অনলাইন
আদানিদের বিরুদ্ধে বাইডেন প্রশাসনের পদক্ষেপ নিয়ে কড়া চিঠি ৬ মার্কিন আইনপ্রণেতার
মানবজমিন ডিজিটাল
(১ মাস আগে) ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, মঙ্গলবার, ২:৩৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১:৩০ অপরাহ্ন

ছয় মার্কিন কংগ্রেসম্যান নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডিকে চিঠি লিখে আদানি গ্রুপের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পূর্বতন বিচার বিভাগের (ডিওজে) আনা অভিযোগগুলো তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। গত বছরের নভেম্বরে আদানি গোষ্ঠী তাদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া দুর্নীতি মামলায় বাইডেনের প্রশাসনের বিচার বিভাগের পদক্ষেপকে ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করেছিল।
অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডির কাছে একটি চিঠিতে ছয় মার্কিন আইনপ্রণেতা ল্যান্স গুডেন, প্যাট ফ্যালন, মাইক হ্যারিডোপোলোস, ব্র্যান্ডন গিল, উইলিয়াম আর টিমন্স এবং ব্রায়ান বেবিন লিখেছেন, পূর্ববর্তী বিচার বিভাগের (Department of Justice's বা DoJ) পদক্ষেপ ছিল ‘ত্রুটিপূর্ণ’। এর জেরে আমেরিকার ‘কৌশলগত অংশীদার’ ভারতের সাথে সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকিতে ছিল। তারা এটিকে বাইডেন প্রশাসনের ‘অবিবেচক সিদ্ধান্ত’ বলে অভিহিত করেছেন
কংগ্রেসম্যানরা বলেছেন, ‘আদানি মামলাটি এই অভিযোগের উপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে যে ভারতে এই কোম্পানির সদস্যরা সেখানকার কর্মকর্তাদের ঘুষ দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিল। উপযুক্ত ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে মামলাটি পাঠানোর পরিবর্তে, বাইডেন প্রশাসন মার্কিন স্বার্থের কথা না ভেবে আদানি কোম্পানির নির্বাহীদের বিরুদ্ধে এগিয়ে যাওয়ার এবং অভিযুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়।’
এর পেছনে বাইরের ইন্ধন রয়েছে বলে মনে করেন মার্কিন আইনপ্রণেতারা। তাদের কথায়, ভারতের মতো মিত্রের সাথে সম্পর্ককে জটিল করে তুলতে পারে এমনভাবে একটি মামলা চালানোর কোনও বাধ্যবাধ্যকতা ছিল না। এই বিভ্রান্তিকর পদক্ষেপটি ওভাল অফিসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনের মুহূর্তে ভারতের মতো কৌশলগত ভূ-রাজনৈতিক অংশীদারের সাথে আমেরিকার সম্পর্ককে ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারতো বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন ৬ মার্কিন আইনপ্রণেতা। তারা বলেছেন যে, আমেরিকার অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি পুনরুজ্জীবিত করার জন্য ডনাল্ড ট্রাম্প যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, সেখানে ভারতের মতো মূল্যবান অংশীদাররা একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর।
আদানিদের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ৬ মার্কিন আইনপ্রনেতা বলছেন, ‘যারা বিলিয়ন বিলিয়ন অবদান রেখেছেন এবং হাজার হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন তাদের বিরুদ্ধে অপ্রয়োজনীয় পদক্ষেপ আমাদের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে বিনিয়োগকারীদের নিরুৎসাহিত করবে।’
কংগ্রেসম্যানরা বলেছেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের সম্পর্ক পারস্পরিক শ্রদ্ধার ওপর দাঁড়িয়ে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেই পথ অনুসরণ করছেন। তারা দুই পৃষ্ঠার চিঠিতে লিখেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সর্বদা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের মতো দুটি অর্থনৈতিক ও সামরিক পরাশক্তির মধ্যে একটি শক্তিশালী এবং উপকারী সম্পর্কের প্রকৃত সম্ভাবনাকে স্বীকৃতি দিয়েছেন।’
সেই প্রসঙ্গে বাইডেন প্রশাসনের পদক্ষেপকে তারা বেপরোয়া বলে উল্লেখ করেছেন। সেইসঙ্গে নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডিকে বাইডেনের বিচার বিভাগের ক্রিয়াকলাপ তদন্ত করে দেখার এবং প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটনের অনুরোধ জানিয়েছেন কগ্রেসম্যানরা।
সূত্র : এনডিটিভি
পাঠকের মতামত
কমিশন ভালই পাইছে মনে হয়।