ঢাকা, ৪ জুলাই ২০২৫, শুক্রবার, ২০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৭ মহরম ১৪৪৭ হিঃ

অনলাইন

সহযোগীদের খবর

নির্বাচনী কার্যক্রম দানা বাঁধছে না, পথ স্পষ্ট নয়

অনলাইন ডেস্ক

(৯ ঘন্টা আগে) ৪ জুলাই ২০২৫, শুক্রবার, ৯:৩১ পূর্বাহ্ন

নির্বাচনী কার্যক্রম দানা বাঁধছে না, পথ স্পষ্ট নয়’- এটি সমকালের শিরোনাম। এতে বলা হয়, বাংলাদেশে পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রস্তুতি এখনো পরিষ্কার নয়। একটি স্বচ্ছ ভোটার তালিকা ও সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

আইন সংশোধন হলেও সীমানা পুনর্নির্ধারণ এবং ভোটার তালিকার কাজ চলমান রয়েছে। ভোটের জন্য কেন্দ্রে প্রস্তুতি, কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও নতুন দলের নিবন্ধনসহ নানা বিষয় এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে। রাজনৈতিক ঐকমত্যের অভাবে ইসির কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিলেও সময় ও পদ্ধতি নিয়ে দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।

 বিএনপি বর্তমান সীমানা মানতে চায় না এবং ২০০১ সালের আগের সীমানা ফেরত চায়, যা বিশ্লেষকদের মতে এখন আর বাস্তবসম্মত নয়।

 ইসি ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিল, এই দুই সময়ই নির্বাচন হতে পারে ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছে।

ভোটার তালিকার হালনাগাদে ইতোমধ্যে প্রায় ৫৯ লাখ নতুন ভোটার যুক্ত হয়েছে এবং ৪৩ লাখের বেশি নতুন ভোটারকে নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়ার উদ্যোগ চলছে।

জুলাই মাসে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি 'জুলাই সনদ' হওয়ার কথা থাকলেও কিছু বিষয়ে দ্বন্দ্ব এখনো কাটেনি। তবু আশা করা হচ্ছে, সময়মতো সমাধান এলে নির্বাচন আয়োজনের পথ সুগম হবে।

 

কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম, 'চালের দামে দিশাহারা ভোক্তা'।  এতে বলা হয়, সারা দেশে চালের দাম বাড়ায় সাধারণ মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। ঢাকার খুচরা বাজারে মিনিকেট চালের কেজিতে আট থেকে ১০ টাকা, আর মাঝারি ও মোটা চালের দাম তিন থেকে পাঁচ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

চট্টগ্রাম ও দিনাজপুরেও চালের ৫০ কেজির বস্তায় ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, মিল পর্যায়ে সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানো হয়েছে, আর ধান ও পরিবহন খরচ বাড়ার কারণে দাম বাড়ছে বলে দাবি মিল মালিকদের।

রাজধানীর বাজারে এখন মিনিকেট চাল প্রতি কেজি ৮২-৯০ টাকা, ব্রি-২৮ ও পাইজাম চাল ৬০-৬৪ টাকা, যা ঈদের আগে ছিল অনেক কম।

সবজির দামও চড়া—প্রায় সবজির কেজি ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। কাঁচা মরিচ, টমেটো, করলা, বেগুন, শসা—সবকিছুতেই অস্থিরতা। মুরগি, ডিম, পেঁয়াজ, রসুন, ডাল, সব কিছুর দাম ঊর্ধ্বমুখী।

চট্টগ্রামে 'ভাতের পাতে স্বস্তি ফেরাও' স্লোগানে মানববন্ধন হয়েছে।

দিনাজপুর, নওগাঁসহ বিভিন্ন জেলায় চালের পাইকারি দাম বেড়ে খুচরা বাজারেও প্রভাব পড়েছে।

চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে না থাকায় সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে নিম্ন আয়ের শ্রেণি চরম কষ্টে পড়েছে। ভোক্তাদের অভিযোগ—সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

 

