খেলা
এখনো শেখার বাকি আছে হোয়াইটওয়াশ হয়ে বললেন লিটন
স্পোর্টস ডেস্ক
৩ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার
পাকিস্তান সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচেও হেরেছে বাংলাদেশ দল। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে প্রথম দুই ম্যাচে হেরে সিরিজ হাতছাড়া হয়েছে আগেই। একই ভেন্যুতে রোববার তৃতীয় ও শেষ ম্যাচেও ৭ উইকেটের হারে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে সফরকারীরা। সাদা বলের সীমিত ওভারের ক্রিকেটে স্বাগতিকদের বিপক্ষে দলীয় সর্বোচ্চ ১৯৬ রান করেও হারের গ্লানিতে ডুবেছে লিটন কুমার দাসের দল। ম্যাচ শেষে বোলিং বিভাগ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে টাইগার অধিনায়ক বলেন, এখনো শিখতে হবে।
এদিন টসে জিতে বাংলাদেশকে আগে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় পাকিস্তান। আগের দুই ম্যাচের চেয়ে ব্যাটিং বিভাগে অনেকটা উন্নতি দেখায় টাইগাররা। নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেটে পুঁজি দাঁড়ায় ১৯৬ রানের। তবে বোলিং বিভাগে বরাবরের মতোই হতাশ করেছে ফিল সিমন্সের দল। মোহাম্মদ হারিসের ৪৬ বলে ১০৭ রানের ইনিংসে ১৬ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় পাকিস্তান। এর আগে প্রথম ম্যাচে কিছুটা লড়াই করলেও পরের ম্যাচে অসহায় আত্মসমর্পণ করে বাংলাদেশ। সিরিজ শুরুর ম্যাচে ব্যাটিং, বোলিং আর ফিল্ডিং নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন লিটন। দ্বিতীয় ম্যাচে শরিফুল ইসলামের চোটের পাশাপাশি ব্যাটিং ব্যর্থতার কথা বলেন টাইগার অধিনায়ক। শেষ ম্যাচে দলের ব্যাটিং বিভাগ নিয়ে খুশি এই উইকেটকিপার-ব্যাটার। তবে আঙ্গুল তুললেন বোলিং বিভাগের দিকে। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই.. আমরা ভালো বোলিং করিনি। গত দুই ম্যাচে ব্যাটিং আর ফিল্ডিংও ভালো করিনি। সম্ভবত এই ম্যাচে এই উইকেটে খুব ভালো ব্যাটিং করেছি।’ লিটন যোগ করেন, ‘এটি খুব ভালো উইকেট। ভিন্ন ভিন্ন ব্যাটসম্যানকে কীভাবে বোলিং করতে হয়, তা আমাদের শিখতে হবে। একেক ব্যাটসম্যানের একেক রকম শক্তি ও দুর্বলতা থাকে। আমাদের এসব নিয়ে ভাবতে হবে এবং সে অনুযায়ী বল করতে হবে।’
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় রানের ভিতটা গড়ে দিয়ে যান পারভেজ হোসেন ইমন ও তানজিদ হাসান তামিম। দুই ওপেনারের জুটি থেকে আসে ৬৪ বলে ১১০ রান। স্বাগতিকদের মাঠে বাংলাদেশের এটিই প্রথম শতরানের জুটি। যদিও তানজিদ (৪২) আর পারভেজের (৬৬) পর ব্যক্তিগত ৩০ ছুঁতে পারেননি আর কেউ। দু’জনের ইনিংসের পর সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান এসেছে অধিনায়কের (১৮ বলে ২৫) ব্যাট থেকে। তবে লিটন বলছেন, দুই ওপেনারের পাশাপাশি অধিকাংশ ব্যাটার নিজেদের কাজটা করতে পেরেছেন। তিনি বলেন, ‘ইমন ও তামিম খুব ভালো শুরু করেছে। শুধু তামিম আর ইমন নয়, বেশির ভাগ ব্যাটসম্যানই দায়িত্ব নিয়ে নিজেদের কাজটা করেছে।’ পুরো সিরিজে একের পর এক হারেও গ্যালারি থেকে দুর্দান্ত সমর্থন পেয়েছে বাংলাদেশ দল। সমর্থকদের কাছে তাই দুঃখও প্রকাশ করেছেন এই ৩০ বছর বয়সী ক্রিকেটার। তিনি যোগ করেন, ‘অসাধারণ দর্শক ছিল, তারা সবাই সমর্থন দিচ্ছিলো। আর বাংলাদেশি সমর্থকদের কাছে আমি সত্যিই দুঃখিত। আমরা কোনো ম্যাচ জিততে পারিনি। আশা করি, আমরা ঘুরে দাঁড়াবো।’
পাঠকের মতামত
বাংলাদেশের উচিত ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর নেয়া। দেশের এতো বিপুল পরিমাণ অর্থ অপচয় করার কোনো কারণ নেই ক্রিকেট খেলার পেছনে, এই ধরনের বাজে পারফরমেন্স পাবার জন্যে।
Need salary reduce.
খেলা সম্পর্কে বলতে গিয়ে একটা কথা না বলে পারছি না: জ্ঞান অর্জনের কোনো বয়স নাই। দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত শিখার অভ্যাস চালু রাখতে হবে। লিটনের মতো সিনিয়র খেলোয়াড়রা আর কত বৎসর ও কত ম্যাচ খেললে উনারা বলতে পারবেন আমরা খেলাটা শিখেছি, যদি দয়া করে জানান তাহলে দেশের জনগন উপকৃত হতো। এইভাবে চলতে থাকলে কয়েক বৎসর পর খেলা দেখার লোক পাবেন বলে আমি মনে করি না।