নির্বাচিত কলাম
সা ম্প্র তি ক প্রসঙ্গ
এক যুগ আগে ড. ইউনূসকে যা বলেছিলাম
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, বীরউত্তম
৬ নভেম্বর ২০২৪, বুধবারআলাপ-আলোচনার মাঝে বলেছিলাম, শুধু গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে না ভেবে আপনি যদি বাংলাদেশ নিয়ে ভাবতে পারেন, ৮৪ লাখের জায়গায় ১৬ কোটি নিয়ে ভাবতে পারেন তাহলেই আমাদেরকে পেতে পারেন এবং দেশবাসীকে পাবেন। আমার কথায় তিনি পুলকিত হয়েছিলেন। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন আগামী দিনে তিনি তেমনটাই করবেন
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-যুবকদের সঙ্গে আপামর জনসাধারণ ঝাঁপিয়ে পড়ায় শেখ হাসিনার পতন হয়। দেশের মানুষ আশায় বুক বাঁধে অনেক কিছুর পরিবর্তন হবে। বিশেষ করে ঘুষ-দুর্নীতি, জোর-জবরদস্তি থেকে মানুষ মুক্তি পাবে। খুব একটা তেমন হয়নি। মন্দের ভালো যা হওয়ার মোটামুটি তা হয়েছে। গত ১৫-১৬ বছর কোনোখানে কোনো যোগ্য মানুষের স্থান ছিল না, তা এখন পদে পদে দেখা যাচ্ছে। অতি সম্প্রতি মহামান্য রাষ্ট্রপতি যা বলেছেন, যেভাবে বলেছেন তাতে তার যোগ্যতার কোনো প্রমাণ হয় না। তিনি তার বেতার ভাষণে বললেন, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন এবং আমি তা গ্রহণ করেছি। এরপর মরে গেলেও রাষ্ট্রপতি এ নিয়ে যা বলছেন তার কানাকড়িও বলার কথা না। যোগ্যতা না থাকলে যা হয় তাই হয়েছে। আর কুকর্মের সঙ্গে সারাজীবন জড়িত থাকলে সে কখনো সুস্থির হতে পারে না। তাকে কম বেশি সব সময় অস্থির থাকতে হয়। সেটাই মহামান্য রাষ্ট্রপতির ক্ষেত্রে পদে পদে লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
বর্তমান প্রধান উপদেষ্টাকে আমি ভালো জানি, সম্মান করি, বিশ্বাস করি। ২০১২’র দিকে যখন তার গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি’র পদ নিয়ে ঝড় বইছিল তখন একদিন ড. কামাল হোসেন কথায় কথায় বলেছিলেন, সিদ্দিকী সাহেব, আপনি একটু ড. ইউনূসের কাছে যান। আপনি গেলে সে সাহস পাবে, জোর পাবে। তার কথায় আমি গিয়েছিলাম। তার আগে প্রধানমন্ত্রী বারবার অধ্যাপক ইউনূসকে সুদখোর বলায় আমার মধ্যেও নানা রকম প্রতিক্রিয়া হচ্ছিল। আমি যাবার পথে গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে, গ্রামীণ ব্যাংকের ৮৪ লাখ গ্রাহককে নিয়ে তার ভাবনা নামে একটি পুস্তিকা ড. কামাল হোসেন আমার হাতে দিয়েছিলেন। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে তার ভাবনা পুস্তিকাটি নিয়ে গিয়েছিলাম। শুধু গ্রামীণ ব্যাংকের স্থলে বাংলাদেশ আর ৮৪ লাখের জায়গায় একটা পেন্সিলে ১৬ কোটি লিখে নিয়েছিলাম। অনেক আলাপ-আলোচনার মাঝে বলেছিলাম, শুধু গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে না ভেবে আপনি যদি বাংলাদেশ নিয়ে ভাবতে পারেন, ৮৪ লাখের জায়গায় ১৬ কোটি নিয়ে ভাবতে পারেন তাহলেই আমাদেরকে পেতে পারেন এবং দেশবাসীকে পাবেন। আমার কথায় তিনি পুলকিত হয়েছিলেন। