ঢাকা, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, রবিবার, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ রবিউস সানি ১৪৪৬ হিঃ

নির্বাচিত কলাম

সাম্প্রতিক প্রসঙ্গ

বাংলাদেশে এই মুহূর্তে কি রাহুল কিংবা ধ্রুব রাঠির প্রয়োজন?

মো. অলিউল ইসলাম
৬ জুলাই ২০২৪, শনিবারmzamin

 

বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশে পরিবর্তন আনতে হলে প্রথমে সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। একটি দেশের গণতন্ত্র তখনই কার্যকর হয়, যখন তার জনগণ সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারে এবং তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারে। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে যখন সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হয় না, তখন রাহুল গান্ধী বা ধ্রুব রাঠির মতো লোক থাকলেও কোনো পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়।

 

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র সাফল্যের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের ৭ই জানুয়ারির নির্বাচনে বিরোধী শিবিরের ভূমিকা নিয়ে বিস্তর আলোচনা চলছে। বিশেষ করে সরকারি দলের নেতা, সমর্থক এবং তাদের তাঁবেদারি করা বুদ্ধিজীবীরা অনেকগুলা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। তাদের প্রশ্ন কেন বিরোধীরা নির্বাচনে আসে না, রাহুল গান্ধীর মতো হতে পারে না, অথবা কেন সামাজিক মাধ্যমে ধ্রুব রাঠির মতো কেউ নেই। অন্যদিকে, নিরপেক্ষ ব্যক্তিরাও এ নির্বাচন নিয়ে যার যার জায়গা থেকে বিচার-বিশ্লেষণ করছেন, যদিও তাদের দৃষ্টিভঙ্গি সরকারি দলের থেকে ভিন্ন। কিন্তু প্রশ্নটা হলো, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এই ধরনের নেতা কিংবা ইনফ্লুয়েন্সারদের সত্যিই কি প্রয়োজন? নাকি আমাদের আরও গভীর কিছু সমস্যা রয়েছে যা প্রথমে সমাধান করা দরকার?

ভারতের নির্বাচনী পরিবেশ ও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। রাহুল গান্ধী এবং ধ্রুব রাঠির প্রভাব ও কাজ ভারতীয় রাজনৈতিক পরিবেশে গভীরভাবে প্রভাব ফেলেছে। রাহুল গান্ধী ভারত যাত্রা করেন, জনসংযোগ-গণসংযোগ করেন এবং সাম্প্রদায়িক শক্তির ‘ভ্যান গার্ড’ হওয়া কর্পোরেট মাফিয়াদের কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি প্রচার-প্রচারণায় সংবিধান রক্ষার কথা বলেন, যা ব্যাপক সাড়া ফেলে ভোটার তথা জনগণের মধ্যে। এতে এবারের লোকসভায় তাদের আসন সংখ্যা দ্বিগুণ হয়। নির্বাচনের আগে তাদের দলীয় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেয়া হয়। ‘লেলিয়ে’ দেয়া হয় কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে (ইডি)। অনেকটা কোণঠাসা অবস্থাতেই এ নির্বাচনের বৈতরণী পার হতে হয় রাহুলদের। 

 

অন্যদিকে ধ্রুব রাঠি সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার। বর্তমানে ইউটিউবে তার চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ২২ মিলিয়নের বেশি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির খুব কাছাকছি অবস্থান করছেন তিনি। মোদির সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা অবশ্য ২৪ মিলিয়নেরও কিছুটা বেশি। এই ধ্রুব রাঠি বিজেপি ও মূলধারার  মিডিয়াগুলোর মিথ্যাচার সামাজিক মাধ্যমে ডিবাঙ্ক বা অনাবৃত করেন। বিভিন্ন গ্রাফিকস ও মোশন ব্যবহার করে সহজ ও সাবলীল ভঙ্গিতে প্রথাগত মিডিয়ার ন্যারেটিভগুলো খণ্ডান। বলাবাহুল্য, ভারতের মূলধারার মিডিয়াকে এখন বলা হয় ‘গদি মিডিয়া’। এনডিটিভির সাবেক সঞ্চালক রাভিশ কুমার এই নামটি দিয়েছেন। রাভিশ কুমার এনডিটিভি ছেড়ে দেন যখন আদানি এটি কিনে নেয়। এরপর তিনি সামাজিক মাধ্যমে কাজ শুরু করেন এবং বর্তমানে তার ১১ মিলিয়ন ইউটিউব সাবস্ক্রাইবার আছে। সাংবাদিক করন থাপার থেকে কমেডিয়ান কুনাল কামরা, ভরুন গ্রোভার, ‘বিং অনেস্ট’র মতো ইউটিউব চ্যানেলগুলো গদি মিডিয়ায় প্রচারিত মিথ্যাগুলোকে চিহ্নিত করে সত্যের ন্যারেটিভ দাঁড় করিয়েছেন।

