নির্বাচিত কলাম
হালফিল বৃত্তান্ত
জেনারেল আজিজ, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা, অতঃপর
ড. মাহফুজ পারভেজ
২৪ মে ২০২৪, শুক্রবারযদিও জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, সেটা নির্বাচনকেন্দ্রিক ভিসা নীতির অধীন নয়। মার্কিন ভিসা নীতি ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্টের অধীন। কিন্তু জেনারেল আজিজকে দেয়া নিষেধাজ্ঞা ফরেন অপারেশন অ্যান্ড রিলেটেড প্রোগ্রামস অ্যাপ্রোপ্রিয়েশনস অ্যাক্টের অধীন। তার বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে অভিযোগ, সেটা দুর্নীতির মাধ্যমে রাষ্ট্রের নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ এবং দুর্নীতির সহায়তা। তথাপি, সাবেক সেনাপ্রধান যুক্তরাষ্ট্রের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন। এর আগে পুলিশের সাবেক নয় কর্মকর্তা যারা র্যাবে ছিলেন তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা এসেছিল। এই তালিকা দীর্ঘ হলে কার লাভ? তালিকায় যারা আছেন বা যাদের নামে নিষেধাজ্ঞা, ক্ষতি কেবল তাদের? দেশ ও জনগণের ইমেজের নয়? মোদ্দা কথায়, নিষেধাজ্ঞার কারণ দুর্নীতি কিংবা নির্বাচনকেন্দ্রিক ভিসা নীতির অধীনে ব্যক্তি বিশেষের হলেও সামগ্রিক বিবেচনায় ঘটনাটির প্রভাব ও প্রতিক্রিয়া জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে কম নয়।
বাংলাদেশের রাজনীতি, নির্বাচন, দুর্নীতি, সুশাসন তথা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার নানা দিক নিয়ে মার্কিন আগ্রহের বিষয়গুলো সামপ্রতিক অতীতে মনে হয়েছিল ভাটা পড়েছে। মানবাধিকার লঙ্ঘন, দুর্নীতি ও সুশাসনের পরিপন্থি তৎপরতার জন্য এক সময় অতি সোচ্চার মার্কিন কর্তাদের কথাবার্তাও কমে এসেছিল। বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ সংক্রান্ত আলোচনাও বলতে গেলে স্তিমিত হয়ে গিয়েছিল। বহুল আলোচিত জেনারেল আজিজের সূত্রে বিষয়টি আবার সামনে চলে এসেছে মে মাসের শেষ সপ্তাহে।
মঙ্গলবার (২১শে মে) এ সংক্রান্ত একটি খবর নিউজ ফিডে আসার পর থেকে দৃশ্যপট বদলে যায়। চাঞ্চল্য দেখা দেয় জনমনে। যারা আমেরিকার বক্তব্য ও নিষেধাজ্ঞার বিষয়গুলো গুরুত্ব দেননি, তারাও থমকে যান। জানা যায়, দুর্নীতির সঙ্গে ব্যাপক সম্পৃক্ততার অভিযোগে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ এবং তার পরিবারের সদস্যদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় সোমবার দুপুরে (বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার ভোরে) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বাইডেন প্রশাসনের ওই সিদ্ধান্তটি প্রকাশ করে। স্টেট ডিপার্টমেন্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে জেনারেল আজিজ ও তার পরিবারের সদস্যদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অযোগ্য ঘোষণা করা হয়।
এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে। ‘মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় অবাক’ হয়েছেন বলে মন্তব্য করে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ বলেছেন, ‘অসত্য তথ্যের ভিত্তিতে তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।’ অন্যদিকে, ‘ব্যক্তি পর্যায়ের অনেকের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এটা নতুন কিছু নয়। সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে কেন নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে’ তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানা যায়নি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এই নিষেধাজ্ঞা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মার্কিন ভিসা নীতির অধীন নয়, দেশটির অন্য আইনে। অবশ্য বিএনপি’র মহাসচিব সাফ জানিয়ে দেন, ‘সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সরকারের দুর্নীতির প্রমাণ। বর্তমান সরকার আকণ্ঠ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। দুর্নীতি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে করায়ত্ত করেছে। এর আগে র?্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল।’
