ঢাকা, ১ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৪ মহরম ১৪৪৭ হিঃ

প্রথম পাতা

বিএনপি’র বড় ছাড়

দুই টার্মের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয়

স্টাফ রিপোর্টার
২৬ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার
mzamin

প্রধানমন্ত্রী পদে একজন ব্যক্তি ১০ বছরের বেশি দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না সংবিধানে এমন বিধান যুক্ত করার বিষয়ে দলীয় অবস্থান চূড়ান্ত করেছে বিএনপি। দলীয় এই সিদ্ধান্ত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে তুলে ধরেছেন দলের প্রতিনিধিরা। এই বিষয়ে অন্যান্য রাজনৈতিক দল একমত হলেও বিএনপি’র দাবি ছিল এক মেয়াদ বিরতি দিয়ে পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ রাখার। এ ইস্যুতে বিএনপি বড় ছাড় দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সর্বশেষ মঙ্গলবার রাতে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। এরপর গতকাল দলীয় এই সিদ্ধান্ত ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে জানিয়ে দেয়া হয়। বিএনপি এ ইস্যুতে ছাড় দেয়ায় অন্যতম একটি ইস্যুতে একমত হলো সব রাজনৈতিক দল। 

ওদিকে সংস্কারের আরেক মৌলিক বিষয় সাংবিধানিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেয়ার জন্য জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিলের (এনসিসি) মতো প্রতিষ্ঠান গঠনের সঙ্গে দলটি একমত নয়। এটাকে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মনে করছেন নেতারা। স্থায়ী কমিটির বৈঠকে লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বৈঠক সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে গত কয়েকদিনের আলোচনার বিষয়ে রিপোর্ট বৈঠকে তুলে ধরেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। 

আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ১০ বছর (দুই পূর্ণ মেয়াদ) প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতে পারবেন। ওদিকে নারীদের জন্য ১০০ আসন এবং সংসদের উচ্চকক্ষের সদস্য সংখ্যা ১০০ জনের বিষয়ে বিএনপি ইতিমধ্যে একমত পোষণ করেছে। প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে ‘জ্যেষ্ঠতম দুইজনের’ মধ্যে যেকোনো একজনকে নিয়োগের বিষয়ে একমত হয়েছে দলটি।

ওদিকে বুধবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে রাষ্ট্রীয় মূলনীতি, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ এবং এনসিসি নিয়ে আলোচনা হয়। 

আলোচনায় রাষ্ট্রের মূলনীতি নিয়ে এখনও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হয়নি। অন্যদিকে কমিশনের সংশোধিত প্রস্তাব অনুযায়ী ‘সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কমিটি’- নামে নতুন কাঠামো রাজনৈতিক দলগুলোর সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে, যেখানে  প্রেসিডেন্ট ও প্রধান বিচারপতির নাম বাদ রাখা হয়েছে। কমিশনের আলোচনায় বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকতে পারার প্রস্তাবে বিএনপি একমত। তবে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের জন্য সাংবিধানিক আইন করার জন্য আনা প্রস্তাব দলটি মানবে না। 

রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর চলমান বৈঠকের ষষ্ঠ দিনের আলোচনা শেষে ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী রীয়াজ বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এনসিসি প্রস্তাব থেকে সরে এসেছে। নতুন প্রস্তাবিত কমিটির কাঠামোতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) এর পরিবর্তে ‘সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কমিটি’- করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ কমিটি শুধু সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করবে। অ্যাটর্নি জেনারেল ও তিন বাহিনীর প্রধানের নিয়োগ এ কমিটির অন্তর্ভুক্ত হবে না।

অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, আজকের আলোচনায় রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি এবং প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নিয়েও আলোচনা হয়েছে। রাষ্ট্র পরিচালনার বিদ্যমান মূলনীতি অটুট রাখার বিষয়ে কয়েকটি দল মত দিয়েছে, আবার কিছু দল ভিন্নমতও পোষণ করেছে। তাই এ বিষয়ে কোনো ঐকমত্য হয়নি। তবে, সাম্য ও মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার, গণতন্ত্র, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সমপ্রীতি এবং পক্ষপাতিত্বহীনতা এ পাঁচ বিষয়ে অধিকাংশ দলের সমর্থন রয়েছে। 
তিনি বলেন, যেহেতু সংবিধান এবং সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্তে এখনো উপনীত হওয়া যায়নি, তাই প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যাচ্ছে না।

বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আজকের আলোচনার বিষয় ছিল রাষ্ট্রের মূলনীতি, সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ নিয়োগের জন্য একটি কমিটি আগে যেটা এনসিসি ছিল সেটার একটি নতুন নাম এবং প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সংক্রান্ত, বাকি বিষয়গুলো এজেন্ডায় থাকলেও আলোচনা হয়নি। সংবিধানে রাষ্ট্রপরিচালনার মূলনীতি হিসেবে সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার, গণতন্ত্র ও ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সম্প্রীতি এই কথাগুলো উল্লেখ থাকবে। যারা ম্যান্ডেটপ্রাপ্ত হবে সংবিধানে রাষ্ট্রপরিচালনার মূলনীতি কী হবে সেটা তাদের উপরই ভর করবে। 

তিনি বলেন, সংবিধান সংস্কার কমিশনের রাষ্ট্রপরিচালনার মূলনীতি সংক্রান্ত আগের যে প্রস্তাব ছিল- সে বিষয়গুলো এখন আর সেই জায়গায় নেই। আমরা আমাদের অবস্থান থেকে বলেছি, আমরা রাষ্ট্রপরিচালনার মূলনীতি অংশে পঞ্চম সংশোধনীতে গৃহীত বিষয়গুলো বহাল চাই। সঙ্গে সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবিত এই বাক্যটা আমরা সংযোজন করবো। তবে এই বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা হয় নাই। 

তিনি বলেন, আগে যেটা এনসিসি ছিল এটার ক্ষেত্রে সংশোধিত একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে। তা হলো- সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ নিয়োগ কমিটি। ওনারা (কমিশন) একটি প্রস্তাব করেছেন, তারমধ্যে প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, নিম্নকক্ষের স্পিকার, উচ্চকক্ষের বিরোধীদলীয় নেতা, প্রধান বিরোধী দল ছাড়া অন্যান্য দলসমূহের একজন প্রতিনিধি, রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি (আইনের মাধ্যমে নির্ধারিত যোগ্যতাসম্পন্ন), প্রধান বিচারপতি কর্তৃক মনোনীত আপিল বিভাগের একজন কর্মকর্তা রয়েছেন। এই কমিটি সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ নিয়োগ এবং অন্যান্য পাওয়ার ফাংশন আগে উদ্ধৃত ছিল তারমধ্যে দু’টি বিষয় তারা বাদ দিয়েছেন- সেটা হচ্ছে তিন বাহিনীর প্রধান ও অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগ এই কমিটির আওতাভুক্ত থাকবে না। 

বিএনপি’র এই নেতা বলেন, আমাদের কথা হলো সংবিধানে নতুন একটি বডি বা কমিটি যুক্ত করতে চাচ্ছেন। রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের জন্য বিদ্যমান আইন রয়েছে। তারমধ্যে সংস্কার করা হোক এরমধ্যেই সার্চ কমিটি করে দেয়া হোক। যেখানে নির্বাহী বিভাগের প্রভাবমুক্ত হয়ে, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের নিয়োগের আইনে ব্যবস্থা থাকে। সেই প্রতিষ্ঠানগুলোর জবাবদিহিতা এবং স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য সেই আইনে বিধান থাকতে হবে। এসব জায়গায় আইন থাকলে প্রয়োজনে সংস্কার করা, আইন না থাকলে যুক্ত করে সার্চ কমিটিগুলোকে এক্সটেন করা। 

যেহেতু কেয়ারটেকার সরকার রিপ্লেস হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেই কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন যদি স্বাধীনভাবে নির্বাচন পরিচালনা করে। জুডিশিয়ারির কমপ্লিট ইনডিপেনডেন্সি নিশ্চিত করতে পারি এবং ফ্রিডম অব প্রেস যদি নিশ্চিত করতে পারি- আর দুদকসহ যেগুলো রিলেটেড প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে পারি। এখানেই গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করবে। গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ, এইসব প্রতিষ্ঠান ছাড়া গণতন্ত্র কখনো শক্তিশালী হবে না। ফ্রিডম অব প্রেস যেই দেশে বেশি, সেই দেশে গণতন্ত্র শক্তিশালী হয়। এটা ক্রমান্বয়ে শক্তিশালী হয়ে উঠছে। এগুলো না করে শুধুমাত্র নির্বাহী বিভাগকে ক্ষমতা কমিয়ে একটি সুষ্ঠু সরকার পরিচালনা সম্ভব হয় না। আমরা যদি সবসময় মাথায় রাখি, এক ব্যক্তি  স্বৈরাচার হয়েছিল সেজন্য নির্বাহী বিভাগ, সংসদকে দুর্বল করতে হবে এই আইডিয়া থেকে আমাদের বের হতে হবে। 

