নির্বাচিত কলাম
খোলা চোখে
‘যা কিছু হারায় গিন্নি বলেন, কেষ্টা বেটাই চোর’
রুমিন ফারহানা
১৮ মে ২০২৪, শনিবারমাত্র দু’বছরের মাথায় বিপুল প্রতিভা ব্যয় করে ৪৮ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ নামিয়ে আনলাম ১২ বিলিয়ন ডলারের ঘরে, বিশ্বে প্রথম আমরাই দেখালাম কেন্দ্রীয় ব্যাংকেও ডাকাতি চলে, কুমড়া থেকে কচু, পাঙ্গাস থেকে ইলিশ, শাক থেকে শুঁটকি- সবই নিলাম মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে, নিষ্ঠার সঙ্গে বাজার দিলাম সিন্ডিকেটের হাতে, বিদ্যুৎ আর গ্যাসের দাম বাড়ালাম দফায় দফায় কিন্তু সরবরাহের বেলায় লবডঙ্কা আর এখন যদি বলি দায় বিদেশিদের তাহলে শুনতে জানি কেমন শোনায় না? অবশ্য কেমন শোনালেই বা কী? দেশের মানুষ কী ভাবলো না ভাবলো সেসব নিয়ে দেশের মাথাদের ভাবলে চলে না। দেশের মানুষের কিছু করার মুরোদ তো আর নাই। এমন কি পাঁচ বছর মেয়াদান্তে যথাযথ প্রক্রিয়ায় শোধ যে তুলবে মানুষ, তাও এখন অসম্ভব। মানুষের চেয়ে সস্তা এদেশে আর কিই-বা আছে বলুন? এদের ৫০০ টাকা কেজি’র চাল খাওয়ান, খাবে। দরকার পড়ে পেটে পাথর বেঁধে চলবে তবু ফেসবুক ছাড়া প্রতিবাদ করবে না। অতএব, এত চিন্তা কিসের? কলুর বলদের কষ্ট নিয়ে মাথা ঘামালে তেলের জোগান আসবে কোথা থেকে? সুতরাং যা চলছে চলুক
‘যা কিছু হারায় গিন্নি বলেন কেষ্টা বেটাই চোর’। সংসারে একজন কেষ্টা বড় জরুরি। দায় চাপাতে, দোষ ঢাকতে তার জুড়ি মেলা ভার। কোনো সংসারে একজন ‘কেষ্টা’ নিঃসন্দেহে বাড়ির গিন্নির চিন্তা অনেকটাই লাঘব করেন। মনের ভুলে, নিজের দোষে, স্বজনের কাণ্ডে সংসারে যাই ঘটুক কেষ্টা থাকলে গিন্নির মাথা ঠাণ্ডা, সংসার সচল। এলোমেলো সংসারে কেষ্টা যেমন অগতির গতি, এলোমেলো দেশেও তেমনি একজন কেষ্টা অনেক সমস্যার সমাধান। এদিক থেকে আমাদের সরকারকে বাহবা না দিয়ে উপায় নেই। দেশে-বিদেশে তাদের কেষ্টার ছড়াছড়ি। পান থেকে চুন খসুক কিংবা রেল থেকে গাড়ি সরকারের অজুহাত মজুত। কয়েক বছর আগে থেকেই নিত্যদিনের জিনিসপাতির দাম, ভয়াবহ লোডশেডিং, বিনিয়োগে মন্দা, রপ্তানির বাজারে অন্ধকার, রেমিট্যান্স যা চাই তা নাই ইত্যাদি নানাবিধ গোলমালে মানুষ যখন দিশাহারা তখন আশার আলো জ্বেলে সমস্যার কারণ হিসেবে সামনে এলো তিন কেষ্টা। তারা আবার সবাই বিদেশি। সুতরাং তাদের ধরে এনে দেশের মাটিতে ইচ্ছামতো কষে যে শাসন করবো সেই উপায়ও নেই। সরকারকে উদ্ধারকারী তিন কেষ্টার এক হলো করোনা, দুই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আর তিন বিশ্বমন্দা। সরকারের পোয়া বারো। এই তিন কেষ্টার ঘাড়ে দায় চাপিয়ে সরকার নিশ্চিন্ত আর আমরা নিশ্চিন্ত হই কিংবা নাই হই কেষ্টা নিয়ে কষ্ট করে প্রশ্ন করবো এমন মাথা কয়জনের ঘাড়ে আছে? সুতরাং সব চুপচাপ, সব ঠাণ্ডা।