কিন্তু যদি ভোটই না থাকতো বাংলাদেশের মতো, তাহলে কি তাদের কর্মকাণ্ড কোনো কাজে আসতো? ভারতের এবারের লোকসভা নির্বাচনে যে প্রশ্ন বা অভিযোগগুলো উঠেছে, তার অনেকগুলো ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। কয়েকটি অনুষঙ্গের দিকে তাকালেই বিষয়টি পরিষ্কার হবে। এর জন্য কষ্টিপাথরে পরখ করতে হবে না। 
প্রথমেই বলতে হয় আদালতের কথা। ভারতের আদালত এখনো অ্যাবসলিউট বা পুরোপুরিভাবে সরকারের পকেটে ঢুকে পড়েনি। যেমন ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের সময় কর্ণাটকে দুর্নীতির মামলায় জড়িত পলাতক নীরব মোদি, ললিত মোদির নাম উল্লেখ করে রাহুল জানতে চেয়েছিলেন, চোরদের পদবি কেন মোদি হয়। এতে গুজরাটের বিজেপি নেতা পূর্ণেশ মোদি সুরাট জেলা আদালতে রাহুলের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মানহানির অপরাধে মামলা করেন। মামলায় রাহুলের দুই বছরের সাজা হয় এবং তড়িঘড়ি করে লোকসভার সদস্যপদ বাতিল করা হয়। এরপর সাজা স্থগিতের জন্য তিনি প্রথমে সুরাটের দায়রা আদালত ও পরে গুজরাট হাইকোর্টে আবেদন জানালে রাজ্যের দুই আদালত তার আবেদন খারিজ করে দিলেও প্রতিকার পান সুপ্রিম কোর্টের কাছ থেকে। সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলে কোর্ট তার সাজা স্থগিত করে দেয় এবং লোকসভার সদস্য পদ ফিরে পান রাহুল।

আরেকটি উদাহরণ হতে পারে দিল্লি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির প্রতিষ্ঠাতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে লোকসভা নির্বাচনের আগে আগে গ্রেপ্তারের বিষয়টি। এ বছরের ২১শে মার্চ কেজরিওয়ালকে দেশটির ইডির করা আবগারি নীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। তবে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে তাকে ১০ই মে অন্তর্বর্তী জামিন দেয় দিল্লির সুপ্রিম কোর্ট। অন্যদিকে আমাদের দেশের আদালতগুলোর কী অবস্থা? জজ কোর্ট? হাইকোর্ট? কিংবা সুপ্রিম কোর্ট? ৭ই জানুয়ারি নির্বাচনের আগে আগে রাতে আদালত বসিয়ে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের দ্রুত বিচার করা হয়, যা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয় দেশে-বিদেশে। সাজার মেয়াদগুলোও ছিল চোখে পড়ার মতো। সাজার মেয়াদকালগুলো এমনভাবে দেয়া হয়, যেন নির্বাচনে আসতে চাইলেও দণ্ডিত হওয়ার কারণে প্রার্থী হতে না পারে বিরোধী নেতারা (ডেইলি স্টার বাংলা, ২৩শে অক্টোবর, ২০২৩)।

