ঢাকা, ৭ অক্টোবর ২০২৪, সোমবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩ রবিউস সানি ১৪৪৬ হিঃ

নির্বাচিত কলাম

সাম্প্রতিক প্রসঙ্গ

বাংলাদেশের বিপ্লবের নেপথ্যে প্রফেসরদের অবদান

১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বুধবারmzamin

শেখ হাসিনার পতনের পর সংস্কার এবং গণতন্ত্রে প্রত্যাবর্তনের  জাতীয় আকাঙ্ক্ষা ক্রমেই তীব্র হচ্ছিল, তবে জাতীয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় উভয় পর্যায়েই একটি প্রশাসনিক শূন্যতা দেখা দেয়। অভ্যুত্থানে ইউটিএন’র সক্রিয় এবং উল্লেখযোগ্য ভূমিকা থাকা সত্ত্বেও, এর সদস্যদের কোনো অফিসিয়াল পদ দেয়া হয়নি মন্ত্রিসভায় (যদিও অধ্যাপক নজরুল এখন একজন ইনফ্লুয়েন্সিয়াল উপদেষ্টা) বা কোনো জাতীয় প্রতিষ্ঠান বা বিশ্ববিদ্যালয়ে। যদিও ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার উদারপন্থি  ছিল। দুই ছাত্র সমন্বয়কারীকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়


বাংলাদেশ সমপ্রতি ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহ প্রত্যক্ষ করেছে,  যার ফলশ্রুতিতে দেশের কর্তৃত্ববাদী  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৫ই আগস্ট  দেশত্যাগ করেন। সিভিল সার্ভিসে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রাথমিকভাবে আন্দোলনের সূত্রপাত করে। সরকার পরবর্তীকালে  সংস্কার আনলেও, বিক্ষোভ সহিংসতার রূপ নেয়। হাসিনার নৃশংস দমন-পীড়নের  ফলে প্রায় ১,০০০ জন নিহত এবং ২০,০০০ আহত হন। কিন্তু কর্তৃত্ববাদী শাসকের  পতনের পরও সহিংসতা, রক্তপাত, ভাঙচুর অব্যাহত রয়েছে। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত ৮ই আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বাংলাদেশে তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্বে জুলাইয়ের বিদ্রোহ বিশ্ব সংবাদমাধ্যম দ্বারা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে এবং ব্যাপকভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। তবে শিক্ষকরাও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ইউনিভার্সিটি টিচার্স নেটওয়ার্কের একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে ফাহমিদুল হক একজন পর্যবেক্ষকের দৃষ্টিকোণ থেকে আন্দোলনের সঙ্গে শিক্ষকদের  সংযোগ বর্ণনা করেছেন ‘দ্য ডিপ্লোম্যাটের’ কাছে।  ফাহমিদুল হক জানাচ্ছেন-
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাণিজ্যিক সান্ধ্য কোর্সের প্রতিবাদে আমরা ২০১৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ইউনিভার্সিটি টিচার্স নেটওয়ার্ক (ইউটিএন) গঠন করি। আমাদের লক্ষ্য ছিল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্যিকীকরণ প্রতিরোধ করা, বিদ্যমান শিক্ষাব্যবস্থার সমালোচনা এবং সংস্কারের প্রস্তাব। প্রাথমিকভাবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের একটি নেটওয়ার্ক ইউটিএন পরে পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি বিদেশে বাংলাদেশি অধ্যাপকদেরও এতে অন্তর্ভুক্ত করে। ডিজিটাল প্রযুক্তি আমাদের একত্র হতে  সহজ করেছে, ফেসবুক এবং হোয়াট্‌সঅ্যাপ গ্রুপগুলো সমন্বয় ও পরিকল্পনা কার্যক্রমের জন্য অপরিহার্য। আমাদের প্রচেষ্টার মধ্যে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসকদের সঙ্গে সংস্কার প্রস্তাবগুলো শেয়ার করা, নিবন্ধ লেখা, যৌথ বিবৃতি জারি করা এবং পাবলিক লেকচার, সেমিনার, রাস্তায়  প্রতিবাদ, সমাবেশ, মানববন্ধন এবং বসে আলোচনার আয়োজন করা।
শেখ হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রায়শই নিয়োগ ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে একাডেমিক যোগ্যতার চেয়ে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতাকে অগ্রাধিকার দিয়ে এসেছে। আমাদের মতো লোকেরা, যারা প্রশাসনিক অসঙ্গতির সমালোচনা করে, তারা বিলম্বিত পদোন্নতির মতো বৈষম্যের সম্মুখীন হয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য, ক্যাম্পাসের জীবন চ্যালেঞ্জে পরিপূর্ণ ছিল। বিশেষ করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসগুলো হাসিনার আওয়ামী লীগের (এএল) ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (বিসিএল) দ্বারা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত ছিল। ২০১৮ সালে, বাংলাদেশ দু’টি উল্লেখযোগ্য ছাত্র আন্দোলন দেখেছিল: উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দ্বারা সড়ক নিরাপত্তা আন্দোলন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দ্বারা কোটা সংস্কার আন্দোলন। উভয়ই পুলিশ ও ছাত্রলীগের গুণ্ডাদের দ্বারা নির্মম দমন-পীড়নের শিকার  হয়। ইউটিএন এবং সুশীল সমাজের সদস্যদের সঙ্গে ছাত্রদের অধিকার রক্ষা করতে গিয়ে আমি ব্যক্তিগতভাবে পুলিশ এবং ছাত্রলীগের সদস্যদের দ্বারা দু’টি পৃথক অনুষ্ঠানে লাঞ্ছিত হয়েছি।

