অনলাইন
সাবেক এমপি আনার হত্যা
জামিন পেলেন আওয়ামী লীগ নেতা মিন্টু
স্টাফ রিপোর্টার
(১ দিন আগে) ৪ জুন ২০২৫, বুধবার, ৬:৩৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০২ পূর্বাহ্ন
সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে অপহরণ ও হত্যা মামলায় ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুর অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাকে কেন স্থায়ী জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। তবে তার নামে আরও মামলা থাকায় এখনই বের হতে পারছেন না তিনি।
বুধবার আসামিপক্ষের আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার বলেন, আসামি সাইদুল করিম মিন্টুর নাম এফআইআরে ছিল না, একই সঙ্গে আসামি মিন্টু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক কোনো জবানবন্দি দেয়নি। এসব বিবেচনায় আদালত মিন্টুকে অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছেন। একই সঙ্গে তাকে কেন স্থায়ী জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। তবে তার নামে আরও মামলা থাকায় এখনই বের হতে পারছেন না।
এর আগে সোমবার বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মো. আলী রেজার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার বলেন, আসামি সাইদুল করিম মিন্টুর নাম এফআইআরে ছিল না, একই সঙ্গে আসামি মিন্টু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক কোনো জবানবন্দি দেয়নি। এসব বিবেচনায় আদালত মিন্টুকে অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছেন।
এর আগে খুনের উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগ এনে গত বছরের ১২ মে আনোয়ারুল আজিমের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন। ওই মামলার পর গত বছরের ১১ জুন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ধানমণ্ডি থেকে সাইদুল করিম মিন্টুকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে এই মামলায় শিমুল ভুইঁয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভুইঁয়া ওরফে আমানুল্যাহ সাঈদ, তানভীর ভুইঁয়া, সিলিস্তা রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২০২৪ সালের ১৮ মে কলকাতার বরাহনগর থানায় আনোয়ারুল আজীম নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেন তার বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। এরপরও খোঁজ মেলেনি তিনবারের এ সংসদ সদস্যের।
২২ মে হঠাৎ খবর ছড়ায়, কলকাতার পার্শ্ববর্তী নিউটাউন এলাকায় ‘সঞ্জীভা গার্ডেনস’ নামে একটি আবাসিক ভবনের বিইউ ৫৬ নম্বর রুমে আনোয়ারুল আজিম খুন হয়েছেন। ঘরের ভেতর পাওয়া যায় রক্তের ছাপ। তবে ঘরে মেলেনি আনারের মরদেহ। এ ঘটনায় একই বছরের ২২ মে ঢাকার শেরেবাংলানগর থানায় মামলা করেন আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।