প্রথম আলোর শিরোনাম, ‘৮০% মামলায় অভিযোগপত্র জমা’। এতে বলা হয়, গত এক বছরে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ৩৯৯টি দুর্নীতির মামলা করেছে, যার মধ্যে ৮০ শতাংশ মামলায় অভিযোগপত্র আদালতে জমা হয়েছে।

এসব মামলার আসামির তালিকায় রয়েছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার পরিবার, সাবেক মন্ত্রী, এমপি, আমলা, পুলিশ কর্মকর্তা ও প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা।

অভিযোগ রয়েছে, ক্ষমতার অপব্যবহার, অবৈধ সম্পদ অর্জন, টাকা পাচার, টেন্ডারবাজি ও শেয়ারবাজার প্রতারণার মাধ্যমে হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে জমি বরাদ্দে অনিয়ম, বিদেশে টাকা পাচার ও বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে একাধিক মামলা হয়েছে।

টিউলিপ সিদ্দিক ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধেও অভিযোগ রয়েছে।

দুদক বলছে, আগের সরকারগুলো দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলেও গণ–অভ্যুত্থানের পর তদন্তে গতি এসেছে।

বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে তারা উদ্যোগ নিয়েছে এবং এর অংশ হিসেবে অনেক সম্পত্তি জব্দ করা হয়েছে। যুক্তরাজ্য, দুবাই, যুক্তরাষ্ট্রে সম্পদ কিনেছেন এমন প্রমাণও মিলেছে।

আদালতের আদেশে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার সম্পদ জব্দ করা হয়েছে।

তবে দুদকের কিছু কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন, দ্রুত মামলা করতে গিয়ে তদন্তে ভুল হয়েছে, যা ভবিষ্যতে শাস্তি নিশ্চিত করতে বাধা হতে পারে। এখন প্রয়োজন সঠিক ও নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করা।

 

দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম, 'Panic grips NBR officials' অর্থাৎ, 'এনবিআর কর্মকর্তাদের মধ্যে আতঙ্ক'

প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধর্মঘট শেষে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও এখন আবার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সরকার বেশ কয়েকজন সিনিয়র কর্মকর্তাকে অবসরে পাঠিয়ে এবং দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) নতুন তদন্ত শুরু করায় এনবিআরের মধ্যে উদ্বেগ বেড়েছে।

এরইমধ্যে ১৬ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত চলছে, যাদের অনেকেই ধর্মঘটকারী প্ল্যাটফর্ম 'রিফর্ম ইউনিটি কাউন্সিল'-এর সঙ্গে যুক্ত।

ধর্মঘটের কারণে জুনের শেষ সপ্তাহে চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে, যা দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক ক্ষতি ডেকে আনে।

ব্যবসায়ী নেতারা আন্দোলন বন্ধে মধ্যস্থতা করে সরকারি আশ্বাসে কর্মকর্তাদের কাজে ফেরান। কিন্তু পরবর্তীতে সরকার যেভাবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়, তাতে ব্যবসায়ী মহলও বিব্রত।

তারা বলেন, যদি এই ধরনের কঠোর অবস্থান না নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হতো, তবে পরিস্থিতি ভালো থাকত।

এভাবে হঠাৎ অবসরে পাঠানো, তদন্ত, জব্দ আদেশ ইত্যাদি এনবিআরের দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের মনোবল ভেঙে দিচ্ছে, যার ফলে পুরো সংস্থার কার্যকারিতা ঝুঁকিতে পড়েছে। এখন এনবিআরের ভেতরে নেতৃত্ব সংকট দেখা দিয়েছে।

ব্যবসায়ী নেতারা আবারও সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যেন সংশ্লিষ্ট সৎ ও দক্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে আলোচনা করে অংশগ্রহণমূলক সংস্কার প্রক্রিয়া চালানো হয়, যাতে অর্থনীতির ক্ষতি কমানো যায় এবং ভবিষ্যতে এমন সংকট এড়ানো যায়।

 