ক্রমবর্ধমান হুমকির সম্মুখীন হয়ে, আমি ২০১৯ সালে দেশ ছাড়ি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একাডেমিতে কাজ শুরু করেছি। দূরত্ব থাকা সত্ত্বেও, আমি  ইউটিএন’র সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত থেকেছি, জুম মিটিংয়ে অংশ নিয়েছি, নথির খসড়া তৈরি করেছি এবং সোশ্যাল মিডিয়া ও বাংলাদেশি সংবাদপত্রের মাধ্যমে আমার সক্রিয়তা সংযোগ অব্যাহত রেখেছি। ২০১৪ থেকে ২০২৪ এর  জুলাই  পর্যন্ত, ইউটিএন ছিল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন অধ্যাপকের একটি ছোট নেটওয়ার্ক, যা একটি শক্তিশালী কর্তৃত্ববাদী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসক মহলের মধ্যে বেড়ে ওঠার জন্য সংগ্রাম করছিল। সমপ্রতি, প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির তরুণ অধ্যাপকরা আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়ে এই নেটওয়ার্ককে পুনরুজ্জীবিত করেছেন।

২০২৪ এর জুলাইতে দ্বিতীয় কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময়, ইউটিএন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। আমরা জাতীয় মনোযোগ অর্জন করেছি এবং বিপ্লবের মূল স্টেকহোল্ডার হয়েছি। ১৪ই জুলাই একটি সংবাদ সম্মেলনে  বিক্ষোভকারীদের সম্পর্কে হাসিনার অবমাননাকর মন্তব্যের পরে আন্দোলনটি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। পরের দিন, ছাত্রলীগের গুণ্ডা ও পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর নির্মমভাবে হামলা চালায়, যার ফলে সারা দেশে ছয়জন শিক্ষার্থী নিহত হন। এর প্রতিক্রিয়ায়, ছাত্রলীগের সদস্যদের ছাত্রাবাস থেকে বহিষ্কার করা হয়, যার জেরে সরকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ করে দেয়। ১৬ই জুলাই রাতের মধ্যে, ছাত্রাবাসগুলো জোরপূর্বক খালি করা হয়েছিল।

১৭ই জুলাই, ইউটিএন ঢাবিতে শিক্ষকদের ওপর নিপীড়নের  বিরুদ্ধে  একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। হত্যাকাণ্ড ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের নিন্দা জানিয়ে শত শত অধ্যাপক এতে যোগ দেন। এই প্রতিবাদ ছাত্র আন্দোলনকে আরও জোরাদার ও নিপীড়ন মোকাবিলায় সহায়তা করে। বৈঠকের পর, ইউটিএন অধ্যাপকরা স্থানীয় থানা থেকে আটক ছাত্রদের উদ্ধার করেন এবং চিকিৎসা চলাকালীন শীর্ষ ছাত্র নেতাদের দ্বিতীয়বার আটক করার পরে কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করতে  ২৭শে জুলাই গোয়েন্দা অফিসে যান। ইউটিএন’র কার্যকলাপগুলো ব্যাপকভাবে মূলধারার মিডিয়া দ্বারা কভার করা হয়েছিল এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রশংসিত হয়েছিল।
৩১শে জুলাই, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে, ইউটিএন সদস্যরা একটি সমাবেশে ছাত্রদের গ্রেপ্তার করার জন্য সাদা পোশাকের পুলিশদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেয়, যার জেরে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি  তৈরি হয়। ২রা আগস্ট দ্রোহযাত্রায় (বিদ্রোহীদের  কুচকাওয়াজ) অংশ নেন ইউটিএন’র  সদস্যরা। যেখানে সিনিয়র সদস্য আনু মুহাম্মদ কুচকাওয়াজের নেতৃত্ব দেন এবং হাসিনাকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানান। সোশ্যাল মিডিয়া ক্যাম্পেইন #ঝঃবঢ়উড়হিঐধংরহধ ব্যতীত, হাসিনার পদত্যাগের জন্য এটিই ছিল প্রথম সোচ্চার আহ্বান।  পরের দিন, ছাত্রনেতাদের গলায় শোনা যায় একই সুর: ‘হাসিনাকে যেতে  হবে’। ৪ঠা আগস্ট   বৈষম্যমুক্ত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের পক্ষে আওয়াজ তুলে ইউটিএন একটি সংবাদ সম্মেলনে ‘রূপান্তরের রূপরেখা’ উপস্থাপন করে। রূপরেখাটিতে  একটি অন্তর্বর্তী সরকার এবং বৈষম্যমূলক ধারাগুলো  সংস্কারের জন্য  সাংবিধানিক সমাবেশের প্রস্তাব করা হয়েছিল। সেখানে বলা ছিল- অন্তর্বর্তী সরকার  সংস্কারকৃত সংবিধানের অধীনে একটি সাধারণ নির্বাচনের আয়োজন করবে। পরের দিন, ৫ই আগস্ট ছাত্র নেতারা ঢাকায় লংমার্চ শুরু করেন,  রাজধানীর দখল চলে যায় ছাত্রদের হাতে এবং হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান।

অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের আগে, ইউটিএন ৬ই আগস্ট ‘আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে কী চাই?’ শিরোনামে একটি প্রকাশ্য আলোচনার আয়োজন করে। ওইদিন সন্ধ্যায় সামরিক প্রধান ও ছাত্রনেতাদের সঙ্গে বৈঠকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা নিযুক্ত করা হয়। শিক্ষার্থীরা প্রখ্যাত লেখক-অধ্যাপক আসিফ নজরুল এবং ইউটিএন সদস্য অধ্যাপক তানজিমুদ্দিন খানকে তাদের অভিভাবক হিসেবে আমন্ত্রণ জানায়, যারা সরকার নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। ১৯শে আগস্ট ইউটিএন ক্যাম্পাস সংস্কারের জন্য একটি ধারণাপত্রের প্রস্তাব করেছিল, যার শিরোনাম ছিল, ‘আমরা কোন বিশ্ববিদ্যালয় চাই?’
শেখ হাসিনার পতনের পর, সংস্কার এবং গণতন্ত্রে প্রত্যাবর্তনের  জাতীয় আকাঙ্ক্ষা ক্রমেই তীব্র হচ্ছিল, তবে জাতীয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় উভয় পর্যায়েই একটি প্রশাসনিক শূন্যতা দেখা দেয়। অভ্যুত্থানে ইউটিএন’র সক্রিয় এবং উল্লেখযোগ্য ভূমিকা থাকা সত্ত্বেও, এর সদস্যদের কোনো অফিসিয়াল পদ দেয়া হয়নি মন্ত্রিসভায় (যদিও অধ্যাপক নজরুল এখন একজন ইনফ্লুয়েন্সিয়াল উপদেষ্টা) বা কোনো জাতীয় প্রতিষ্ঠান বা বিশ্ববিদ্যালয়ে। যদিও ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার উদারপন্থি  ছিল। দুই ছাত্র সমন্বয়কারীকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এবং জামায়াতে ইসলামীর মতো প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর  ক্ষমতা পুনরুদ্ধার করা হয়।
ইউটিএন’কে বর্জন করার নেপথ্যে থাকতে পারে এটিকে বামপন্থি এবং ইসলামফোবিক হিসেবে লেবেল করা সাজানো-গোছানো একটি অনলাইন প্রচার। ইউটিএন ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তিদের প্রতি তার সমালোচনামূলক অবস্থান বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যেমনটি তারা অতীতে করে এসেছে।

লেখক: ফাহমিদুল হক  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক একজন বিশিষ্ট বাংলাদেশি শিক্ষাবিদ।

পাঠকের মতামত

ইউটিএন রুপরেখা ছিল একটা গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা কায়েমের প্রকৃত এজেন্ডা । বর্তমান ক্ষমতাসীন উপদেষ্টা পরিষদ মূলত সামরিক শক্তির উপর নির্ভরশীল । এই সামরিক বাহিনী বাঙলাদেশের লুটেরা শাসক শ্রেণী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এবং তাদের মতাদর্শের অনুগত। লুটেরা শ্রেণীর রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে প্রধান বিএনপি জামায়াত সহ বিদ্যমান শাসন ব্যবস্থা বজায় রেখে শোষণ শাসনের সিস্টেম অব্যাহত রাখতে বদ্ধপরিকর । ফলে সেনাবাহিনী ও ক্ষমতাসীন ও অন্যান্য শোষক শ্রেণী ইউটিএন - এর দেওয়া বৈষম্য বিরোধী রুপরেখা গ্রহণ করতে পারে না ।

সুভাষ সাহা
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ৯:৩৫ পূর্বাহ্ন

নির্বাচিত কলাম থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

নির্বাচিত কলাম সর্বাধিক পঠিত

সা ম্প্র তি ক/ পিতা ও কন্যার পরিণতি

সাম্প্রতিক প্রসঙ্গ/ শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে খোলা চিঠি

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status