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী, জেনারেল আজিজের ভিসা বাতিল হয় ২০২১ সালে। তখন তার পরিবারের সদস্যদের ভিসা বাতিলের খবর ছিল না। ২০২১ সালের ১১ই ডিসেম্বর মানবজমিন-ই প্রথম এ খবরটি প্রচার করে: ‘সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজকে যুক্তরাষ্ট্রে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই তার মার্কিন ভিসা বাতিল করা হয়েছে। এক পত্র মারফত জেনারেল আজিজকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেয়া হয়েছে। কাতারভিত্তিক টেলিভিশন নেটওয়ার্ক আল জাজিরায় জেনারেল আজিজের দুর্নীতি ও নানা অনিয়মের খবর প্রচারের পর যুক্তরাষ্ট্র এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত ফেব্রুয়ারিতে ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার’স ম্যান’ নামে রিপোর্টটি প্রচার করে আল-জাজিরা।’
এবার ঘোষিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত খবরটি আদ্যোপান্ত পড়লে স্পষ্ট বুঝা যায়, জেনারেল আজিজ উপলক্ষ্য, মূল লক্ষ্য তিনি নন। বরং তার বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিয়ে মার্কিন কর্তৃপক্ষ তাদের মূল লক্ষ্য সম্পর্কে নীতিগত অবস্থান উল্লেখ করেছে। নানা উত্থান-পতন হলেও আমেরিকা যে তার নীতিগত অবস্থান থেকে সরে যায়নি, তা টের পাওয়া যায় নিষেধাজ্ঞার বিস্তারিত খবরে। কারণ, মার্কিন ভাষ্যানুযায়ী, জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থার মধ্যদিয়ে:
১) বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও আইনের শাসনকে শক্তিশালী করতে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকার পুনরায় নিশ্চিত করা হলো।
২) এ দেশে সরকারি সেবা আরও স্বচ্ছ ও নাগরিকদের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর পথ প্রশস্ত হলো।
৩) সেই সঙ্গে ব্যবসা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং মুদ্রা পাচার ও অন্যান্য অর্থনৈতিক অপরাধের অনুসন্ধান ও বিচার নিশ্চিতে সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশে দুর্নীতিবিরোধী প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার বিষয়টি খোলাসা হলো।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারকে উদ্ধৃত করে প্রচারিত বিবৃতিতে বলা হয়, ব্যাপক দুর্নীতিতে সম্পৃক্ততার কারণে সাবেক জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদকে, পূর্বে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী প্রধান, ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট, ফরেন অপারেশন অ্যান্ড রিলেটেড প্রোগ্রামস অ্যাপ্রোপ্রিয়েশনস অ্যাক্টের ৭০৩১ (সি) ধারার আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ফলে আজিজ আহমেদ এবং তার পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য অযোগ্য হলেন। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তার (আজিজ আহমেদ) কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহের অবমূল্যায়ন এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান ও প্রক্রিয়ার ওপর জনগণ আস্থাহীন হয়ে পড়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে, আজিজ আহমেদ তার এক ভাইকে বাংলাদেশে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহি এড়াতে সহযোগিতা করেন। এটা করতে গিয়ে তিনি নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য দুর্নীতি করেন। এ ছাড়া অন্যায্যভাবে সামরিক খাতে কন্ট্রাক্ট পাওয়া নিশ্চিত করার জন্য তিনি তার ভাইদের ঘনিষ্ঠভাবে সহায়তা করেন। তিনি নিজের স্বার্থ তথা সরকারি নিয়োগের বিনিময়ে বিরাট অঙ্কের ঘুষ নেন।
সন্দেহ নেই, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার খবরে একদিকে যেমন ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশে, তেমনিভাবে বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মরত ব্যক্তিবর্গের উপর এক ধরনের চাপ সৃষ্টি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র নিজের স্বার্থে বিভিন্ন দেশ ও সরকারের উপর চাপ প্রয়োগের জন্য নানা কৌশল ও পন্থা ব্যবহার করে। নিষেধাজ্ঞা তারই একটি। কারও ‘কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহের অবমূল্যায়ন এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান ও প্রক্রিয়ার ওপর জনগণ আস্থাহীন হয়ে পড়েছে’ মর্মে অভিযোগ তুলে যে কাউকেই আমেরিকা নিষেধাজ্ঞার আওতায় নিয়ে আসতে পারে। এতে সংশ্লিষ্টদের ওপর মানসিক চাপ তৈরি হতে পারে।