একইসঙ্গে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নামে লাখ লাখ মামলা তো আছেই (প্রথম আলো, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩)। এর আগের নির্বাচন, যেটিতে বিরোধী শিবির অংশ নিয়েছিল, আরও ভয়াবহ আকারে দেখা গিয়েছিল এই ‘ভয়ঙ্কর’ মামলার প্রবণতা (প্রথম আলো, ২০শে ডিসেম্বর, ২০১৮)। সবচেয়ে ভয়াবহ বিষয়, বাংলাদেশে সিটিং চিফ জাস্টিসকেও নামিয়ে দেয়া যায়। নামিয়ে দেয়া হয়। একইসঙ্গে এই নামিয়ে দেয়াকে ‘ক্রেডিট’ হিসেবে নিয়ে উল্লাসও করা যায়। (মানবজমিন, ২৩শে মে, ২০২৩)। এ ছাড়া এক মামলায় বিরোধী দলের নেতাকে যে বিচারক খালাস দিয়েছিলেন, ‘প্রাণের ভয়ে’ তিনি দেশত্যাগ করেছিলেন (দেশ রূপান্তর, ১৩ই জুন, ২০২২)।

দ্বিতীয়ত, ভারতের আমলাতন্ত্র এখনো দণ্ডমুণ্ডের কর্তা হতে পারেনি, বাংলাদেশে যা দোর্দণ্ড প্রতাপে রাজনীতিকে ডিকটেট করে বা বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখায়। এক সময়ের বাঘা বাঘা রাজনীতিকরাও এখন তাদের হাতের পুতুল। এনিয়ে জাতীয় সংসদেও বিস্তর আলাপচারিতা হয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের বর্ষীয়ান নেতারাই আমলাদের কর্মকাণ্ডে উষ্মা প্রকাশ করেছেন (সমকাল, ২৮শে জুন)। 

তৃতীয় বিষয়টি হলো, ভারতে এখনো পুলিং-ডে বা নির্বাচনের দিনটি সহি আছে, বাংলাদেশের মতো ‘রাতের ভোটের’ কাণ্ড পর্যায়ে উন্নীত হতে পারেনি। অন্যদিকে, বাংলাদেশে ২০১১ সালে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়। সম্পূর্ণ একতরফাভাবে রাজনৈতিক একটি সমঝোতা আদালতের কাঁধে বন্দুক রেখে বাতিল করা হয় (বদিউল আলম মজুমদার, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রাজনীতি)। এর মাধ্যমে নির্বাচনকালীন সময়ে রাজনৈতিক সরকার থাকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়। যদিও ক্ষমতাসীনরাই একসময় ‘আজীবনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চাই’ বলেছিল। তবে তা যে বাত-কা-বাত ছিল, সময়মতো তার জানান দিয়ে দিলো ক্ষমতাসীনরা। এর ফলে বাংলাদেশে যে একদিনের গণতন্ত্র বিদ্যমান ছিল, তারও পাট চুকে যায়।

চতুর্থ বিষয়টি হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক বিরোধীদের ঠেঙ্গানো। ভারতেও মাঝে মাঝে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বিরোধী শিবিরের খানিক ধস্তাধস্তি কিংবা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তবে তার মাত্রা কি বাংলাদেশের মতো? বিরোধীদের ঠেঙ্গানোর প্রশ্নে ভারতের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখনো সহনীয়। তাদের শীর্ষ কর্মকর্তারা বাংলাদেশের মতো রাজনৈতিক বক্তৃতা দেয় না। হম্বিতম্বি দেখায় না। কিংবা মাঠে-ঘাটে বলে বেড়ায় না, ‘এ সরকারকে আমরাই ক্ষমতায় এনেছি’।

আরেকটি বড় প্রশ্ন হচ্ছে কতোটি আসনে রাহুল গান্ধীদের সরকারি দলের কর্মী কিংবা প্রশাসনের পক্ষপাতদুষ্ট লোকজনের আক্রমণের শিকার হতে হয়েছে, অথবা কতোটি হামলার ঘটনা ঘটেছে, কিংবা মামলা হয়েছে কতোজনের নামে? বাংলাদেশে ২০১৮ সালের নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ১০০টিরও বেশি আসনে হামলা হয়েছিল। সরাসরি আক্রমণ করা হয়েছিল প্রার্থীদেরকে লক্ষ্য করে (প্রথম আলো, ২৪শে ডিসেম্বর, ২০১৮)। হিউম্যান রাইটস ওয়াচও এটি নিয়ে প্রতিবেদন করেছিল সে সময় (হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, ২২শে ডিসেম্বর, ২০১৮)। আরেকটি বড় প্রশ্ন হলো, রাহুল গান্ধীদের দলের কতোজনকে গুম খুনের শিকার হতে হয়েছিল? 