গতকালের বৈঠক শেষে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, আজকে দুইটি বিষয়ের উপর আলোচনা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় মূলনীতির বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সেখানে একটি বিষয় উল্লেখ ছিল সাম্য, মানবাধিকার, গণতন্ত্র ধর্মীয় স্বাধীনতা ইত্যাদি। এটাতে কমিউনিস্ট পার্টি এবং বাম দল ছাড়া আর সকলেই ঐকমত্য পোষণ করেছে। পঞ্চম সংশোধনী যেটি আছে আমরা বলেছি সেটি থাকবে। পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল হয়ে যাবে। এবং তার সঙ্গে নতুন কয়েকটি শব্দ যোগ হবে। এ বিষয়ে আমরা অধিকাংশই একমত। 

এদেশ মুসলিম মেজরিটির বাংলাদেশ জানিয়ে তিনি বলেন, এদেশের মানুষের সেন্টিমেন্ট হচ্ছে ‘আল্লাহর উপর বিশ্বাস এবং আস্থা’, ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ এগুলো আমাদের সংবিধানে থাকবে। সে বিষয়ের আলোকেই আমরা আমাদের মত দিয়েছি এবং মনে করেছি এটি সংযোজন করা অপরিহার্য। চূড়ান্তভাবে আরেকটি ড্রাফট তারা (কমিশন) করবেন এবং তখনই এটির উপর পূর্ণাঙ্গ আলোচনা করবেন। 

তাহের আরও বলেন, পরবর্তী বিষয় ছিল এনসিসি। প্রাথমিক যে প্রস্তাব করেছিল সংবিধান সংস্কার কমিশন। নামের ব্যাপারে বিভ্রান্তি হতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা করেছেন। এনসিসি নাম শুনতে সুপ্রা কনস্টিটিউশনের মতো মনে হয়- সুতরাং নামটা পরিবর্তন হওয়া দরকার। সেইজন্য কমিশন আজকে সংশোধিত একটি নাম দিয়েছে- সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ নিয়োগ কমিটি। 

বাংলাদেশে যে সাংবিধানিক কমিটিগুলো আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যেমন নির্বাচন কমিশন, পাবলিক সার্ভিস কমিশন, দুদক আছে- এসবের জন্য একটি সিনক্রোনাইজ বডি থাকবে। কেউ কেউ বলেছেন এটায় প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা খর্ব করা হবে- আসলে বিষয়টি এরকম নয়। এইসব নিয়োগ আগেও কোনো প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে হতো না। এটার জন্য একটি সার্চ কমিটি করা হতো। বর্তমান প্রস্তাবে আলাদা আলাদা সার্চ কমিটি না করে একটি সেন্ট্রাল বডি প্রস্তাবনা করা হয়েছে। যারা এসব নিয়োগগুলো করবেন। আগেও বলেছিলাম রাষ্ট্রের প্রধান ব্যক্তি প্রেসিডেন্ট, জুডিশিয়ারির প্রধান ব্যক্তি চিফ জাস্টিস। সুতরাং তাদের এই কমিটিতে না রেখে তাদের এর আওতায় রাখা দরকার-যাতে কোনো ক্রাইসিস যদি হয় সেখানে তাদের এড্রেস করা যায়। এখন যে সংশোধিত নাম ও প্রস্তাব সেটায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একমত।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি জানান, রাষ্ট্রের মূলনীতি নিয়ে এখনো ঐকমত্য হয়নি। এ বিষয়ে নতুন একটি প্রস্তাব এসেছে। সংবিধানে সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সুবিচার, গণতন্ত্র, ধর্মীয় স্বাধীনতা, সম্প্রীতি ও পক্ষপাতহীনতা- এই সাতটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার আলোচনায় বেশির ভাগ দল একমত হলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তিনি জানান, ভবিষ্যতে অন্তত এই মূল বিষয়গুলো সংবিধানে থাকছে এমন একটি ঐকমত্য তৈরির ব্যাপারে তিনি আশাবাদী।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, রাষ্ট্রের মূলনীতি আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক সংগ্রামের ফসল। জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হিসেবেই তা সংবিধানে যুক্ত হয়েছে। তাই মূলনীতির প্রশ্নে কোনো আপস করা যাবে না বলে তিনি জানান।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, জনগণের চাওয়ার সঙ্গে কয়েকটি দলের একাত্মতা নেই। বাহাত্তরের মূলনীতি মুজিববাদী। এই প্রজন্মের সঙ্গে ওই মূলনীতির সম্পর্ক নেই। 

আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি) সভাপতি মুজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, সাংবিধানিক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে উভয় পক্ষের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি জানান, সংশোধিত কাঠামো অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেতা, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকারসহ সবার অংশগ্রহণে নিয়োগ কমিটি গঠন হবে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতির প্রতিনিধি থাকবেন, যা নিয়োগ প্রক্রিয়াকে আরও গ্রহণযোগ্য করবে বলে তিনি মনে করেন।

বৈঠকে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী,  সিপিবি, বাসদ, এলডিপি, খেলাফত মজলিস, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি), নাগরিক ঐক্য, জাসদ, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম), জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, গণসংহতি আন্দোলন, জেএসডি, গণঅধিকার পরিষদ, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, ১২ দলীয় জোট, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও গণফোরামসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে, কমিশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন  কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

 

পাঠকের মতামত

There should be a referendum because the people of Bangladesh own the country, not BNP or any other political party.

Nam Nai
২৬ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৭:৩৫ অপরাহ্ন

1. The interim government should publish a list of all reform proposals so that the people can review. 2. The government should also publish the list of the reform proposals that have not received consensus along with the names of the political parties that are differing. 3. There must not be any reserved seats for women. Instead, the political parties must nominate women candidates for about 50% of the seats. The main point is: there must NOT be anyone in the parliament who is not elected by people's votes. 4. There must NOT be anyone in the upper chamber of the parliament who is not elected by people's votes. 5. The PM cannot be the party chief, leader of the parliament, and/or anything else at the same time. The speakers shall be the leader of the houses. 6. Candidates cannot compete from more than one seat, which must be the location of the candidate’s primary residence. 7. Candidates must pass a test/exam on the constitution. 8. Candidates must meet minimum educational criteria. 9. MPs must NOT be allowed to import duty-free vehicles and must NOT be allocated any RAJUK plot in Dhaka under a quota system. Remember, we fought against quotas in the July revolution.

Nam Nai
২৬ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৭:৩২ অপরাহ্ন

বাংলাদেশের জন্য ভাল যা করার BNP কেই করতে হবে। অতীতে যে ভাবে করেছিল। আমাদের ভাবনায় জিয়া পরিবার = BNP = বাংলাদেশ।

সিরু
২৬ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৬:৫৫ অপরাহ্ন

দেশটাকি শুধুই বিএনপির যেভাবে হেডলাইন করলেন বিএনপির বড় ছাড়, বরং এটা বলেন তাদের জন্য দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হওয়ার সুযোগ তৈরি হওয়ার পরেও এখন মানুষ হতাশ।

আব্দুল কাদির
২৬ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৭:৩৪ পূর্বাহ্ন

অনেকেই ভাবতাছিলো, স্বপ্ন দেখতাছিলো, চাইতেছিলো, যত দিন যাবে- বিএনপি পচবে। তাই যতদিন প্রয়োজন ভোটাভুটি পিছায় দেও। ওরা আবার নতুন কইরা হোমওয়ার্ক করুক। ওগোর মাইনষেরে ব্যাক্কল বানানোর রাজনীতি রিনিউ করুক।

adk
২৬ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৫:৩৭ পূর্বাহ্ন

বিএনপি বড় ছাড় দিয়েছে শিরোনামটা কতটুকু নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার মধ্যে পরে মানব জমিনের নিকট প্রশ্ন রইল- বিএনপি শর্ত দিয়েছে সেটাও উল্লেখ করার প্রয়োজন ছিল - কারন বিএনপি আগামীতে ক্ষমতায় আসবে মোটামুটি নিশ্চিত, তাই উনারা উনাদের মতো করে সবকিছু সাজাতে চাইছে আর বর্তমান সরকারও শুধু বিএনপিকে সন্তুষ্ট করতেই ব্যস্ত, এই দেশ- দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্ব কখনো বদলাবে না

আজিজ
২৬ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১:১৯ পূর্বাহ্ন

প্রথম পাতা থেকে আরও পড়ুন

প্রথম পাতা সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status