অনলাইন
ব্যর্থ জাপানের মুন মিশন : চাঁদে নামার আগেই ভেঙে পড়ল ‘রেজিলিয়েন্স’
মানবজমিন ডিজিটাল
(১৩ ঘন্টা আগে) ৭ জুন ২০২৫, শনিবার, ১২:৩২ অপরাহ্ন

সফল হলো না জাপানের মুন মিশন। চাঁদের বুকে অবতরণের সময়ে ভেঙে পড়ল জাপানের বেসরকারি সংস্থা আইস্পেসের ‘রেজিলিয়েন্স’ নামক মহাকাশযানটি। এর নির্মাতারা আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযানটিকে ব্যর্থ বলে ঘোষণা করেছেন। শুক্রবার টোকিও ভিত্তিক কোম্পানি আইস্পেস এই চন্দ্র অভিযান ব্যর্থ হওয়ার খবর সামনে আনে। সংস্থার তরফে জানানো হয়, চন্দ্রযানটির ল্যান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। ফলে মিশনটিকে শেষ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর কোম্পানির অবতরণের চেষ্টার লাইভ স্ট্রিমিং হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। আইস্পেসের সিইও এবং প্রতিষ্ঠাতা তাকেশি হাকামাদা ব্যর্থ মিশনের পর এই মিশনে অবদানকারী সকলের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন। এই অভিযান সফল হলে চাঁদের উত্তরভাগে জাপানের চন্দ্রযানটি পৌঁছতে পারত।
প্রসঙ্গত, ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে এই চন্দ্রযানটি যাত্রা শুরু করেছিল এবং মে মাসে তা চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করেছিল। তা অবতরণ করানোর কথা ছিল চাঁদের উত্তরভাগে। কিন্তু তা আর সম্ভব হলো না। এর আগেও আইস্পেস নামক বেসরকারি সংস্থাটি চন্দ্র অভিযান করেছিল। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে উৎক্ষেপণ করা হাকুটো-আর মিশন ১ চন্দ্র কক্ষপথে পৌঁছেছিল কিন্তু একটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে চূড়ান্ত অবতরণের সময় এটি বিধ্বস্ত হয়।সেই মিশনের উত্তরসূরী, রেজিলিয়েন্স-কে, জানুয়ারিতে ফ্লোরিডা থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। ল্য়ান্ডারটির উচ্চতা ছিল ২.৩ মিটার। সব কিছু মোটামুটি ঠিক থাকলে ১৪ দিন ধরে চাঁদের উত্তর মেরুতে গবেষণা চালাত রেসিলিয়েন্স। যেহেতু ১৪ দিন পর চাঁদের রাত নামবে, তার আগেই গবেষণা সফল করার কথা ছিল। যার মধ্যে ছিল চাঁদের মাটি থেকে নমুনা সংগ্রহ করা, ছবি তোলা। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সঙ্গে এই নিয়েই চুক্তি হয় আইস্পেস-এর।
সুইডিশ শিল্পী মিকেল জেনবার্গের তৈরি একটি খেলনা-আকারের লাল ঘরও ল্যান্ডারটির সাথে সম্পৃক্ত করা হয়। নামকরণ করা হয়েছিল মুনহাউস। ২০৪০-এর গোড়ার দিকে হাকামাদার চাঁদে মানুষের বসবাসের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন। কিন্তু আইস্পেসের দ্বিতীয় ব্যর্থ অবতরণ জাপানি উদ্যোক্তার দৃষ্টিভঙ্গিকে সন্দেহের মুখে ফেলেছে। মহাকাশ সংস্থার পরবর্তী, অনেক বড় ল্যান্ডারটি নাসার সাথে মিলিত হয়ে ২০২৭ সালের মধ্যে উৎক্ষেপণের কথা রয়েছে।শুক্রবারের ব্যর্থ অভিযানের আগে, জাপানি প্রতিষ্ঠানটির প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা জুম্পেই নোজাকি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে ফলাফল যাই হোক না কেন, তারা তাদের চন্দ্র অভিযান চালিয়ে যাবেন ।
সূত্র : আলজাজিরা