মার্কিন নীতিতে নিষেধাজ্ঞা ও চাপ একটি বড় অস্ত্র। এক সময় খাদ্য বা অস্ত্র সরবরাহ বাড়িয়ে বা কমিয়ে বহু দেশকে বেকায়দায় ফেলে বাধ্য ও অনুগত করেছিল আমেরিকা। আবার অনেক দেশ আমেরিকার চাপ ও নিষেধাজ্ঞাকে উড়িয়ে দিয়ে বহাল তবিয়তে নিজের মতো কাজ করেছে। আবার এমন দৃষ্টান্তও আছে যে, অতীতে বহু ব্যক্তি ও সরকারকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েও যুক্তরাষ্ট্র তাদের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক নির্মাণ করেছে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা কাউকে বশ করার একটি হাতিয়ারও বটে।
তবে সরকারের তরফে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা অবজ্ঞা করার যেমন সুযোগ নেই, বিরোধী দলের তরফে উৎফুল্ল হওয়ারও কারণ নেই। সরকারের কর্তব্য হলো, যদি সত্যি সত্যি দুর্নীতি, অনিয়ম, মানবাধিকার বিরোধী কিছু থাকে, তাহলে সেগুলো সারিয়ে নিয়ে সমালোচকদের মুখ বন্ধ করা। আর বিরোধীদের উচিত জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করা। মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় উৎফুল্ল হয়ে তাদের ভরসায় ক্ষমতাসীন হওয়ার স্বপ্ন না দেখা।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশের সরকার ও ব্যক্তি পর্যায়ে ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতি নিয়ে বরাবরই সরব। মানবাধিকার, আইনের শাসন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, সুশাসন এবং অংশগ্রহণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক নির্বাচন ও শাসন ব্যবস্থা নিয়েও তারা আগ্রহী। বিশ্বের নানা দেশে এসব বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র নিবিড়ভাবে নজর রাখে। বাংলাদেশের ব্যাপারেও যুক্তরাষ্ট্র সক্রিয়।
তবে, গত নির্বাচনের আগে ও পরে আমেরিকা যত তৎপর ও সক্রিয় ছিল, মাঝে তা ছিল না। বরং ডনাল্ড লু’র সামপ্রতিক ঢাকা সফরের পর সবাই ধারণা করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বোধ করি সব ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে। কিন্তু চুপ থাকলেও যে যুক্তরাষ্ট্র তার নীতিতে অটল, জেনারেল আজিজের নিষেধাজ্ঞার ঘটনা তেমনই ইঙ্গিত দেয়। প্রায়-প্রায়শই বিভিন্ন পর্যায়ের মার্কিন কর্মকর্তার ঢাকা ও বাংলাদেশের নানা জায়গায় সফরকালে তাদের নীতিগত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকেই প্রাধান্য পায়। বিভিন্ন মহলের সঙ্গে বৈঠকের সময় এসব বিষয়ে ইঙ্গিতও করা হয়।
যদিও জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, সেটা নির্বাচনকেন্দ্রিক ভিসা নীতির অধীন নয়। মার্কিন ভিসা নীতি ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্টের অধীন। কিন্তু জেনারেল আজিজকে দেয়া নিষেধাজ্ঞা ফরেন অপারেশন অ্যান্ড রিলেটেড প্রোগ্রামস অ্যাপ্রোপ্রিয়েশনস অ্যাক্টের অধীন। তার বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে অভিযোগ, সেটা দুর্নীতির মাধ্যমে রাষ্ট্রের নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ এবং দুর্নীতির সহায়তা। তথাপি, সাবেক সেনাপ্রধান যুক্তরাষ্ট্রের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন। এর আগে পুলিশের সাবেক নয় কর্মকর্তা যারা র?্যাবে ছিলেন তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা এসেছিল। এই তালিকা দীর্ঘ হলে কার লাভ? তালিকায় যারা আছেন বা যাদের নামে নিষেধাজ্ঞা, ক্ষতি কেবল তাদের? দেশ ও জনগণের ইমেজের নয়? মোদ্দা কথায়, নিষেধাজ্ঞার কারণ দুর্নীতি কিংবা নির্বাচনকেন্দ্রিক ভিসা নীতির অধীনে ব্যক্তি বিশেষের হলেও সামগ্রিক বিবেচনায় ঘটনাটির প্রভাব ও প্রতিক্রিয়া জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে কম নয়।
লেখক: প্রফেসর, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও নির্বাহী পরিচালক, চট্টগ্রাম সেন্টার ফর রিজিওনাল স্ট্যাডিজ, বাংলাদেশ (সিসিআরএসবিডি)।