করোনা গেল, ভাবলাম, যাক বাবা বাঁচা গেল। অন্ততপক্ষে একজন কেষ্টা তো কমলো। কিন্তু না। নতুন কেষ্টা নিয়ে হাজির হলেন সরকারের জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী; যদিও এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। জনাব ইলাহী বললেন, বাংলাদেশের সামনে যেসব চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে, তার কোনোটাই নিজেদের সৃষ্ট নয়। সবই নাকি বিদেশ থেকে এসেছে। খোলামেলা বললেন, মূল্যস্ফীতি, ডলারের দাম বেড়ে যাওয়া, গরিবের কষ্টের কারণ; সবই পশ্চিমারা সৃষ্টি করেছে। বিশ্বব্যাপী যুদ্ধবিগ্রহ বাঁধিয়ে পশ্চিমারা নাকি এই সমস্যাগুলো তৈরি করেছে। মজা মন্দ নয়! টাকা পাচার করলাম আমরা, ব্যাংক থেকে শত কোটি টাকা ঋণ নিয়ে হাপিশ করলাম আমরা, টাকা যাতে নিশ্চিন্তে, নিরাপদে হাপিশ করা যায় দফায় দফায় আইন পাল্টে সেই সুযোগও দিলাম আমরা, এক ব্যক্তির হাতে একটা নয় দুইটা নয়, সাত সাতটা ব্যাংক (এখন একটা বেড়ে আটটা) তুলে দিলাম আমরা, হাজার টাকা খেলাপিকে কোমরে দড়ি পরিয়ে আইনের শাসনের উজ্জ্বল নজির গড়ে হাজার কোটি টাকা খেলাপিকে জামাই আদরে সর্বোচ্চ মহলের পাশে বসালাম আমরা, আমাদের একেবারে খাঁটি দেশি হাইকোর্ট রুল দিলো তদন্ত করা যাবে না, ঋণের সুদহার ৯/৬ করে নজিরবিহীন সুবিধা দিলাম একটা গোষ্ঠীকে, আন্ডার আর ওভার ইনভয়েসিং’র চক্করে পড়ে বছরে গড়ে ৭২ হাজার কোটি টাকা বিদেশে ওড়ালাম আমরা, বিশ্বের সর্বোচ্চ দামে ফ্লাইওভার, মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু, চার লেন তৈরি করে বিদেশিদের চোখ চড়কগাছ করলাম আমরা, বিশ্বে নজিরবিহীনভাবে বিনা টেন্ডারে ইনডেমনিটি আইন করে একটার পর একটা রেন্টাল, কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বানালাম আমরা, ক্যাপাসিটি চার্জের নামে লক্ষ কোটি টাকা তুলে দিলাম প্রিয় পাত্রদের হাতে, মাত্র দু’বছরের মাথায় বিপুল প্রতিভা ব্যয় করে ৪৮ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ নামিয়ে আনলাম ১২ বিলিয়ন ডলারের ঘরে, বিশ্বে প্রথম আমরাই দেখালাম কেন্দ্রীয় ব্যাংকেও ডাকাতি চলে, কুমড়া থেকে কচু, পাঙ্গাস থেকে ইলিশ, শাক থেকে শুঁটকি - সবই নিলাম মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে, নিষ্ঠার সঙ্গে বাজার দিলাম সিন্ডিকেটের হাতে, বিদ্যুৎ আর গ্যাসের দাম বাড়ালাম দফায় দফায় কিন্তু সরবরাহের বেলায় লবডঙ্কা আর এখন যদি বলি দায় বিদেশিদের তাহলে শুনতে জানি কেমন শোনায় না? অবশ্য কেমন শোনালেই বা কী? দেশের মানুষ কী ভাবলো না ভাবলো সেসব নিয়ে দেশের মাথাদের ভাবলে চলে না। দেশের মানুষের কিছু করার মুরোদ তো আর নাই। এমন কি পাঁচ বছর মেয়াদান্তে যথাযথ প্রক্রিয়ায় শোধ যে তুলবে মানুষ, তাও এখন অসম্ভব। মানুষের চেয়ে সস্তা এদেশে আর কিই-বা আছে বলুন? এদের ৫০০ টাকা কেজি’র চাল খাওয়ান, খাবে। দরকার পড়ে পেটে পাথর বেঁধে চলবে তবু ফেসবুক ছাড়া প্রতিবাদ করবে না। অতএব, এত চিন্তা কিসের? কলুর বলদের কষ্ট নিয়ে মাথা ঘামালে তেলের জোগান আসবে কোথা থেকে? সুতরাং যা চলছে চলুক।
দেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে পারুক চাই না পারুক তাদের কৃতজ্ঞতাবোধ দারুণ। ‘নুন খাই যার গুণ গাই তার’ এই নীতিতে চলে তারা। গণমাধ্যমের মালিক, সম্পাদক/প্রযোজক, এমনকি রিপোর্টার পর্যন্ত এই নীতি মেনে চাপে-তাপে, নরমে-গরমে তাও নিয়ন্ত্রণে থাকে কিন্তু গোল বাঁধায় বিদেশি মিডিয়া। তারা নুনও খায়নি, তাদের কোনো দায়ও পড়েনি। তাই বেমক্কা এক একটা খবর ছেপে বসে। এই যেমন ‘কথা নেই বার্তা নেই বাবু একখানা হাফ টিকিট’ কায়দায় ভারতের নর্থইস্ট নিউজ ছেপে বসলো বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নাকি কয়েক বিলিয়ন ডলার হ্যাক করে নিয়ে গেছে ভারতীয় হ্যাকাররা। বিষয়টি নিয়ে দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করছে। নর্থইস্ট নিউজের তথ্য মতে, মূলত রিজার্ভ চুরির খবর গোপন করতেই বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। কথা নেই বার্তা নেই বলছি এ কারণে যে, এই খবর ডালপালা মেলার আগেই বাংলাদেশ ব্যাংক তড়িঘড়ি এই খবরকে অস্বীকার করে বসলো। যদিও নর্থইস্ট নিউজ দাবি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের তিনজন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তাদের।
তবে রিজার্ভ চুরি হোক আর না হোক এটা সত্য যে হঠাৎ করেই বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তার মতে, এতদিন সেখানে তথ্যের নৈরাজ্য চলছিল, এখন অপঘাত ঘটছে। সাংবাদিকদের প্রবেশ করতে না দেয়ার অর্থ ওখানে এমন কিছু ঘটছে তা যদি জনসম্মুখে আসে তাহলে বড় ধরনের নাশকতা হয়ে যাবে। কী ভয়ঙ্কর অভিযোগ! কী এমন ঘটনা যা জনসম্মুখে আসলে নাশকতা হয়ে যাবে? কে করবে নাশকতা? কোনো ব্যক্তি নাকি রাষ্ট্রীয় বাহিনী? বড় কোনো বিষয়ই যদি না হবে তবে হঠাৎ করে সাংবাদিক প্রবেশে এই নিষেধাজ্ঞা কেন? কেন হঠাৎ এই নিষেধাজ্ঞা তা কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকও প্রকাশ করেনি। এমন কী ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যও কিন্তু এর বেশি খোলাসা করে কিছু বলেননি। অবশ্য রিজার্ভ চুরি বাংলাদেশে নতুন কোনো ঘটনা নয়।
২০১৬ সালেও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে রিজার্ভ চুরির ঘটনা ঘটেছিল। সুইফট ব্যবস্থা কাজে লাগিয়ে ভুয়া বার্তার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের নিউ ইয়র্ক শাখায় রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করে হ্যাকাররা। চুরি হওয়া অর্থের মধ্যে ২ কোটি ডলার যায় শ্রীলঙ্কায় যা পড়ে ফেরত আনে বাংলাদেশ সরকার। মজার বিষয় হলো সেই সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর রাখাল রাজা জনাব আতিউর রহমানের নেতৃত্বে ব্যাংক সেই খবর সফলভাবে গোপন রাখে ২৪ দিন। বাংলাদেশের মানুষ হয়তো কোনোদিন জানতেই পারতো না কিন্তু আফসোস! গোপন কথা রয়না কভু গোপনে। ফিলিপাইনের বে-রসিক পত্রিকা দ্য এনকোয়রে প্রথম ছাপা হলো সেই খবর। এরপর তো তোলপাড়।