বরখাস্তের দণ্ড বদলে বাধ্যতামূলক অবসর’ - এটি আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার চলমান আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ সংশোধন করছে। আগে অসদাচরণের জন্য সরকারি কর্মচারীদের বরখাস্ত বা অপসারণ করা যেত, এখন তা বাদ দিয়ে বাধ্যতামূলক অবসরের বিধান রাখা হচ্ছে।

এতে কর্মচারীরা পেনশনসহ সব আর্থিক সুবিধা পাবেন। 'অনানুগত্য' ও 'অনুপস্থিতির জন্য উসকানি' ধারা বাদ যাচ্ছে।

অভিযোগ যাচাইয়ের জন্য তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের প্রস্তাব রাখা হয়েছে, যেখানে একজন নারী সদস্য থাকবেন।

তদন্তের সময়সীমা ১৪ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে, না মানলে কমিটির সদস্যদের দায়ী করা হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে অবসরের সিদ্ধান্তে ৩০ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে আপিলের সুযোগ থাকবে।

আন্দোলনকারীদের দাবি অনুযায়ী এই সংশোধন আনা হচ্ছে। কারণ দর্শানোর সুযোগ, নারী অন্তর্ভুক্ত তদন্ত কমিটি এবং শৃঙ্খলা বিধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সংশোধন করা হচ্ছে।

ব্যক্তিগত প্রয়োজনে না জানিয়ে অনুপস্থিত থাকলেও তা শাস্তিযোগ্য হবে না, এ রকম ব্যাখ্যাও যুক্ত হচ্ছে।

সচিবালয়ের আন্দোলনরত কর্মচারীরা বলছেন, তাদের প্রস্তাব মেনে নেওয়ায় আশঙ্কা অনেকটাই কেটে গেছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, যদিও উদ্যোগটি ইতিবাচক, তবু স্থানীয় সরকার বা সিটি করপোরেশনের কর্মচারীদের জন্য আলাদা আইন না থাকায় দ্বৈততা তৈরি হতে পারে।

তাই কেউ কেউ মনে করেন, এই অধ্যাদেশ বাতিল করে একটি নতুন, শক্তিশালী ও স্পষ্ট আইন করা প্রয়োজন ছিল।

 

নয়া দিগন্ত প্রধান শিরোনাম, 'বিভাগে হাইকোর্টের বেঞ্চ'। খবরে বলা হয়, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে দেশের প্রায় ৩০টি রাজনৈতিক দল কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে।

আলোচনা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বেঞ্চ রাজধানীর বাইরে সব বিভাগীয় শহরে প্রতিষ্ঠা করা এবং রাষ্ট্রপতির ক্ষমার ক্ষমতা সীমিত করার বিষয়ে।

রাজনৈতিক দলগুলো মনে করছে, বিচার বিভাগ বিকেন্দ্রীকরণ হলে সাধারণ মানুষের কাছে বিচার আরও সহজে পৌঁছাবে।

তবে এর জন্য পর্যাপ্ত বিচারপতি ও দক্ষ আইনজীবী নিয়োগ এবং বাজেট বাড়ানোর পরামর্শও এসেছে।

রাষ্ট্রপতির ক্ষমার বিষয়ে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে অপরাধীকে ক্ষমা করতে হলে ভুক্তভোগী পরিবারের মতামত নিতে হবে। ক্ষমার আগে একটি নির্দিষ্ট কমিটির সুপারিশ প্রয়োজন হবে।

এতে রাজনৈতিক অপব্যবহার বন্ধ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপি দু'টি বিষয়েই একমত হয়েছে।

তারা বলেছে, বিচারব্যবস্থায় ফ্যাসিস্ট প্রভাব দূর করতে হবে এবং যেসব কর্মকর্তা অন্যায়ভাবে মানুষকে সাজা দিয়েছেন, শুধু চাকরি হারালে হবে না—তাদের বিচারের মুখোমুখিও করতে হবে।

আলোচনায় রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে বলে নীতিগত সম্মতি হয়। সংলাপে জামায়াত, বিএনপি, বাসদ, সিপিবি, এবি পার্টিসহ ৩০টি দল অংশ নেয়।

