হাসিনা দিল্লি পালিয়েছে, জিএম কাদের কীভাবে এখনো জেলের বাইরে?

জিএম কাদের বলেছে, আওয়ামী লীগকে দূরে রেখে নির্বাচন করা যাবে না। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা যাবে না। এখান থেকে প্রমাণিত হয়, জিএম কাদের যে হাসিনার এক নম্বর দোসর। হাসিনা দিল্লি পালিয়েছে, জিএম কাদের কীভাবে এখনো জেলের বাইরে? জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধকরণ, জিএম কাদেরসহ ফ্যাসিবাদের সহযোগীদের গ্রেপ্তার এবং বরিশালে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে এই প্রশ্ন রাখেন গণঅধিকার পরিষদ সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন। সেইসঙ্গে তিনি বলেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জিএম কাদেরকে গ্রেপ্তার করুন, অন্যথায় সারাদেশে আন্দোলন শুরু হবে।

রোববার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত এই বিক্ষোভ-সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন আরও বলেন, শেখ হাসিনার বিচার হলে জিএম কাদেরের কেন বিচার হবে না? আওয়ামী লীগের মত জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন স্থগিত করতে হবে।

তিনি বলেন, এই দেশের গণতন্ত্র হত্যার জন্য হাসিনা যেভাবে দায়ী, ঠিক একইভাবে জিএম কাদেরও দায়ী। জিএম কাদেরের নামে মামলা হলেও, তাকে কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না? উপদেষ্টা পরিষদ বা সরকারের কে জাতীয় পার্টিকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে? অন্যথায় কেন জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ হচ্ছে না, মিছিল মিটিংয়ে বাধা দেয়া হচ্ছে না? জাতীয় পার্টির মিছিল মিটিংয়ে আওয়ামী লীগ যুক্ত হচ্ছে।

বরিশালে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের হামলার প্রেক্ষিতে মামলা হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের গ্রেপ্তারের আহ্বান জানিয়ে রাশেদ খাঁন বলেন, অন্যথায় ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের আমরা থামাতে পারবো না। এর দায়দায়িত্ব কিন্তু আপনাদের নিতে হবে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জিএম কাদেরকে গ্রেপ্তার করুন, অন্যথায় সারাদেশে আন্দোলন শুরু হবে।

এসময় গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ফারুক হাসান, দলের উচ্চতর পরিষদ সদস্য হাসান আল মামুন, আবু হানিফ, আব্দুজ জাহের, মাহফুজুর রহমান খান, রবিউল হাসান, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান, ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নেওয়াজ খান বাপ্পী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি এডভোকেট নাজিম উদ্দীনের সভাপতিত্ব ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল করিম শাকিল সঞ্চালনা করেন।

এরপর ঢাকার বিজয়নগর পানির টাঙ্কি, আলরাজি কমপ্লেক্সের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে পুরানা পল্টন মোড় ঘুরে জাতীয় পার্টির অফিসের সামনের সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।