অনলাইন
ওয়াকি-টকির মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি দেদার বিকোচ্ছে ই-কমার্স সাইটগুলোতে, কড়া পদক্ষেপ মোদি সরকারের
মানবজমিন ডিজিটাল
(১ দিন আগে) ১ জুন ২০২৫, রবিবার, ১১:১৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৬:৪৫ অপরাহ্ন

পেহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার পর নড়েচড়ে বসলো সরকার। নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগ বৃদ্ধির মধ্যে, ভারত সরকারের গ্রাহক সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ (সিসিপিএ) ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলোতে ওয়াকি-টকিসহ রেডিও সরঞ্জামের অননুমোদিত বিক্রয় রোধে বিস্তারিত নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে এবং নোটিশ জারি করেছে। ১২টি প্রধান প্ল্যাটফর্মকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে, যাতে অ-সম্মতিপূর্ণ পণ্য তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়।
কেন্দ্রের নোটিসের জেরে আপত্তিকর পণ্যগুলো সরিয়ে নিয়েছে আমাজন, ফ্লিপকার্ট, মেশো, চিমিয়া, জিও মার্টের মতো সংস্থাগুলো। তবে টক প্রো এবং ম্যাকম্যান টয়ের মতো প্ল্যাটফর্মগুলো এ বিষয়ে সম্মতি প্রকাশ করেনি।
সিসিপিএ-এর দাবি অনুযায়ী, ওয়াকি-টকি ব্যবহারের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছে। এগুলো ব্যবহার করতে গেলে সরকারি অনুমতি নিতে হয়। সরকারি লাইসেন্সের পাশাপাশি কোন ফ্রিকোয়েন্সি রেঞ্জ ব্যবহার করা হবে তারও নির্দিষ্ট অনুমতি প্রয়োজন হয়। তবে সে বিষয়ে কোনও তথ্য না দিয়ে অনলাইনে বেআইনিভাবে বিক্রি করা হচ্ছিল এই যন্ত্র। যার জেরেই ২০১৯ সালে কনজিউইমার প্রোটেকশন অ্যাক্টের অধীনে কেন্দ্রের তরফে নোটিস জারি করে জানানো হয়েছে, এখন থেকে ই-কমার্স প্ল্যার্টফর্মে কিছু বিক্রি করতে হলে সেই পণ্য সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য স্পষ্টভাবে অনলাইনে উল্লেখ করতে হবে।
শুধু তাই নয়, অনুমতি ও লাইসেন্স ছাড়া ওয়াকি-টকি ব্যবহার বা নির্দিষ্ট ফ্রিকোয়েন্সি বা রেঞ্জের রেডিও অপারেটিং করা হয়, সেক্ষেত্রে শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে। ভোক্তা বিষয়ক বিভাগের পূর্ববর্তী তদন্তে অ্যামাজন এবং মিশোতে ৪৫০ টিরও বেশি এবং ফ্লিপকার্টে ৩০০ টিরও বেশি ওয়াকি-টকি সহ রেডিও সরঞ্জামের মতো আপত্তিকর পণ্য পাওয়া গিয়েছে।
নতুন নির্দেশিকা অনুসারে, প্ল্যাটফর্মগুলোতে কেবল অনুমোদিত এবং সম্মতিপ্রাপ্ত ডিভাইসগুলো তালিকাভুক্ত করতে হবে। স্পষ্টভাবে ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড এবং প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্যগুলো উল্লেখ করতে হবে, নিয়ন্ত্রক শংসাপত্রের প্রমাণ সরবরাহ করতে হবে, এই তথ্যের অভাবযুক্ত পণ্যগুলো সরিয়ে ফেলতে হবে এবং কোনও বিভ্রান্তিকর বর্ণনা এড়াতে হবে। ২২শে এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর সরকার এই ধরনের সরঞ্জামের উপর মনোযোগ দিয়েছে, সংবেদনশীল অঞ্চলে অননুমোদিত যোগাযোগ সরঞ্জামের ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
সূত্র : এনডিটিভি
পাঠকের মতামত
একি অবস্থা মোদি বাবুর জন্য এত প্রেম পিরিতি আমাদের যে ঘটলো কেন ? ওয়াকি টকি নিষিদ্ধ করেছে কি একটা খবর হলো।নাকি পাকিস্তানের কাছে হেরে গিয়ে মাথা খারাপ হয়ে পানি বন্ধ করে আবার উল্টা বিপদে পড়তে বসছে সেই খবর গেল কোথায়। এই ওয়াকি টপির খবর চাচ্ছে আপনাদের জায়গাটা নষ্ট হলো না।