খেলা
পিএসজি’র স্বপ্নপূরণের রাতে যত রেকর্ড
স্পোর্টস ডেস্ক
২ জুন ২০২৫, সোমবার
ম্যাচ শুরু হতেই নিয়ন্ত্রণ নিলো পিএসজি! সেটা ধরে রাখলো শেষ বাঁশি পর্যন্ত। ম্যাচের কোনো অংশেই লড়াই করতে পারলো না ইন্টার মিলান। তিনবারের ইউরোপ চ্যাম্পিয়নদের স্রেফ উড়িয়ে দিয়ে স্বপ্নের চ্যাম্পিয়নস লীগ জিতেছে লুইস এনরিকের শিষ্যরা। মিউনিখের আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় শনিবার রাতের ফাইনালে দুটি গোল ও একটি অ্যাসিস্টের অসামান্য কীর্তি গড়ে দলকে পথ দেখান দিজিরে দুয়ে। শেষ দিকে বদলি নামার দুই মিনিটের মধ্যে গোল করেন আরেক টিনএজার সেনি। সঙ্গে আশরাফ হাকিমি ও খাভিচা কাভারাৎস্খেলিয়ার লক্ষ্যভেদে ৫-০ গোলের জয়ে ক্লাবের ৫৪ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লীগ শিরোপার স্বাদ পায় ফ্রান্সের ক্লাবটি। চ্যাম্পিয়নস লীগের ফাইনালে এটা সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড। একেপেশে লড়াইয়ে হয়েছে আরও কয়েকটি রেকর্ড-
১১: পুরুষ ফুটবলে ১১তম ক্লাব হিসেবে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগসহ মৌসুমে ট্রেবল জয়ের কীর্তি গড়লো পিএসজি।
ট্রেবল জয়ের পথে চলতি মৌসুমে ক্লাবটি এর আগে জিতেছে লিগ আঁ ও ফরাসি কাপ। ফ্রান্সের প্রথম পুরুষ দল হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ ট্রেবল জয়ের অনন্য রেকর্ড গড়েছে পিএসজি। তবে লিওঁর নারী দল পূর্বে এই কীর্তি গড়েছে পাঁচবার!
২৯: ইউরোপীয় কোনো মেজর প্রতিযোগিতার শিরোপা জয়ে ফ্রান্সের ২৯ বছরের অপেক্ষা ঘোচাল পিএসজি। এর আগে দেশটির সবশেষ এই সাফল্যও পেয়েছিল পিএসজি, ১৯৯৬ সালে তারা জিতেছিল উয়েফা কাপ উইনার্স কাপ।
১৬৮: চ্যাম্পিয়নস লীগের ইতিহাসে পিএসজি খেলেছে ১৬৮টি ম্যাচ (ইউরোপিয়ান কাপসহ)। প্রথমবার চ্যাম্পিয়নস লীগ জেতার আগে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড এটি।
১: পিএসজির হয়ে ফাইনালে গোল করেছেন মাইয়ুলু (১৯) ও দেজিরে দুয়ে (১৯)। যা ইউরোপিয়ান কাপ ফাইনালে একাধিক টিনএজ খেলোয়াড়ের গোলের রেকর্ড।
২: লুইস এনরিকে ইউরোপিয়ান ক্লাবের হয়ে দুবার ট্রেবল জেতা দ্বিতীয় কোচ। এর আগে ২০১৪-১৫ মৌসুমে বার্সেলোনার কোচ হিসেবে তিনি এই কীর্তি গড়েন। আর এই অর্জনে তার সঙ্গে আছেন শুধু পেপ গার্দিওলা (বার্সেলোনা ২০০৮-০৯ এবং ম্যানচেস্টার সিটি ২০২২-২৩)।
৫-০: ফাইনালে ইন্টার মিলানকে পিএসজি হারিয়েছে ৫-০ ব্যবধানে। ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের ফাইনালের ইতিহাসে এর আগে কোনো দল ৫ গোলের ব্যবধানে জেতেনি।
৩: চ্যাম্পিয়নস লীগ ফাইনালে প্রথম তিন গোলে অবদান রাখা একমাত্র ফুটবলার এখন পিএসজির দেজিরে দুয়ের। আশরাফ হাকিমিকে দিয়ে প্রথম গোলটি করানোর পর নিজে দুই গোল করেন এই ফরোয়ার্ড।
৫: চ্যাম্পিয়নস লীগ ফাইনালে ৫ গোল হজম করা প্রথম দল ইন্টার মিলান। সর্বশেষ এমন কিছু দেখা গেছে ১৯৬২ সালে, তখন চ্যাম্পিয়নস লীগের নাম ছিল ইউরোপিয়ান কাপ। সেই ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদকে ৫-৩ গোলে হারিয়েছিল বেনফিকা।
৩৫ বছর: ইন্টার মিলান চ্যাম্পিয়নস লীগ ফাইনালের ইতিহাসে প্রথম দল, যারা তাদের শুরুর একাদশে ৩৫ বছর বা তার বেশি বয়সী তিনজন খেলোয়াড়কে একসঙ্গে মাঠে নামায়। সেই তিন ফুটবলার হলেন- ইয়ান সমার, ফ্রানচেস্কো অ্যাকারবি এবং হেনরিখ মিখিতারিয়ান।
১৯ বছর ৩৬২ দিন
দেজিরে দুয়ে চ্যাম্পিয়নস লীগ ফাইনালে অ্যাসিস্ট করা সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড়। ১৯ বছর ৩৬২ দিন বয়সে তিনি এই কীর্তি গড়েন। গত বছরের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে খেলা জুড বেলিংহামের রেকর্ড ভেঙেছেন (২০ বছর ৩৩৮ দিন) দুয়ে।
৯: আশরাফ হাকিমির চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লীগ গোলে অবদান ৯টি (৪ গোল, ৫ অ্যাসিস্ট), যা চ্যাম্পিয়নস লীগের এক আসরে কোনো ডিফেন্ডারের সর্বোচ্চ গোলে অবদানের যৌথ রেকর্ড। এর আগে ইয়ান হার্ট ২০০০-০১ মৌসুমে ৯টি গোলে অবদান রেখেছিলেন। হাকিমি ইউরোপিয়ান কাপ ফাইনালে নিজের সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে গোল করা প্রথম খেলোয়াড়।