তবে ওই যে কথায় বলে না ‘যত গর্জে তত বর্ষে না’, আমাদের হয়েছে সেই দশা। আর তাছাড়া অল্প টাকার কেলেঙ্কারি নিয়ে আমরা যতটা সোচ্চার, বাহিনীগুলো যতটা সক্রিয়, বেশি অঙ্কের টাকার ক্ষেত্রে ঠিক ততটাই নীরব। বাংলাদেশের এই চমকপ্রদ ঘটনা নিয়ে যেখানে হলিউডে মুভি বেরিয়ে গেল সেখানে আমরা এখনো ধরতেই পারলাম না কার ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত গাফিলতিতে এত বড় ঘটনা। শুনতে পাই ৭৪ বারের মতো নাকি পেছানো হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময়। আমরা বেঁচে থাকতে আর এই সরকার টিকে থাকতে তদন্ত প্রতিবেদন কোনোদিন বেরুবে বলে মনে হয় না। এর মধ্যে আবার খবর বেরিয়েছে। ২০১৬ সালে রিজার্ভ চুরির তথ্য মুছে ফেলার জন্য অভিযুক্ত অফিসার নাকি প্রমোশন পেয়ে হয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র। তিনিই নাকি সাংবাদিকদের ম্যাসেজ পাঠিয়ে জানিয়েছেন যে, নতুন করে রিজার্ভ চুরির খবর ভুয়া। কথায় বলে ‘শুঁড়ির সাক্ষী মাতাল’। আমাদের এখন সেই দশা। এখানেই শেষ না। জনাব জোহা বলে এক ভদ্রলোক আগের রিজার্ভ চুরির বিষয় নিয়ে তদন্ত করার পর গুম পর্যন্ত করা হয় তাকে। এই না হলে বাংলাদেশ! সত্যিই সেলুকাস, বড় বিচিত্র এই দেশ!
যখন নতুন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চুরি নিয়ে তোলপাড় ঠিক তখনই বাংলাদেশ ব্যাংক ভিজিট করলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস্। সরকার বিরোধী দলকে যত অপছন্দ করে পিটার হাস্কে তার চেয়ে কম অপছন্দ করে বলে মনে হয় না। আর তাই ঠিক এসময়ই তার এই কেন্দ্রীয় ব্যাংকে যাওয়া স্বাভাবিক ভাবেই নতুন প্রশ্নের জন্ম দেয়। কেন গেলেন তিনি? কি আলাপ হলো সেখানে? থলের বেড়াল উঁকি মারলো কি? এইসব প্রশ্ন মাথায় ঘুরলেও জিজ্ঞেস করবো কাকে?
কেউ যদি এখন প্রশ্ন করেন বাংলাদেশে রিজার্ভ এখন কতো তাহলে উত্তর কী হবে? উত্তর হবে কয়েকটি এবং উত্তরটি নির্ভর করবে প্রশ্ন কাকে করা হয়েছে তার ওপর। ধরেন যদি আপনি প্রশ্ন করেন সরকারি দলের কাউকে তাহলে উত্তর হবে ২৩ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার। এটা হলো গ্রস হিসাব। আবার যদি প্রশ্ন করেন সরকারের নীরব সমর্থক লাজুক কোনো সুশীলকে তাহলে উত্তর পাবেন বিপিএম ৬ অনুযায়ী রিজার্ভ এখন ১৮ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার। তবে যদি দায়হীন বা প্রকৃত রিজার্ভ জানতে চান তাহলে সেটি হবে ১৩ বিলিয়ন ডলারের কম অর্থাৎ ১২ বিলিয়নের কিছু বেশি।
যে দেশে এক প্রশ্নের বিভিন্ন উত্তর হয় আর সেটি নির্ভর করে প্রশ্নটি কাকে করা হয়েছে তার ওপর সেই দেশে ন্যায্য প্রশ্নের ন্যায্য উত্তর আশা করাই বোকামি। যাই হোক, আলাপ করছিলাম কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দ্বিতীয় দফা রিজার্ভ চুরি নিয়ে। চুরি যদি হয়েই থাকে টেনশনের কিছু নাই। এই সরকারের সবচেয়ে বড় কেষ্টা নিজের ঘরেই মজুত আছে। ওই যে রানাপ্লাজা যাদের ঝাঁকুনিতে পড়ে যায়, যাদের একমাত্র কাজই হলো ষড়যন্ত্র করা, দেশের যেকোনো সমস্যার সূচনা যাদের হাত ধরে শুরু হয় সেই বিরোধী শিবিরই তো আছে দোষ চাপানোর জন্য। দোষ করা দোষের কিছু না যদি দায় চাপানোর লোক থাকে। আমাদের সরকার এদিক থেকে অনেকখানি এগিয়ে আছে, স্বীকার না করে উপায় নাই।
অনবদ্য লেখা, জানি না শ্রীলঙ্কা হতে কতো দিন লাগবে?