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন আগামী দিনে তিনি তেমনটাই করবেন। আজ যখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান তখন কথাগুলো ভাবি। বয়স একেবারে কম হয়নি। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে কী হয়, কীভাবে হয়, কেন হয় এসবের কিছুই যে বুঝি না তাও নয়। অধ্যাপক ড. ইউনূসের এই সময় রাষ্ট্র চালানো বেশ কঠিন। কিন্তু মোটেই অসম্ভব নয়। তার দৃঢ়তা অনেক সমস্যার সহজ সমাধান হতে পারে। তাকে আওয়ামী কিছু লোক একেবারেই পছন্দ করে না এটা যেমন সত্য তেমনি অসংখ্য মানুষের আস্থা তার প্রতি আছে- এটাও এক চরম সত্য। এখন প্রশ্ন হচ্ছে দক্ষতা ও যোগ্যতার। আমার ভুল হতে পারে। কিন্তু আমি এখনো বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তাকেই প্রধান দক্ষ, যোগ্য ও অভিজ্ঞ মানুষ হিসেবে মনে করি। কে তাকে অনুরোধ করলো, কে অনুনয় বিনয় করে প্রধান উপদেষ্টা বানালো এটা বড় কথা নয়। এটা বড় কথা, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সমর্থন, আস্থা, বিশ্বাস ও ভালোবাসা তার প্রতি রয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সংগঠকরা এক অসাধ্য সাধন করেছে। বাংলাদেশ সত্যিই অসাধ্য সাধনের দেশ, দুঃসাধ্য বাস্তবায়নের দেশ। সেক্ষেত্রে ছাত্র-যুবক, অসন্তুষ্ট জনসাধারণের অংশগ্রহণে বিগত সরকারের পতন ঘটেছে। বিপ্লবে নেতৃত্বদানকারী ছাত্রদের, যুবকদের সারা দেশব্যাপী কখনো কোনো দৃঢ় সংগঠন ছিল না, এখনো হয়তো নেই। কিন্তু তারা যদি অহংকারী না হয়, তারা যদি বাস্তব বুঝতে চেষ্টা করে এবং তারাই দেশের মালিক-মোক্তার না ভাবে তাহলে তাদের সফলতা কেউ ঠেকাতে পারবে না। এটা খুবই সত্যি- দেশে বড় বড় দল বহু আছে। দলগুলোর সাংগঠনিক কাঠামো আছে। কিন্তু সব থেকে বড় কথা কোনো দলের প্রতি সাধারণ মানুষের গভীর শ্রদ্ধা ও নিবিড় আস্থা ও বিশ্বাস ছিল না, এখনো অনেকেই তা অর্জন করতে পারেনি। যতক্ষণ জাতীয় দলগুলো মানুষের আস্থা অর্জন করতে না পারবে ততক্ষণ নিশ্চয়ই দলীয় কাঠামো একটা শক্তি তাদের থাকবেই, কিন্তু কোনো লক্ষ্যেই পৌঁছতে, কোনো বিজয় অর্জন করতে যে পরিমাণ জনসম্পৃক্ততার প্রয়োজন সেটা না পেলে তারা মোটেই সফলকাম হবে না। তাই রাজনৈতিক দলগুলোর যেমন মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনে কাজ করা দরকার ঠিক তেমনি সফল আন্দোলনকারীদেরও সাধারণ মানুষের প্রতি সম্মান প্রদর্শন, তাদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার প্রতি গুরুত্ব এবং তাদের কষ্ট বোঝা উচিত।
দেশবাসী নানা কষ্টে আছে। আইনশৃঙ্খলা ভালো নেই, ঘুষ মোটেই বন্ধ হয়নি, দুর্নীতি একই পরিমাণ আছে। পুলিশের নিচু পর্যায়ে অনেকটা দরদী হলেও উঁচু পর্যায়ে আগের চাইতে খারাপ হয়েছে। এতদিন যারা নিগৃহীত ছিল তারা মনে করছে দেশটা এখন তাদের জন্য অবারিত, লুটপাট ও দাঙ্গাবাজি, কাজ না করা সে এক বেপরোয়া ভাব। ২-৪ জন পুলিশ কর্মকর্তা এখনো ভালো আছে বলে চলছে। না হলে আমরা কোথায় গিয়ে দাঁড়াতাম বলতে পারি না। বিশেষ করে সেনাবাহিনী খুবই প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছে। তাদেরকে বিচারিক ক্ষমতা