ভারত
মহারাষ্ট্রে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে বিরল স্নায়ুর রোগ: আক্রান্ত শতাধিক, মৃত ১
মানবজমিন ডিজিটাল
(২ মাস আগে) ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, সোমবার, ১২:৫৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০১ পূর্বাহ্ন

ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে হু হু করে ছড়াচ্ছে বিরল স্নায়বিক ব্যাধি। গুলেন বারি সিনড্রোম (জিবিএস)। ইতিমধ্যেই এই অসুখে আক্রান্তের সংখ্যা শতাধিক।তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যুও হয়েছে। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নজরদারি চালাচ্ছে পুণে প্রশাসন। জানা গেছে, সোলাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে গুলিয়ান বারিতে আক্রান্ত একজনের মৃত্যু হয়েছে। ওই রোগীর ডায়েরিয়া ছিল। পাশাপাশি সর্দি-কাশিও ছিল। গত ১৮ জানুয়ারি তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। প্রাথমিকভাবে আইসিইউ-তে রাখা হয়েছিল। পরে তার অবস্থার উন্নতি হলে রেগুলার বেডে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু গতকাল হঠাৎ তার অবস্থার অবনতি হয়। শ্বাসকষ্ট হয়। এরপরই তার মৃত্যু হয়।
সোলাপুর ছাড়াও, মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিভাগ পুণে, পিম্পরি চিঞ্চওয়াড়, পুণে গ্রামীণ এবং আশেপাশের কয়েকটি জেলায় জিবিএস-উপসর্গ নিয়ে আরও ১৮ জনকে শনাক্ত করেছে।
বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১০১ রোগীর মধ্যে ১৬ জন ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রয়েছেন। রোগীদের মধ্যে ৬৮ জন পুরুষ, ৩৩ জন নারী। চিকিৎসকদের মতে এটি একটি স্নায়বিক অটোইমিউন রোগ। উপসর্গ হালকা থেকে গুরুতর হতে পারে। এই অসুখে আক্রান্ত হলে পেশী দুর্বল হয়ে পড়ে। কাঁপুনি আসতে পারে। সঙ্গে গায়ে-হাতে-পায়ে অসম্ভব ব্যথা অনুভূত হতে পারে। শ্বাসকষ্ট, হার্ট ও রক্তচাপের সমস্যা হতে পারে।
ভয়াবহ ক্ষেত্রে পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হতে পারেন রোগী। হু' এর মতে, গুলেন বারি সিনড্রোমে আক্রান্ত ব্যক্তিদের যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রাখা দরকার। উপসর্গ অনুসারে চিকিৎসার দরকার। সঙ্গে প্রয়োজন হতে পারে কিছু ইমিউনোলজিক্যাল থেরাপির।
গুলেন বারি সিনড্রোমের উপসর্গ
-হাত-পায়ে দুর্বলতা অনুভব হতে পারে।
-শরীর কাঁপতে পারে।
-পেশী দুর্বলতা, প্যারালাইসিসের মতো অবস্থা হতে পারে।
-হাত এবং পায়ে সাড় চলে যেতে পারে।
-গিলতে বা কথা বলতে অসুবিধা হতে পারে।
-পায়ে বা পিঠে তীব্র ব্যথা অনুভব হতে পারে।
-ভোগাতে পারে শ্বাসকষ্ট, মাথা ঘোরা।
-ঝাপসা দৃষ্টি, অস্বাভাবিক হৃদস্পন্দন বা উচ্চ রক্তচাপও এর লক্ষণ ।
প্রশাসনের তরফে ইতিমধ্যেই পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। আক্রান্তদের স্বাস্থ্যও নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। কীভাবে এই সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, তা স্পষ্টভাবে জানা না গেলেও, চিকিৎসক-বিশেষজ্ঞদের প্রাথমিক অনুমান, অস্বাস্থ্যকর খাবার বা পানীয় জল থেকেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে।
সূত্র : টাইমস অফ ইন্ডিয়া