আগামী সপ্তাহে পরবর্তী বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে এবং আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অগ্রগতি আশা করা হচ্ছে।

 

দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম, 'প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা খর্বে 'না''- প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হলেও, প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতা খর্বের বিষয়ে এখনো মতভেদ রয়েছে।

অধিকাংশ দল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন, রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের ওপর আইনগত নিয়ন্ত্রণ, এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দুই মেয়াদের সীমা নিয়ে একমত হয়েছে।

কিন্তু কে হবেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান, কতজন সদস্য থাকবে এবং প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কতটা সীমিত হবে, এসব বিষয়ে এখনো আলোচনা চলছে।

বিএনপি ও অন্যান্য দল মনে করে, রাষ্ট্রপতির ক্ষমা অতীতে অপব্যবহার হয়েছে এবং এটি আইনের মাধ্যমে সীমাবদ্ধ করা প্রয়োজন।

তাদের প্রস্তাব, ক্ষমার আগে একটি সুপারিশ বোর্ড গঠিত হবে যা নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দেবে। জামায়াত এবং এনসিপিও এই বোর্ডের পক্ষে, এবং বলেছে যে ভুক্তভোগীর অনুমতি ছাড়া বড় অপরাধে ক্ষমা দেওয়া যাবে না।

তবে প্রধানমন্ত্রী কতটা ক্ষমতা রাখবেন, এই ইস্যুতে এখনো ঐকমত্য তৈরি হয়নি। অনেকে চান শেখ হাসিনার মতো ক্ষমতা থাকুক। ঐকমত্য কমিশনের মতে, এ বিষয়ে একমত হওয়া কঠিন।

এ ছাড়া বিচার বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণ ও হাইকোর্ট বেঞ্চ বিভাগীয় শহরে স্থাপনের বিষয়ে দলগুলো একমত হয়েছে। সংলাপ অব্যাহত রয়েছে।

 

 

বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের খসড়া টেলিকম নীতিমালা নিয়ে শুরু হলো বিতর্ক

প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার ২০২৫ সালের জন্য প্রস্তাবিত নতুন টেলিকম নীতিমালা প্রকাশের পর দেশে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে।

সরকারের দাবি, এই নীতিমালা ভয়েস কল ও ইন্টারনেটের খরচ কমাবে, অবকাঠামো ভাগাভাগির মাধ্যমে সাশ্রয়ী ও টেকসই ডিজিটাল ব্যবস্থা গড়ে তুলবে।

অন্যদিকে, খাতসংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এতে দেশীয় ছোট উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানগুলো বিপদে পড়বে, কর্মসংস্থান হারাবে এবং বাজারের নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে বড় মোবাইল অপারেটর ও বিদেশি কোম্পানির হাতে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন লাইসেন্স কাঠামো অনুসারে পুরনো অনেক প্রতিষ্ঠান বিলুপ্ত হবে, যার প্রভাব পড়বে কয়েক লাখ কর্মজীবীর ওপর।

আইএসপি সংগঠনসহ স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলো অভিযোগ করছে, এ নীতিমালায় তাদের মতামত নেওয়া হয়নি এবং এটা বাস্তবায়িত হলে বড় ব্যবসাগোষ্ঠীর একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ বাড়বে।

বিএনপি বলছে, তাড়াহুড়ো করে নীতিমালা তৈরি না করে, আগে আর্থিক ও সামাজিক প্রভাব বিশ্লেষণ করে এবং সবার অংশগ্রহণে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটি এখনও খসড়া এবং সকল পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে পরিবর্তন আনা সম্ভব।

সব মিলিয়ে বিতর্কের মূল বিষয় হলো, এই নীতিমালা গ্রাহক সেবা উন্নয়নে সহায়ক হবে, নাকি দেশীয় ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও কর্মসংস্থানের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে।

 

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

নবীজীর সাহাবীদের নিয়ে কটূক্তি/ মৌলভীবাজারে নারী আইনজীবী আটক

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status