অনলাইন
সহযোগীদের খবর
মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই যুবককে পিটিয়ে হত্যা
অনলাইন ডেস্ক
(১ দিন আগে) ১ জুন ২০২৫, রবিবার, ৯:৪২ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৫:৫৮ অপরাহ্ন
সমকাল
‘মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই যুবককে পিটিয়ে হত্যা’-এটি দৈনিক সমকালের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানীর দারুস সালামে ছিনতাইকারী সন্দেহে দুই যুবককে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার এ এলাকার হাড্ডিপট্টিতে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই যুবককে ধাওয়া করে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। মরদেহের পাশ থেকে দুটি চাপাতি উদ্ধার করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। দুই যুবকের মধ্যে একজনের নাম তানভীর (২৫)। গত শুক্রবার রাতে তাঁর বিরুদ্ধে দারুস সালাম থানায় মাদকের মামলা হয়। অন্যজনের নাম ফাহিম ওরফে টেপা (২৪)। তিনি বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কাছিলা গ্রামের মোর্শেদ আলমের ছেলে। তানভীরের বাড়িও বরিশালে। ফাহিম রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বছিলা মডেল টাউন এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
হত্যার ঘটনা নিয়ে দুই ধরনের তথ্য পাওয়া গেছে। এলাকাবাসী বলছেন, কয়েক দিন ধরে হাড্ডিপট্টি এলাকায় ছিনতাই-ডাকাতির ঘটনা বেড়েছে। দুর্বৃত্তরা নারীদের উত্ত্যক্ত করার পাশাপাশি বাসার দরজায় ধাক্কা দিত। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিন যুবক ধারালো চাপাতি নিয়ে আবার এলাকায় আসে; দোকানপাটে হামলা চালায়। এ সময় মসজিদের মাইকে ঘোষণা করা হয়, 'এলাকায় ছিনতাইকারী ঢুকেছে'। তখন বাসিন্দারা লাঠিসোটা নিয়ে বের হয়ে এলে তিন যুবক পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। ওই সময় দু'জনকে পিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।
চা দোকানি মো. রফিক বলেন, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনজন চাপাতি নিয়ে আমার দোকানে ঢুকে পানির ফিল্টারে কোপ দেয়। পরে আমাকে কোপ মারার চেষ্টা করে। আমি সরে গেলে মোবাইল ফোনের ওপর কোপ লাগে। তখন ভয়ে দোকান বন্ধ করার চেষ্টা করি আর চিৎকার দিই। তখন ওরা বেরিয়ে যায়। লোকজনও ছুটে আসে। পরে শুনি, মানুষ ওদের পিটিয়ে মেরেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে হাড্ডিপট্টি এলাকার কয়েক বাসিন্দা দারুস সালাম থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন, তাদের এলাকায় মাদক কারবারিদের তৎপরতা বেড়েছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে রাত ১টার দিকে সেখানে অভিযান চালিয়ে পাঁচ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়। দু'জন পালিয়ে যায়। রাতেই পুলিশ বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে। মামলায় দু'জনকে পলাতক হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এই দুজনের মধ্যে একজন গতকাল গণপিটুনিতে নিহত তানভীর।
পুলিশের দারুস সালাম জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার সালেহ মুহম্মদ জাকারিয়া বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে মাদকসহ তাদের দু'জন সহযোগীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করায় তারা এলাকাবাসীর ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে গতকাল হামলা চালায়। পরে জনতার পিটুনিতে দু'জনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি জানান, এ ঘটনায় অজ্ঞাত ২০০ থেকে ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
প্রথম আলো
দৈনিক প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম ‘করমুক্ত আয়সীমায় ছাড় নেই, করপোরেট কর বাড়বে’। খবরে বলা হয়, মূল্যস্ফীতি চড়া। মানুষের প্রকৃত আয় কমছে। কিন্তু আগামী বাজেটে সাধারণ করদাতাদের আয়করে বড় কোনো ছাড় দেওয়ার পরিকল্পনা নেই সরকারের। গতকাল শনিবার পর্যন্ত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ব্যক্তির করমুক্ত আয়সীমায় কোনো পরিবর্তন আসছে না। অর্থাৎ করমুক্ত আয়সীমা বাড়ছে না।
ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের জন্য কর বাড়তে পারে। পুঁজিবাজারে অনিবন্ধিত কোম্পানির ক্ষেত্রে বাড়বে করপোরেট করহার। আবার লাভ হোক, লোকসান হোক, নির্দিষ্ট হারে যে কর দিতে হয়, সেটা এবার বাড়তে পারে।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে কর ছাড় দেওয়া হতে পারে। যেমন ব্যক্তির ক্ষেত্রে ন্যূনতম কর কিছুটা কমবে। জমি কেনাবেচায় কর কমানো হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে আয়কর রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা তুলে নেওয়া হতে পারে।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ আগামীকাল সোমবার আগামী অর্থবছরের (২০২৫-২৬) বাজেট দেবেন। তিনি টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে ভাষণের মাধ্যমে এবারের বাজেট উপস্থাপন করবেন। এটা হবে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বাজেট। দেখা যাচ্ছে, সরকার বাজেটের কর খাতে বড় কোনো পরিবর্তন আনছে না। কিছু হেরফের করা হচ্ছে।
যুগান্তর
‘শিক্ষার্থীদের হাতে ৩৩ শতাংশ নিম্নমানের বই’-এটি দৈনিক যুগান্তরের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) অধীনে ছাপানো পাঠ্যবইয়ের মান নিয়ে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এনসিটিবির দরপত্রে বইয়ের উজ্জ্বলতার জন্য নির্দিষ্ট মান থাকলেও অনেক মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান সেটি অনুসরণ করেনি। এসব বই বাঁধাইয়ের কাজে ব্যবহার করা হয়েছে নিম্নমানের গাম। পাঠ্যবইয়ের প্রচ্ছদ ও পৃষ্ঠা সংখ্যার ক্ষেত্রেও করা হয়েছে নয়ছয়।
এমন অনিয়ম, অসঙ্গতিতে ভরা অন্তত ৩৩ শতাংশ নিম্নমানের বই প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয়েছে। প্রাপ্ত হিসাবে দেখা যায়, ৪০ কোটি বইয়ের মধ্যে ১৩ কোটি বইয়ের মানই খারাপ। এসব বই ছাপিয়ে সরকারের কোটি কোটি টাকা বিলের নামে তুলে নেওয়া হয়েছে। আবার অনেক মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান যথাসময়ে বই সরবরাহ করেনি। এতে শিক্ষার্থীরা বেশ ভালোই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সূত্র জানায়, কিছু মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান, এনসিটিবি ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে বই নিয়ে এমন অনিয়ম করা হয়েছে। ৩০টির বেশি মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এনসিটিবির চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক রবিউল কবীর চৌধুরী যুগান্তরকে বলেন, এবার খারাপ বই ছাপানোর কারণে ১৬টি মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দিয়েছি। তারা দরপত্রের মান ঠিক রেখে আবার শিক্ষার্থীদের বই রিপ্লেস করবে। যদি সেটি সম্ভব না হয়, তাদের অর্থদণ্ড করা হবে। এরপরও তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে।
কালের কণ্ঠ
দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম ‘বাজেটে স্বস্তি নেই মধ্যবিত্তের’। প্রতিবেদনে বলা হয়, শিশুর আবদার মেটাতে খেলনা কিনে দিতে গুনতে হবে বাড়তি অর্থ। নগর জীবনের অনুষঙ্গ ফ্রিজ, টিভি, এসি, ব্লেন্ডার ও জুসারের মতো পণ্য হবে আরো ব্যয়বহুল। এমনকি ঘরে বিদ্যুৎসাশ্রয়ী বাতি ব্যবহার, মশা-মাছি-তেলাপোকার উপদ্রব থেকে রেহাই পেতেও ব্যয় বাড়বে।
নিত্যপণ্যের বাড়তি দামের চাপ সামাল দিতে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত যখন হিমশিম খাচ্ছে, তখন বাজেটেও তাদের জন্য নেই স্বস্তির খবর।
আগামী ২ জুন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ যে বাজেট উপস্থাপন করতে যাচ্ছেন তাতে উল্টো কর কাঠামো ও বাড়তি রাজস্ব আদায়ের পদক্ষেপ মধ্যবিত্ত শ্রেণির ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। এতে আয় না বাড়লেও নানাভাবে ব্যয় কাটছাঁট করে চলা মধ্যবিত্তের জীবনযাত্রার ব্যয় আরো বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
