ভারত
উপকূল ও স্থল সীমান্তে সার্বক্ষণিক নজরদারির জন্য ৫২টি সামরিক উপগ্রহ পাঠাচ্ছে ভারত
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা
(৬ ঘন্টা আগে) ১ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ১০:৩৫ পূর্বাহ্ন

অপারেশন সিঁদুরের সময় ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনী আরও নির্ভুল নজরদারির প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেছে। এরপর ভারত সরকার ৫২টি উচ্চ নজরদারি উপগ্রহ দ্রুত উৎক্ষেপণের নির্দেশ দিয়েছে। এর ফলে উপকূলরেখা এবং স্থল সীমান্তের উপর নির্ভুল সার্বক্ষণিক নজরদারির ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
প্রতিরক্ষা মহাকাশ সংস্থা
নতুন উৎক্ষেপিত উপগ্রহ ব্যবস্থার পরিচালনা তত্ত্বাবধান করবে।
গত বছরের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভা কমিটি আগামী দশকে পরবর্তী প্রজন্মের উপগ্রহ তৈরির জন্য জন্য ৩ .২ বিলিয়ন ডলার মঞ্জুর করেছে। এই প্রকল্পের অধীনে ইসরো প্রথম ২১টি উপগ্রহ তৈরি এবং উৎক্ষেপণ করবে। বাকি ৩১টি বেসরকারি সংস্থাগুলি তৈরি করবে।
সরকারি এক কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, বেসরকারি কোম্পানি এবং ইসরোকে দ্রুত উপগ্রহ উৎক্ষেপণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এই নতুন উপগ্রহগুলো পরবর্তী প্রজন্মের রাডার ইমেজিং ক্ষমতা যুক্ত হবে, যা সব ধরনের আবহাওয়া এবং দিন-রাত নজরদারিতে সহায়তা করবে। এই কর্মকর্তা বলেন, আশা করছি ২০২৬ সালের মধ্যে প্রথম সেট উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, নতুন উপগ্রহগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে আরও স্মার্ট সিদ্ধান্ত নেবে। এর ফলে মহাকাশে সামগ্রিক কর্মক্ষমতা এবং দক্ষতা উন্নত হবে।
জানা গেছে, অপারেশন সিঁদুরের সময় উপগ্রহ-ভিত্তিক নজরদারি ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীকে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্রের গতিপথ এবং গতিবিধিসহ সঠিক গোয়েন্দা তথ্য প্রদান করে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে সহায়তা করেছিল।
এসবিএস৩-এর সফল বাস্তবায়নের পর ভারত আরও স্বাবলম্বী হয়ে উঠবে এবং অন্যান্য দেশের উপর নির্ভরতা কমাবে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে,পাকিস্তান ও চীন সীমান্ত এবং ভারত মহাসাগর অঞ্চলের উপর আরও স্পষ্ট এবং নির্ভুলভাবে নজরদারি করা সম্ভব হবে।
অপারেশন সিঁদূরের সময় কার্টোস্যাট এবং রিসাত-এর মতো ভারতের স্যাটেলাইটগুলো প্রতিরক্ষা বাহিনীকে শত্রুদের একত্রিতকরণ ট্র্যাক করতে, আক্রমণের প্রভাব নিশ্চিত করতে এবং রিয়েল-টাইম পরিস্থিতি অনুযায়ী সচেতনতা বজায় রাখতে সফলভাবে সহায়তা করেছিল। ফলে দেশের সামরিক সম্পদের বড় ক্ষতি রোধ করা সম্ভব হয়েছিল।
পাঠকের মতামত
ভারতের কার্যক্রম শান্তির জন্য হুমকি ।