ঢাকা, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিঃ

প্রথম পাতা

ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর আজ

স্টাফ রিপোর্টার
৭ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবারmzamin

ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর আজ। জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস। ১৯৭৫ সালের এদিনে আধিপত্যবাদী চক্রের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে জাতীয় স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষার দৃঢ়প্রত্যয় নিয়ে সিপাহী-জনতা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাজপথে নেমে এসেছিল। দিবসটি উপলক্ষে বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন দল কর্মসূচি পালন করবে। বিএনপি’র কর্মসূচির   অংশ হিসেবে আজ সকাল ১১টায় শেরেবাংলা নগরস্থ সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে বিএনপি’র পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন ও ফাতেহা পাঠ করা হবে। 
এ ছাড়া দিবসটি ঘিরে ঢাকাসহ সারা দেশে শোভাযাত্রাসহ ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। দিবসটি উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বাণীতে তারেক রহমান বলেন, ৭ই নভেম্বর জাতীয় জীবনের এক ঐতিহাসিক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে দেশপ্রেমে বলীয়ান হয়ে সিপাহী-জনতা রাজপথে নেমে এসেছিল জাতীয় স্বাধীনতা সুরক্ষা ও হারানো গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবনের অভূতপূর্ব অঙ্গীকার নিয়ে। তাই ৭ই নভেম্বরের ঐতিহাসিক বিপ্লব অত্যন্ত তাৎপর্যমণ্ডিত। স্বাধীনতাত্তোর রাষ্ট্রীয় অনাচার, রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা, তৎকালীন ক্ষমতাসীন মহল নিজ স্বার্থে জাতীয় স্বাধীনতাকে বিপন্ন ও সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করে আধিপত্যবাদের থাবার মধ্যে দেশকে ঠেলে দেয়। শুধুমাত্র নিজেদের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার জন্যই গণতন্ত্রবিনাশী কর্মকাণ্ড শুরু করে। সেজন্য মানুষের বাক-ব্যক্তি ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে গলাটিপে হত্যার মাধ্যমে একদলীয় বাকশাল গঠন করে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়। শুরু হয় নির্মম একদলীয় দুঃশাসন। দেশে নেমে আসে অশান্তি ও হতাশার কালো ছায়া। বাকশালী সরকার চরম অগণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদী পন্থায় মানুষের ন্যায়সঙ্গত অধিকারগুলোকে হরণ করে। 

বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ৫ই আগস্ট ছাত্র-জনতার মহিমান্বিত আত্মদানের মধ্যদিয়ে ফ্যাসিস্টরা দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়। মানুষের মধ্যে গণতন্ত্রের মুক্তির পথ প্রসারিত হয়েছে। এখন চূড়ান্ত গণতন্ত্রের চর্চার জন্য অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনসহ গণতন্ত্রের অপরিহার্য শর্ত মানুষের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের নতজানু নীতির কারণেই আমাদের আবহমানকালের কৃষ্টি, ঐতিহ্য, ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর  চলেছিল বাধাহীন আগ্রাসন। তাই আমি মনে করি ৭ই নভেম্বরের চেতনায় সকল জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্রের পথচলাকে অবারিত এবং  জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা এই মুহূর্তে অত্যন্ত জরুরি।

ওদিকে এক বিবৃতিতে জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান দিবসটি পালনে দলের নেতাকর্মী ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও চক্রান্ত মোকাবিলায় এই দিনটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক।

পাঠকের মতামত

আজ ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর, জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস।১৯৭৫ সালের এই দিনে নির্মম একদলীয় দুঃশাসন আর দেশপ্রেমে বলীয়ান হয়ে সিপাহী-জনতা রাজপথে নেমে এসেছিল জাতীয় স্বাধীনতা সুরক্ষা ও হারানো গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবনের অভূতপূর্ব অঙ্গীকার নিয়ে।

Rayhan Kabir
৭ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ২:২৯ অপরাহ্ন

দিবস হয় একদিনের। এখন ১০দিনের কর্মসূচী? এটা কীসের ইঙ্গিত দেয়? তারাও কি একই পথে হাটবে?

nasrin
৭ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১১:৪৮ পূর্বাহ্ন

অনেকে ১৫ই আগষ্টকে শোক দিবস মানতে যেয়ে ৭ই নভেম্বরের গুরুত্বকে ভূলে যায়। ১৫ই আগষ্ট হত্যাকান্ড অবশ্যই নিন্দনীয় তবে একদলীয় শাসন অবসানের আর কি বিকল্প ছিল? ৭ই নভেম্বর এদেশের মানুষের মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর দিন, আধিপত্যবাদীদের রুখে দেয়ার দিন এবং স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার দিন। এ দিনটির গুরুত্ব, যথার্থতা এবং এর সঠিক ইতিহাস আমাদেরকে উপলব্ধি করতে হবে।

এম,এইচ, বারী
৭ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১০:২৮ পূর্বাহ্ন

১৯৭৫সালে ৭ই নভেমবর সিপাহী জনতা, ২০২৪ সালে৫ইআগসট ছাএ জনতা বিপলব, মানে দেশের প্রয়োজনে অন্যয়ের বিরুদদে সবাই এক হতে পারে তা প্রমানিত,

মে আশরাফ হোসেন
৭ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ৬:২০ পূর্বাহ্ন

৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক দিবস বুঝলাম, ১৫ আগষ্ট ও শোক দিবস বলেন।

Riaz
৭ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১২:৪৮ পূর্বাহ্ন

প্রথম পাতা থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

প্রথম পাতা সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status