ঢাকা, ৭ অক্টোবর ২০২৪, সোমবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩ রবিউস সানি ১৪৪৬ হিঃ

রকমারি

স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করে দুশোরও বেশি টুকরো করলেন স্বামী, সার্চ করলেন ‘মরার পর ভূত আসে কি?’

মানবজমিন ডিজিটাল

(৫ মাস আগে) ৭ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার, ৩:৩৪ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১২:৩০ পূর্বাহ্ন

mzamin

একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড যা যুক্তরাজ্যর মানুষকে হতবাক করে দিয়েছে। একজন ২৮ বছর বয়সী ব্যক্তি তার স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে, তার দেহ ২০০ টিরও বেশি টুকরো করে এক সপ্তাহ ধরে রান্নাঘরে রেখে দিয়েছিলেন। তারপর এক বন্ধুর সাহায্য নিয়ে দেহের টুকরোগুলি তিনি ফেলে দেন নদীতে। পরে সেখান থেকে তা উদ্ধার করে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত ২২৪টি টুকরো উদ্ধার করা গেছে। আরও কিছু টুকরোর সন্ধান মেলেনি। নিকোলাস মেটসন (২৮) প্রথমে সব অভিযোগ অস্বীকার করলেও কয়েক সপ্তাহ পর মার্চ মাসে তার স্ত্রী হলি ব্রামলিকে খুন করার কথা স্বীকার করেন। মেটসন সম্ভবত তার স্ত্রীকে বেডরুমে বেশ কয়েকবার ছুরিকাঘাত করেছিলেন এবং বাথরুমে দেহ কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলেছিলেন। তারপরে সেই  টুকরোগুলো প্লাস্টিকের ব্যাগে রান্নাঘরের ফ্রিজে রেখে দেন। প্রায় এক সপ্তাহ পর পুলিশ তার দরজায় আসার আগে বন্ধুকে ৫০ পাউন্ড দিয়ে স্ত্রীর দেহের টুকরো নদীর পানিতে ফেলে দিয়ে আসতে বলেন মেটসন। একদিন পরে, প্লাস্টিকের ব্যাগগুলি ভিথাম নদীতে ভাসতে দেখেন এক পথচারী । একটি ব্যাগে মানুষের হাত ছিল এবং আরেকটিতে মানুষের মাথা ।  ডুবুরিরা শরীরের ২২৪ টি অংশ খুঁজে পান যার মধ্যে কিছু এখনও নিখোঁজ রয়েছে। মৃতদেহটি এমনভাবে কাটা হয়েছিল যে মৃত্যুর কারণ খুঁজে পাওয়া অসম্ভব ছিল, আদালতে জানিয়েছে পুলিশ। ব্রামলির মা আদালতে বলেছেন যে, তার মেয়ের বিয়ে হয়েছে মাত্র ১৬ মাস হয়েছে এবং মেটসনের মতো  ‘দুষ্ট দানব’ তাকে দীর্ঘদিন  ধরে তার পরিবারের সাথে দেখা করতে দেয়নি। তাদের দুজনের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদের কথাও চলছিল বলে জানান ব্রামলির মা। মেটসনের বাড়ি থেকে রক্তমাখা কাপড়, বিছানার চাদর উদ্ধার করা হয়েছে। দেহ পচার গন্ধ ঢাকতে ঘরে অ্যামোনিয়ার কড়া গন্ধ ছড়িয়ে দিয়েছিলেন অভিযুক্ত। খুনের পর মোবাইলে তিনি দু’টি বিষয় সার্চ করেছিলেন। স্ত্রী মারা গেলে স্বামী কী কী সুবিধা পেতে পারেন, তা জানার জন্য গুগলের সাহায্য নিয়েছিলেন তিনি। কেউ মারা গেলে ভূত হয়ে ভয় দেখাতে আসতে পারে কি না, তা-ও সার্চ করেন।মৃতের পরিবারের অভিযোগ, এর আগে তরুণীর পোষ্য কুকুর এবং হ্যামস্টারগুলিকেও নৃশংস ভাবে খুন করেছেন ওই যুবক। ২৪ মার্চ, লিঙ্কনশায়ার পুলিশ  নিখোঁজ ব্রামলির সন্ধান পেতে দম্পতির বাড়িতে পৌঁছে যায় । পুলিশ দেখে মেটসন  দাবি করেন যে তিনি তার স্ত্রীর গার্হস্থ্য নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এবং পুলিশ সদস্যদের তার বাহুতে একটি কামড়ের চিহ্ন দেখান । পরে জানা যায় ,স্বামীর নির্যাতনের হাত থেকে নিজেকে মুক্ত করার চেষ্টা করতে গিয়েছিলেন ব্রামলি। হত্যাকারী মেটসন তার স্ত্রীকে কীভাবে এবং কেন হত্যা করেছেন তা প্রকাশ করেননি। তার আইনজীবী অবশ্য দাবি করেছেন যে তার মক্কেল  অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডারের শিকার।

সূত্র : এনডিটিভি

রকমারি থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

রকমারি সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status