ঢাকা, ৯ মে ২০২৫, শুক্রবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৬ হিঃ

শরীর ও মন

হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের মিনি ম্যারাথন

প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যু কমাতে শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের দাবি

স্টাফ রিপোর্টার

(২ মাস আগে) ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৯:৩৯ অপরাহ্ন

mzamin

তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের কারণে প্রতিবছর দেশে ১ লাখ ৬১ হাজার ২৫৩ জন মানুষ অকালে মারা যায়। একই সাথে তামাকজনিত রোগের চিকিৎসায় বছরে ৪২ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয় হয়। তাই তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে সংশোধনের মাধ্যমে শক্তিশালী করা হলে প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যু ও এসংক্রান্ত রোগের চিকিৎসা ব্যয়ও কমে আসবে। 

বৃহস্পতিবার  সকাল ৭টায় জিয়া উদ্যানের সামনের সড়কে ‘শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের দাবি’ শীর্ষক একটি মিনি ম্যারাথনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এই মিনি ম্যারাথনের আয়োজন করে। এটি জিয়া উদ্যানের সামনের সড়ক থেকে শুরু হয়ে গণভবন সংলগ্ন সড়কে প্রদক্ষিণ করে পুনরায় জিয়া উদ্যানের সামনে এসে শেষ হয়। এই আয়োজনে দুই শতাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন। 

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ডা. খন্দকার আব্দুল আউয়াল রিজভীর সভাপতিত্বে মিনি ম্যরাথনের উদ্বোধন করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. শেখ মোহাম্মদ জোবায়েদ হোসেন। 

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দেশে প্রাপ্তবয়স্কদের ৩৫ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ তামাক ব্যবহার করে, যার মধ্যে ১৮ শতাংশ ধূমপান এবং ২০ দশমিক ৬ শতাংশ ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্য সেবন করে (গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে, ২০১৭)। একই সাথে ১৩-১৫ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের ৬ দশমিক ৯ শতাংশ তামাক ব্যবহার করছে (গ্লোবাল ইয়ুথ টোব্যাকো সার্ভে, ২০১৩), যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বাস্থ্যকে হুমকির মুখে ফেলছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুরক্ষায় বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে শক্তিশালী করে বৈশ্বিক মানদন্ডে উন্নীত করতে হলে আইনের ছয়টি ধারা সংশোধন করা প্রয়োজন। 
সেগুলো হলো, সকল পাবলিক প্লেসে ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান (উঝঅ) নিষিদ্ধ করা; তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রয়স্থলে (চড়রহঃং ড়ভ ঝধষব) তামাকজাত পণ্য প্রর্দশনী (চৎড়ফঁপঃ উরংঢ়ষধু) নিষিদ্ধ করা; তামাক কোম্পানির যে কোন ধরনের সামাজিক দায়বদ্ধতা (ঈঝজ) কর্মসূচি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা; ই-সিগারেট সহ সকল ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্ট এর মারাত্মক স্বাস্থ্য ক্ষতি থেকে কিশোর -যুবকদের রক্ষা করা; তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেট/কৌটায় সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার ৫০% থেকে বাড়িয়ে ৯০% করা এবং বিড়ি-সিগারেটের খুচরা শলাকা, মোড়কবিহীন এবং খোলা ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধ করা।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. খন্দকার আব্দুল আউয়াল রিজভী বলেন, সুস্থ থাকতে হলে আমাদের জীবনাচরণে পরিবর্তন আনতে হবে। আর এই পরিবর্তন আনার জন্য সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। এ জন্য পাবলিক প্লেসকে শতভাগ ধূমপানমুক্ত করতে বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এফসিটিসি’র আলোকে সংশোধন করতে হবে। 

তিনি আরও বলেন, তামাক কোম্পানি বর্তমানে তরুণ প্রজন্মকে টার্গেট করে সামাজিক মাধ্যমে কৌশলে তামাকের প্রচারণা চালাচ্ছে। তাদের লক্ষ্য জনস্বাস্থ্যকে বাদ দিয়ে শুধুমাত্র মুনাফা করা। তাই তাদের প্রতিরোধে বিদ্যমান আইন সংশোধনের বিকল্প নেই। 

এছাড়াও মিনি ম্যারাথনে হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল এন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটাল এন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ভার্সকুলার সার্জন ডা. সাকলায়েন রাসেল, হার্ট ফাউন্ডেশন তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির পরামর্শক নাইমুল আজম খান ও ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস্-এর এডভোকেসি ম্যানেজার আতাউর রহমানসহ তামাকবিরোধী সংগঠনের প্রতিনিধি ও গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন ।
 

শরীর ও মন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

শরীর ও মন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status