শুধুমাত্র আদালত বা প্রশাসনের নয়, বাংলাদেশের মিডিয়াগুলোও অনেকাংশেই সরকারি প্রোপাগাণ্ডার মুখপাত্র হিসেবে কাজ করে। বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সত্যিই প্রশ্নবিদ্ধ। আপনি যাই করেন না কেন, তা যদি শূন্য দিয়ে গুণ করেন, ফলাফল শূন্যই হবে। বাংলাদেশে রাহুল না, রাহুলের ‘বাপ’ও আছে। মুক্তিযুদ্ধ করা জাতির উত্তরসূরিদের এতটাই হালকা করে দেখা উচিত না। আর আমাদের মিডিয়ার প্রোপাগাণ্ডাকে ডিবাঙ্ক করার জন্যও অনেকে আছেন। শুধু বিদেশে বসে না, দেশে বসেই অনেকে গ্রহণযোগ্য কাজ করছেন। সামাজিক মাধ্যমে সাংবাদিক গোলাম মোর্তোজা, মোস্তফা ফিরোজ, মাসুদ কামাল, কিংবা ডা. জাহেদুর রহমানরা অনেক ভালো তথ্যনির্ভর বিশ্লেষণ করছেন। তাদের কাজের মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন যে, তারা ইতিহাস, ভূগোল এবং এখানকার মানুষ ও জনমানুষের সম্পর্কে সুগভীর জ্ঞান রাখেন। যদিও বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের কাজের প্রভাব থাকা সত্ত্বেও ফল পাওয়া যাচ্ছে না, কিন্তু কোনোদিন যদি বাংলাদেশের নির্বাচনী পরিবেশ ভারতের মতো হয়, তাহলে আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি এই ব্যক্তিরা রাজনৈতিক পরিসরে ধ্রুব রাঠির চেয়েও বেশি প্রভাব রাখতে পারবেন। তবে আপাতত ওনাদের প্রভাব বিস্তারের সম্ভাবনা নেই। 

বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশে পরিবর্তন আনতে হলে প্রথমে সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। একটি দেশের গণতন্ত্র তখনই কার্যকর হয় যখন তার জনগণ সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারে এবং তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারে। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে যখন সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হয় না, তখন রাহুল গান্ধী বা ধ্রুব রাঠির মতো লোক থাকলেও কোনো পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়। রাহুল গান্ধী ভারত যাত্রা করেন এবং গণসংযোগের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে সাড়া ফেলেন, কারণ ভারতের নির্বাচন ব্যবস্থা এখনো গণতান্ত্রিক আদর্শের কিছুটা হলেও প্রতিফলন ঘটায়। বাংলাদেশে এই মুহূর্তে সে রকম কোনো পরিস্থিতি নেই। খুব তাড়াতাড়ি কিছু হবে, এমনো কোনো সম্ভাবনা নেই। এখানে হামলা, নির্যাতন এবং আদালতের ব্যবহারের মাধ্যমে বিরোধী দলগুলোকে দমন করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে রাহুল গান্ধী বা ধ্রুব রাঠি দিয়ে আমরা কী করবো? আমাদের তো ভোট-ই নাই। তাই এদের থেকেও আামাদের বেশি প্রয়োজন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের। বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকটের সমাধান একমাত্র সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে হতে পারে। সুষ্ঠু নির্বাচনই পারে দেশের জনগণকে তাদের সত্যিকারের মতামত প্রকাশের সুযোগ দিতে।
 

লেখক: সংবাদকর্মী ও যুগ্ম আহ্বায়ক (সুজন বন্ধু)

 

নির্বাচিত কলাম থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

নির্বাচিত কলাম সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status