দেয়ার পরও কোনোরকম উত্তেজনাকর তেমন বড়সড় ঘটনার কথা শোনা যায়নি। দেশে এরকম গৌরবান্বিত সেনাবাহিনীই আমাদের দরকার। সেনাবাহিনী যদি এমন সুন্দর নিয়ন্ত্রিত থাকে তাহলে ভবিষ্যতে আমরা গর্ব করার মতো অনেক কিছু পাবো। সেনাবাহিনীকে একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা উচিত না। সেনাবাহিনীকে দক্ষ, যোগ্য ও গৌরবান্বিত বাহিনীতে পরিণত করা উচিত। ব্যাপারটা শুধু সেনাবাহিনী নয়, ব্যাপারটা সমস্ত শৃঙ্খলাবদ্ধ বাহিনী নিয়ে। সেটা সেনা, নৌ, বিমান, বিজিবি, পুলিশ, র্যাব, প্যারা মিলিশিয়া, গ্রামরক্ষী যত রকমের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আছে তারা যেন সম্মানের হয়, গৌরবের হয়- সেদিকে আমাদের নজর দেয়া উচিত।
একটা বিষয় বেশ কিছুদিন আমাকে কুরে কুরে খাচ্ছে তা হলো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। সবকিছু সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। নুন, তেল, মরিচ, পিয়াজ, আদা, রসুন, লাউ, কুমড়া সবজি কোনো কিছু নাগালের মধ্যে নেই। আমি ’৬০-’৬২ সাল থেকে ’৬৪ সাল পর্যন্ত নিয়মিত বাজার করেছি। বাবা তখন টাঙ্গাইল মহকুমা কোর্টে মোক্তার ছিলেন। আমি প্রতিদিন সকালে মোক্তার বারে আসতাম; অনেকক্ষণ বসে থাকতাম। বাবা এক সময় টাকা দিতেন টাঙ্গাইল ছয়আনি বাজারে গিয়ে বাজার করতাম। মা লিখে দিতেন মাছ, মরিচ, পিয়াজ, আদা, রসুন, পান-সুপারি, সজ মসলা কতো কি। আমার বাজারের বরাদ্দ ছিল ৩-৪ টাকা। যেদিন চাল কিনতাম সেদিন ১৪-১৫ টাকা। আধা মণ চাল। আর আমি এত ভালো লোক ছিলাম ২০ কেজির জায়গায় ১৮ কেজির বেশি কখনো আমার আধা মণ হতো না। বিরই, কাটাবারি ও অন্যান্য ভালো চাল ছিল ২০ টাকা মণ। আমার আধা মণ ছিল ১৮ সেরে। কখনো সখনো ১৭ সেরেও আনতাম। মা মাঝেসাজে বলতেন, ‘বজ্র রে, চাল কেন যেন কম কম লাগছে। পাথরটার ওজন কমে গেল নাকি?’ মা যে বুঝতেন এটা তখন অতটা বুঝতাম না। একটু বড় হয়ে বুঝতাম। কারণ মা তো কৌটায় মেপে ভাত চড়াতেন। কিন্তু কী করবেন। আর মা আমাকে অসম্ভব আদর করতেন। কারণ আমি ছিলাম তার একেবারে নাদান ছেলে। কি বেকুবই যে ছিলাম- আমাদের বাড়ি বোঝাই সুপারি গাছ ছিল। ঘরের কাঁড়ে সুপারি রাখা হতো। সেখান থেকে চুরি করে আট আনা সের বিক্রি করে এক বা দু’দিন পর ২ টাকা সের কিনে আনতাম। প্রতিদিনের বাজারে ২ আনার পান থাকতো, ২ আনার সুপারি, ১ আনার জর্দা- এ ছিল অবধারিত। কোনোদিন বাদ পড়তো না। তখন লবণ ছিল ২ আনা সের। বেগুন কখনো ২ আনা, তারপর ১ আনা, একেবারে শেষ পর্যায়ে ২ পয়সা সের। কাঁচা মরিচ ২ আনা থেকে ১ আনা। পিয়াজ ১ আনা, আলু ১ আনা, ঢেঁড়স, শিম, ধুন্দল- এ জাতীয় প্রায় সব সবজি ১ আনা সেরের বেশি নয়। ২ আনার লাউ না হলেও ৩ সের হবে। লাউ, কুমড়া একই দাম। দুধ ছিল শহরে ২ আনা সের, গ্রামের বাজারে ২ পয়সা সের। তখন ছিল ৬৪ পয়সায় এক টাকা। একটা বড় ইলিশ মাছ যার ওজন হবে সোয়া কেজি- দেড় কেজি তা ছিল ১ টাকা চার আনা। গরুর মাংস ১ টাকা, খাসির মাংস ১ টাকা চার আনা। একটা মোরগ- মুরগি ৮-১০ আনা থেকে ১২ আনা। আমরা যাই বলি না কেন মানুষের উপার্জন আর