অনলাইন
বিদ্যুৎ উপদেষ্টা ভারত সফরে যাচ্ছেন
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা
(২ সপ্তাহ আগে) ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১০:৪৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০১ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশে ক্ষমতা পরিবর্তনের পর এই প্রথম উপদেষ্টা পর্যায়ের একজন সরকারি ব্যক্তি ভারত সফর করছেন। ভারতের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১০-১২ ফেব্রুয়ারি নয়াদিল্লিতে ভারত এনার্জি উইক পালিত হবে। সেই উপলক্ষ্যে ‘একটি টেকসই ভবিষ্যতের জন্য বিশ্বব্যাপী এনার্জির উদ্ভাবন এবং সহযোগিতা’ শীর্ষক স্ট্রাটেজিক সম্মেলনে যোগ দেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা। এই সম্মেলনে যোগ দিতেই ভারতে আসছেন বাংলাদেশের বিদ্যুৎ মন্ত্রকের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তার নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদলও আসছেন বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের এনার্জি ক্ষেত্রে ব্যাপক সহযোগিতা রয়েছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ বলে মনে করা হয়। বাংলাদেশ বর্তমানে ভারত থেকে ১১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করে। বাংলাদেশের গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্লান্ট চালু করা হয়েছে। ভারত থেকে বাংলাদেশে হাই স্পিড ডিজেল পরিবহনের জন্য উভয় দেশের মধ্যে ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন স্থাপন করা হয়েছে। সেই পাইপলাইন দিয়ে নিয়মিত ডিজেল বাংলাদেশে সরবরাহ করা হচ্ছে।
ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় আদানী গোষ্ঠীর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে নিয়মিত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের এনার্জি ক্ষেত্রের বিভিন্ন চুক্তি নিয়ে বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রতিনিধিরা বিভিন্ন সময়ে বিরুপ মন্তব্য করেছেন। পুর্নমূল্যায়ণের দাবিও তোলা হয়েছে। তাই মনে করা হচ্ছে, ভারত সফরে থাককালীন বিদ্যুৎ উপদেষ্টা ভারতীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে এনার্জি সহযোগিতার বর্তমান অবস্থা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবেন।
পাঠকের মতামত
ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানিতে যে মুল্য ধরা হয়েছে তা অস্বাভাবিক । আর পর নির্ভরশীলতা কাটিয়ে আমাদের নিজস্ব উদ্যোগে বিদ্যুতের ঘাটতি মিটাতে হবে ,বিশেষকরে ভারতের মত অসহনশীল দেশের সাথে । বিশ্বের অনেক দেশ এখন সোলার বিদ্যুৎ এবং বায়ু বিদ্যুৎ এর দিকে ঝুকছে আমরা কেন নয় ? তাতে উৎপাদন খরচ অনেক কম এবং পরিবেষের সহায়ক ।
আদানী সহ ভারতের সঙ্গে বিদ্যূৎ আমদানীর(?) বিষয়ে যত চুক্তি হয়েছে সেসবের পূনর্বিবেচনার প্রসঙ্গ আনা উচিত।
প্রিন্ট মিডিয়ার প্রতিনিধি যে দেশেরই হোন না কেন, মিডিয়া যে দেশর সে দেশের পরিভাষা ব্যাবহার করা অধিক যৌক্তিক বলে আমরা মনে করি। আশা করি মানবজমিন বিষয়টা নজর দিবে।