কারা মধ্যবিত্ত, কেন তাঁরা অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ : অর্থনীতিবিদরা বলছেন, যাঁরা নির্ধারিত আয়ের মানুষ, মাসিক বেতনের ভিত্তিতে কাজ করেন, যাঁদের বেতনের বাইরে বাড়তি আয় নেই, উচ্চবিত্ত বাদ দিয়ে দারিদ্র্যসীমার ওপরে যাঁদের বসবাস, তাঁরাই মধ্যবিত্ত। দেশের অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য, উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধির নেপথ্যে থেকে বড় ভূমিকা রাখেন তাঁরাই।
দেশের সবচেয়ে সচেতন শ্রেণি হলো মধ্যবিত্ত। এই শ্রেণিটি অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে বড় ধরনের অবদান রাখে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রতিবছর বাজেটে প্রাপ্য গুরুত্ব তাঁরা পান না। মধ্যবিত্ত শ্রেণির প্রধান সমস্যা হলো, তাঁদের আয় বাড়ে সীমিত হারে, অথচ ব্যয় বেড়ে চলে লাগামহীনভাবে।
ইত্তেফাক
দৈনিক ইত্তেফাকের প্রধান শিরোনাম ‘শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আজ’। খবরে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলন চলাকালে গতবছরের জুলাই-আগস্টে গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আজ রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিল করা হবে। শেখ হাসিনার সঙ্গে অভিযুক্ত অপর দুই জন হলেন—সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। এই তিন জনের মধ্যে সাবেক আইজিপি মামুন কারাগারে, অপর দুই জন পলাতক।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম গতকাল শনিবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে আজ আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ দাখিল করা হবে বলে জানিয়েছেন। আন্তর্জাতিক গুম সপ্তাহ উপলক্ষ্যে বেসরকারি মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’ আয়োজিত ‘গুমের সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে বিচার কর’ শীর্ষক আলোচনাসভায় একথা জনিয়ে তাজুল ইসলাম বলেছেন, আমরা বিচারপ্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ডিসেম্বরের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখা যাবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
শেখ হাসিনাকে ‘গুম ও আয়নাঘরের নিউক্লিয়াস’ হিসেবে উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম বলেন, বিচারের কাজ পুরোদমে এগোচ্ছে। তবে তদন্ত শেষ করতে যুক্তিসংগত সময় লাগবে। এসময় ১০ থেকে ১৫টি উল্লেখযোগ্য গুমের ঘটনার তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। জুনের মধ্যে প্রতিবেদনগুলো পাওয়া যাবে। বিচারপ্রক্রিয়ায় বাধা অনেকটা দূর হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অপরাধের কাঠামো এবং অপরাধী সম্পর্কে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মোটাদাগে তথ্য চিহ্নিত করতে পেরেছে। তবে গুমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে কিছুটা বাধা থেকে গেছে। গ্রেফতার নিশ্চিতের বিষয়ে আমরা কাজ করছি।
বণিক বার্তা
‘অন্তর্বর্তী সরকারের বাজেট আগামীকাল’-এটি বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, এর পরও অর্থনীতির কোনো সূত্র না মেনেই প্রতি বছর বাজেটের আকার বাড়িয়েছে পতিত আওয়ামী লীগ সরকার। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্যও রেকর্ড ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছিল। ঘোষিত সে বাজেট বাস্তবায়ন শুরুর এক মাস পরই গণ-অভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট ক্ষমতা হারায় শেখ হাসিনা সরকার। অলীক ও অবাস্তবায়নযোগ্য সে বাজেটই টেনে নিয়েছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। মাঝপথে এসে সংশোধন করে বাজেটের আকার ৭ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছিল। যদিও সংশোধিত এ বাজেটও বাস্তবায়ন হওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। কেননা অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসেই (জুলাই-এপ্রিল) রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ ঠেকেছে ৭১ হাজার ৪৭৬ কোটি টাকায়।