ব্যয়ের মধ্যে তখনো একটা সঙ্গতি ছিল। একজন দিনমজুর তখন ১ টাকা মজুরি পেতো। তবে তার সংসার ভালোই চলতো। কিন্তু এখন যে ৫০০-৬০০ টাকা মজুরি পায় সে কিন্তু ১ টাকার মজুরির অর্ধেক জিনিসপত্রও কিনতে পারে না। বড় কষ্টে আছে মানুষ। এখন সরিষার তেল বা সয়াবিন যে দাম। আমি যখনকার কথা বলছি তখন চিনি ছিল আট আনা, সরিষার তেল ছিল ১০ আনা। সোনার ভরি ছিল ১২০ টাকা। স্বাধীনতার পর পর আমার ছোটবোন রহিমার বিয়ে হয়। মা তাকে ২৫ ভরি সোনার গহনা দিয়ে বিয়ে দিয়েছিলেন। তার বিয়েতে আমাদের ১০-১২ হাজার টাকার বেশি খরচ হয়নি। আমি বর্ধমানে বিয়ে করেছিলাম। বউকে ১৫ ভরি সোনার গহনা দিয়েছিলাম। আর ১০-১২ ভরি গহনা লোকজনের কাছ থেকে পেয়েছিল। তখন সোনার দাম ছিল ৭০০ টাকা। আমি খুবই নাদান ছিলাম বলে, দুষ্ট ছিলাম বলে এক সময় গ্রামের স্কুল মির্জাপুর বরাটি নরদানা পাকিস্তান হাইস্কুলে ভর্র্তি করে দিয়েছিল। আমার গুরু দুখীরাম রাজবংশী প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তিনি বেতন পেতেন ২৮০ টাকা। অন্য শিক্ষকরা ১৩০-১৫০-১৬০ টাকা। দুখীরাম রাজবংশী এবং তার স্ত্রী দু’জনই শিক্ষক ছিলেন। দুখীরাম স্যার বরাটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক, দুখীরাম স্যারের স্ত্রী সাটিয়াচরা গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। দু’জনে মিলে কম করে ৪০০-৪৫০ টাকা পেতেন। তাদের ৫০ টাকার বেশি মাসে খরচ হতো না। তখন সাটিয়াচরা থেকে মির্জাপুরে সর্বোচ্চ এক পাখি জমির দাম ছিল ১০০-১৫০ টাকা। তারা দু’জনে মিলে মাসে দুই পাখি জমি কিনতে পারতেন। যে জমির দাম এখন না হলেও ৪০ লাখ টাকা। তাহলে এটা তো বিবেচনা করতেই হবে। একজন শিক্ষকের তখনকার বাজার মূল্যে সম্মানী ছিল ৩০-৪০ লাখের মতো। শুধু আর্থিকভাবে তারা সম্মানী ছিলেন না, সামাজিকভাবেও ছিলেন। কোনো শিক্ষক বাজারে গেলে তাকে সম্মান করা হতো। কোনো জিনিস কেনার সময় গুরুজনের উপর দিয়ে কোনো পয়সাওয়ালা এসে ছোঁ মেরে নিয়ে যেতো না। কিন্তু এখন তেমনটাই হয়। কারও কোনো সামাজিক মর্যাদা নেই। শিক্ষা আর শিক্ষা নেই। শিক্ষা কেমন যেন ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। আগে শিক্ষকরা ছিল পিতার মতো, এখন শিক্ষকরা অনেকটা তেমন নেই। কতো খারাপ শব্দ ব্যবহার করবো? কোনো শব্দই তাদের পরিপূর্ণভাবে প্রকাশ করা যাবে না। কবে যে এইসব অসঙ্গতি থেকে মুক্তি পাবো- সদা সর্বদা শুধু তাই ভাবি।
অসাধারণ লেখনী
এক কথায় বলতে গেলে অসাধারণ লিখেছেন। আপনার লেখার পর মন্তব্য করার মতো। কিছু নেই। শুধু একটা কথাই বলতে চাই। আপনি মাননীয় প্রধান উপদেষ্টাকে যেমন বলেছেন যে, শুধু গ্রামীণ ব্যাংক আর ৮৪ লক্ষ মানুষকে নিয়ে না ভেবে বাংলাদেশ আর ১৬ কোটি মানুষকে নিয়ে ভাবলে তার পাশে থাকবেন। সাধারণ জনগনেরও রাজনীতিবিদের কাছে একটাই চাওয়া, দেশটাকে মাতৃভূমি হিসেবে ভালোবেসে দেশ ও জনগণের কল্যানে সততার সাথে দায়িত্ব পালন করা। ক্ষমতা পেয়ে নিজের পকেট ভারি করলে সবার পরিণতি ৫ ই আগস্টের মতো হব।
Ektu somoy din younus sir ke, sob thik hoya jabe insaallah.
