় তাকে সাড়ে ৩টার দিকে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। সোমবার ফারিয়াকে কারাগারে পাঠানোর পর নানা দিক থেকে সমালোচনা আসে। ২২শে মে পরবর্তী জামিন শুনানির তারিখ থাকলেও গতকালই তাকে জামিন দেন আদালত। কারাগার থেকে বের হয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি এই অভিনেত্রী। তবে এই সময়ে যারা পাশে ছিলেন, তাদের উদ্দেশ্যে ফেসবুক পেজের এক স্ট্যাটাসে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এই নায়িকা। নুসরাত ফারিয়া জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর সুখবরটি ভক্তদের সঙ্গে ভাগাভাগি করেন ৪টা ২০ মিনিটে। তিনি ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা, যারা আমার পাশে ছিলেন। শারীরিক অসুস্থতার জন্য আজ কথা বলতে পারিনি। সুস্থ হয়ে খুব দ্রুত ফিরে আসবো আপনাদের মাঝে।’
বাসায় ফিরে বিকেলে দেওয়া ফেসবুক পোস্টে নুসরাত ফারিয়া লিখেছেন, ‘জীবনের সবচেয়ে মুমূর্ষু সময় পার করেছি এই দুইটা দিন। মানসিকভাবে খুবই ভেঙে পড়েছিলাম। তবে এই সময়টাতে যাঁরা সর্বক্ষণ আমার পাশে ছিলেন, সেসব মানুষদেরকে মন থেকে কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই।’
প্রসঙ্গত ভাটারা থানায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার অভিনেত্রীকে গত সোমবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে নেয়া হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে ওইদিন দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে সকালে নুসরাত ফারিয়াকে আদালতে হাজির করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গত রোববার নুসরাত ফারিয়াকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। নুসরাত ফারিয়ার বিরুদ্ধে ভাটারা থানায় করা একটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় ওই মামলায় তাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আসামি করা হয়।
পাঠকের মতামত
শিল্পীরা শিল্পীদের মতো থাকেন। তেলবাজি করার দরকার নেই। বিশেষ করে শোবিজ তারকা ও খেলোয়াড়রা দলমত নির্বিশেষে আপামর জনগণের খুব কাছের মানুষ। তাই দলবাজি বাদ দিয়ে নিজের কাজ চালিয়ে যান এতে কারো কোনো আপত্তি থাকবে না।
দুই দিন জেলে ছিলেন একে যদি মুমূর্ষু অবস্থায় বলেন তাহলে চিন্তা করুন গত ১৬ বছর আপনাদের নেত্রী ডিক্টেটর শাসক শেখ হাসিনা বিরোধী দল ও বিরোধী মতের মানুষ দের কে কি ধরনের দোজখের মধ্যে রেখে ছিলেন আমি মনে করি আপনার মাধ্যমে শিক্ষা হবে যে শিল্পীগণ রাতের ভোটে পুলিশ প্রশাসনের সাহায্য সহজে এমপি হাওয়ার জন্য নিলর্জ্জভাবে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দালালী,গুণগান ও লেজুড়বৃত্তি করে ছিল আর আমি বড়-ছোট পর্দার সবাই কে অনুরোধ করবো যারা রাজনীতি করতে চান তাদের কে অবশ্যই তাদের পেশাগত দায়িত্ব থেকে সরে আসতে হবে।