রাজস্ব আহরণের নাজুক পরিস্থিতির মধ্যেই আগামীকাল ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশ টেলিভিশনের মাধ্যমে এদিন বিকাল ৪টায় বাজেট ঘোষণা করবেন। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রমতে, আগামী অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। এটি চলতি অর্থবছরের ঘোষিত বাজেটের চেয়ে ৭ হাজার কোটি টাকা কম হলেও সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ৪৬ হাজার কোটি টাকা বেশি।
দেশের অর্থনীতিতে স্থবিরতার পাশাপাশি বর্তমানে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগেও খরা চলছে। আর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সংস্কার ইস্যুতে সরকারের সঙ্গে মুখোমুখি অবস্থায় রাজস্ব কর্মকর্তারা। এ পরিস্থিতিতেও এনবিআরকে ৫ লাখ ১৮ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা দিচ্ছেন ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এনবিআর ও কর-বহির্ভূত রাজস্ব আহরণের লক্ষ্য ধরা হচ্ছে ৪৬ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ পালিয়ে যাওয়া অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর দেয়া বাজেটের মতোই ঘাটতি বাজেট প্রণয়ন করা হচ্ছে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘাটতি ধরা হচ্ছে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা। ব্যাংক খাতের পাশাপাশি দেশী-বিদেশী উৎস থেকে ঋণ নিয়ে এ ঘাটতি পূরণ করবে অন্তর্বর্তী সরকার।
আজকের পত্রিকা
দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম ‘চাপের মুখে সংযমী বাজেট’। খবরে বলা হয়, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট আসছে এমন এক সময়, যখন অর্থনীতি আছে একযোগে চাপ, সংকট এবং শর্তের ঘূর্ণাবর্তে। রাজস্ব আয় কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় না পৌঁছানো, বিনিয়োগে স্থবিরতা ও কর্মসংস্থানের সীমাবদ্ধতা এখন সরকারের নীতিনির্ধারকদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। পাশাপাশি যোগ হয়েছে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের দায় এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে গৃহীত ঋণের শর্ত পূরণের চাপ। এ ছাড়া সরকার গঠিত শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নের চাপ তো রয়েছেই।
ফলে এবারের বাজেট শুধু বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব নয়, বরং তা সরকারের জন্য হয়ে উঠছে একটি কৌশলভিত্তিক আর্থিক দলিল—যার মূল দর্শন সংযম, কাঠামোগত সংস্কার ও স্থিতিশীলতা। সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে, সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক চাপ মোকাবিলা, আইএমএফ-সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতি রক্ষা এবং অর্থনীতির টেকসই সংস্কারের মধ্য দিয়ে আগামী দিনের জন্য একটি স্থিতিশীল ভিত্তি নির্মাণ।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের এটিই প্রথম এবং বাংলাদেশের ৫৩তম বাজেট। বাজেটের আকার ধরা হচ্ছে প্রায় ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। সাম্প্রতিক সময়ের বাজেট ইতিহাসে এবারই প্রথম সামগ্রিক বাজেটের আকার কমতে যাচ্ছে। বিদায়ী অর্থবছরের মূল বাজেট ছিল ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার।
দেশ রূপান্তর
‘দেশীয় শিল্পে আসতে পারে ধাক্কা’-এটি দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, কাল সোমবার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রত্যাশা, অর্থনীতির গতিবিধি ও জন-আকাক্সক্ষার প্রতিফল দেখার প্রত্যাশা থাকে বাজেটে। এবার বাজেটে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকাভুক্ত (এলডিসি) থেকে উত্তরণের শর্ত হিসেবে সম্পূরক শুল্ক কমানো হচ্ছে। ফলে দেশীয় শিল্পে আসতে পারে ধাক্কা!