আমরা যেহেতু ষাটের দশকের ১ম দিকে(৬১সালে) জন্মেছি।তাই আপনি যা বলেছেন একেবারে সত্য কথা বলেছেন।আমরা নিজেরা গ্রামের বাজারে বাঁশের টুকরী অথবা পাটের তৈরী ব্যাগ নিয়ে নিজে অথবা বড় ভাইদের সাথে বাজারে যেয়ে সওদা-পাতি আনতাম।তাই স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়ে আপনার বর্ননা করা চিত্রই দেখেছি।ধন্যবাদ আপনাকে পুরাতন কথা মনে করিয়ে দেয়ার জন্য।
অত্যন্ত সুন্দর ও মর্যাদার সমাজ ব্যবস্থা ছিল।আসলেই সমাজ এবং কিছু একেবারেই শেষ প্রায়।
আপনার লেখা পড়ে ভাল লাগল । দেশপ্রেম যদি মানুষের মাঝে না থাকে তাহলে কিভাবে দেশের উন্নতি হবে । ধন্যবাদ স্যার
বাংলাদেশ গনতান্ত্রিক দেশ হলেও এই দেশে নিরবিচ্ছিন্ন গনতন্ত্র কখনোই ছিল না। আমারা পরিশোলিত গনতন্ত্র চাই। যেখানে শাসকের ক্ষুধা কম থাকবে, ক্ষদার্থদের জন্য যে শাসকগোষ্ঠি চিন্তা করবে আমাদের সেই ধরনরে শাসক প্রয়োজন। সেই ধরনের শাসক সৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত বর্তমানে আমরা ভালোই আছি, অন্তত কিছু বলে ও লিখে মনের ভাব তো প্রকাশ করতে পারি।
শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, আপনাকে শেখ হাসিনা,আওয়ামীলীগ বুঝতে পারে নাই,দুনিয়াতে আর কেউ বুঝবে বলে মনে হয় না।বঙ্গবন্ধুর পুড়া বাড়ির সামনে দাড়িয়ে কথা বলা আর আজকের লিখা একটার সাথে আরেকটা যায় না
মসজিদে মারামারি, মন্দিরে পাহাড়া দেয়া, মাজার ভেংগে গুড়িয়ে দেয়া, আগুন দিয়ে কাশবন পুড়ানো, ঢাবিতে খাওয়ায়ে মেরে ফেলা, চবিতে পিটিয়ে মেরে ফেলানো, কবরে আগুন দেয়া ইত্যাদি ইত্যাদি আগে তো ঘটতো না।
জনাব, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, বীরউত্তম, দেখেন এসব বলে, লিখে যদি গ্রেফতার এড়াতে পারেন। কারন, আপিন শেখ হাসিনা কে ভগ্নি, ভগ্নি করে কম লুট করেন নাই। ২৪ শের নির্বাচনের সময় মোহাম্মদপুরের বাড়িটি লিখে নিয়েছেন।
আমার জানামতে ১৯৭০ সনে স্বর্ণের ভরি ছিল ১৩২ টাকা। ১৯৬৮/৬৯ সনে মা সকালে এক পুরা (এখনকার ১ কেজির উপরে) চাউল দিতেন। সাত আনা বিক্রি করে দুধ, মাছ ও তরিতরকারি কিনে আনতাম। অনেক কষ্ট করে দুই পয়সা চুরি করতাম। যাহোক কাদের সিদ্দিকী ভাইয়ের নিশ্চয়ই মনে আছে পাকিস্তান আমলে দূর্গা পূজা মন্ডপ পাহারা দিতে হয়নি। এখন কেন লাগছে?
ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ ٱللَّٰهِ وَبَرَكَاتُهُ আপনার লেখার শেষ অংশ আমাকেও অতীতে নিয়ে গেল। আল্লাহ্ SWT আপনাকে সুস্বাস্হ দান করুন। আমীন।।
তখন দিন মজুরের মজুরী ছিল ছয় আনা । এখন দিন মজুর রা আগের চেয়ে ভালো আছে ।
দেশ যখন স্বাধীন হয় তখন স্বর্ণের দাম ছিল ১৩৭ টাকা ভরি ।