প্রথম পাতা
নগদে অনিয়মের সত্যতা মিলেছে আতিক দম্পতিকে দুদকে তলব
স্টাফ রিপোর্টার
২ জুন ২০২৫, সোমবার
প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আতিক মোর্শেদের বিরুদ্ধে স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা জুঁইকে নগদের উচ্চ পদে নিয়োগে অনিয়মের সত্যতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে আতিক মোর্শেদ ও তার স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা জুঁইকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোমবার সেগুনবাগিচা কার্যালয়ে ডেকেছে দুদক। সংস্থার মহাপরিচালক আক্তার হোসেন রোববার এই তথ্য নিশ্চিত করেন। সমপ্রতি আতিক মোর্শেদের বিরুদ্ধে নগদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। অর্থ আত্মসাৎ ছাড়াও আতিকের বিরুদ্ধে স্ত্রীসহ কয়েকজন আত্মীয়কে নগদের উচ্চপদে নিয়োগের অভিযোগও উঠেছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হলে রোববার নগদে অভিযান পরিচালনা করে দুদক। এসময় কাগজপত্র বিশ্লেষণ করে জাকিয়া সুলতানা জুঁইকে নিয়োগের ব্যাপারে অনিয়মের সত্যতা পাওয়া যায় বলে জানান সংস্থাটির মহাপরিচালক। আতিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। শনিবার নিজের ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, আমার ব্যক্তিগত কর্মকর্তার (আতিক মোর্শেদ) বিরুদ্ধে কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট এবং স্বজনপ্রীতির অভিযোগ এসেছে। কাজটা ঠিক হয়নি, এটা আমি বিনাবাক্যে স্বীকার করছি।
সমপ্রতি আতিক মোর্শেদ তার স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা জুঁইকে নগদের ম্যানেজার কমপ্লায়েন্স পদে চাকরি দেন। গত এক সপ্তাহ ধরে নগদে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ডেপুটি সিইও মুয়ীজ নাসনিম ত্বকি (আগে ছিল চিফ স্ট্যাটেজি অফিসার)’র রুমে বসে বৈঠক করেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা আতিক মোর্শেদ ও ডাক বিভাগের ডিপিএমজি খন্দকার শাহনুর সাব্বির। নগদের নতুন সিইও নিয়োগ হওয়ার পর থেকে আতিক মোর্শেদ নগদে যাওয়া-আসা করেন। গত ২০শে মে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা কামাল আতাতুর্ক এভিনিউতে নগদের প্রধান কার্যালয়ের ছয় তলায় রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। এর আগে ১৮ই মে তারা কয়েক ঘণ্টা ধরে একইভাবে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। ওই দুই বৈঠকের বিষয় আতিক নিজেও স্বীকার করেছেন।
উচ্চ আদালতের নির্দেশে নগদের প্রশাসকদের কার্যক্রমে স্থগিতাদেশের পর বাংলাদেশ ব্যাংক নিযুক্ত প্রশাসক নগদ ছেড়ে যাওয়ার পর পর ডাক বিভাগ তড়িঘড়ি করে আট সদস্যের কমিটি গঠন করেন। যা বাংলাদেশ ব্যাংককে চাপে রাখতে করা হয় বলে জানা যায়। বলা হয়- ডাক বিভাগের কমিটির তত্ত্বাবধানে নগদ পরিচালিত হবে। ডাক বিভাগ থেকেই নগদের পুরো বিষয়টি নেতৃত্ব দেয়া হচ্ছে। এমনকি গত আগস্টে সাবেক সিইও তানভীর এ মিশুক পালিয়ে গেলেও তিনি চলতি বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত নগদ থেকে বেতন নিয়েছেন। মাসে প্রায় ১৫ লাখ টাকা করে বেতন নিয়েছেন তানভীর এ মিশুক।
পাঠকের মতামত
কোন তলব টলব নয়, সরাসরি আইনের আওতায় এনে গ্রেফতার করতে হবে অতি দ্রুত।