২০২৫-২৬ অর্থবছরে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হবে। কাল টেলিভিশনের পর্দায় বাজেট পেশ করবেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। এ বাজেট ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল বাজেটের তুলনায় প্রায় ১ শতাংশ কম। চলতি অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট দিয়েছিল বিগত আওয়ামী লীগ সরকার।
বাংলাদেশ বর্তমানে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকাভুক্ত। যে কারণে দেশীয় শিল্পের সুরক্ষার জন্য যেকোনো পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক আরোপ করতে পারে বাংলাদেশ। এর জন্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিশেষ করে বিশ^বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) কাছে কোনো ধরনের জবাবদিহি করতে হয় না। কিন্তু আগামী বছরের ২৪ নভেম্বর এলডিসি তালিকা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ ঘটবে। ফলে তখন চাইলেই আর বাংলাদেশ যখন-তখন যেকোনো পণ্যে সম্পূরক শুল্ক ও নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্কের মতো শুল্ক আরোপ করতে পারবে না। ফলে একদিকে যেমন রাজস্ব কমবে, অন্যদিকে দেশীয় শিল্পের সংরক্ষণ হ্রাস পাবে।
বাংলাদেশ প্রতিদিন
দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রধান শিরোনাম ‘ভালো নেই দেশের মানুষ’। খবরে বলা হয়, ভালো নেই দেশের মানুষ। শহর থেকে গ্রামে কোথাও স্বস্তি নেই। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছে মধ্যবিত্ত। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির ফলে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ নানা ধরনের অপরাধ বেড়েছে। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে নানা পেশার মানুষ। একের পর এক আন্দোলনে রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। রাস্তা থেকে আন্দোলন ছড়িয়ে যাচ্ছে প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয় অবধি।
ভালো নেই ছোট ও বড় ব্যবসায়ীরাও। গ্যাস বিদ্যুৎ সংকটে ঘুরছে না শিল্প-কারখানার চাকা। ব্যবসায় ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা কারখানা বন্ধ করে দিচ্ছেন। বাড়ছে বেকারত্ব। হঠাৎ চাকরি হারিয়ে বেকার হয়ে পড়ছেন হাজার হাজার শ্রমিক। অভ্যন্তরীণ সংকটের পাশাপাশি একের পর এক বহির্মুখী সংকট ধেয়ে আসছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ট্রানশিপমেন্ট বন্ধের পর স্থলপথে রপ্তানি সুবিধা স্থগিত করেছে। দেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি বাজার যুক্তরাষ্ট্র চাপিয়ে দিয়েছে ট্যারিফ। সুদের হার বেশি থাকায় ব্যাংকগুলো থেকে ঋণ নিতে পারছে না শিল্পোদ্যোক্তারা। দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের অযথা হয়রানি করা হচ্ছে। নজিরবিহীনভাবে মিথ্যা হত্যা মামলার আসামি করা হচ্ছে অনেককে। মব-ভায়োলেন্সের ঘটনাও দিনদিন বাড়ছে। অনেক ব্যবসায়ীকে চাঁদার জন্য হুমকি দেওয়া হচ্ছে। চাঁদা না দিলে অফিস-আদালত এমনকি বাসাবাড়িতেও হামলা চালানো হচ্ছে। এমন কি রাষ্ট্রীয়ভাবেও হয়রানির শিকার হচ্ছেন অনেক শিল্পোদ্যোক্তা। বড় ব্যবসায়ী যারা তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করে রাখা হচ্ছে; হয়রানিমূলক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদকে তলব করা হচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে ব্যবসাবাণিজ্যে এক ধরনের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এমন কোনো খাত নেই, যে খাতের জন্য সরকার ন্যূনতম প্রশংসার দাবিদার হতে পারে।
পাঠকের মতামত
মাইকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হোক তার পরিবর্তে সাউন্ড সিস্টেম চালু করা হোক সব ধরণের প্রতিষ্ঠানে, সভা সমিতিতে।